‘ভারতের কার্গো রুট বন্ধের প্রভাব মোকাবিলায় প্রস্তুত রপ্তানিকারকরা’

দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম, ‘Exporters brace for impact as India shuts cargo route‘ অর্থাৎ, ‘ভারতের কার্গো রুট বন্ধের প্রভাব মোকাবিলায় প্রস্তুত রপ্তানিকারকরা’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ভারত হঠাৎ করে বাংলাদেশি পণ্যের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট রুট বন্ধ করে দেওয়ায় দেশের পোশাক রপ্তানিকারকরা বড় সমস্যায় পড়েছেন।

আগে কলকাতা ও দিল্লি বিমানবন্দর হয়ে স্থলপথে পণ্য পাঠানো যেত, যা সময় ও খরচ কমাত। বিশেষ করে কোভিড-পরবর্তী সময়ে এই রুট জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

তবে এখন এই সুবিধা বন্ধ হওয়ায় রপ্তানিকারকরা আবার ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ওপর নির্ভর করতে বাধ্য হচ্ছেন।

যেখানে ইতিমধ্যে ধারণক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি পণ্য হ্যান্ডেল করা হয়।

বর্তমানে বাংলাদেশ প্রতি সপ্তাহে প্রায় তিন হাজার ৪০০ টন পোশাক রপ্তানি করে, যার মধ্যে ৬০০ টন যেত ভারতের মাধ্যমে।

ভারতীয় বিমানবন্দরে প্রতি কেজি পণ্য পাঠাতে খরচ পড়ত দুই ডলার ৬০ সেন্ট, যেখানে ঢাকায় একই পণ্যের খরচ দুই ডলার ৯০ সেন্ট থেকে চার ডলার ৫০ সেন্ট পর্যন্ত হয়।

এর বড় কারণ হলো ঢাকায় জ্বালানির দাম বেশি ও গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং ফি অনেক বেশি।

সরকার জানিয়েছে, তারা ঢাকার তৃতীয় টার্মিনালের মাধ্যমে এই চাপ কমানোর চেষ্টা করছে, যেখানে আধুনিক স্ক্যানিং, কুলিং ও হ্যান্ডলিং সুবিধা থাকবে।

পাশাপাশি সিলেট ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকেও রপ্তানি চালুর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

তবে ততদিন পর্যন্ত অনেক রপ্তানিকারককে বিকল্প রুট, যেমন মালদ্বীপ, ব্যবহার করতে হতে পারে।

নয়া দিগন্ত
ছবির ক্যাপশান,নয়া দিগন্ত

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ভারত হঠাৎ করেই বাংলাদেশি পণ্যের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করলেও বাংলাদেশ বিষয়টিকে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছে না।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মনে করে, এতে দেশের রপ্তানি খাতে বড় কোনো ক্ষতি হবে না এবং সাময়িক বিঘ্ন হলেও তা দ্রুত কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।

বিকল্প দেশ দিয়ে কীভাবে তৈরি পোশাকের শিপমেন্ট চালানো যায়, তা ঠিক করতে বিজিএমইএসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আগামী সপ্তাহে বৈঠক করার পরিকল্পনা রয়েছে।

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন জানিয়েছেন, ভারতের এই সিদ্ধান্ত হঠাৎ হলেও বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে।

নিজেদের বিমানবন্দর ও লজিস্টিক সুবিধা উন্নয়নের মাধ্যমে সক্ষমতা বাড়িয়ে সমস্যা মোকাবিলা করা হবে।

তিনি বলেন, ৪০ থেকে ৫০ হাজার টন পণ্য ভারতের মাধ্যমে যেত যা এখন দেশের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পাঠানো হবে।

তিনি আরও জানান, ভারতের এই সিদ্ধান্ত বিদেশি বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টিভঙ্গিতে কোনো প্রভাব ফেলেনি, বরং ট্রান্সশিপমেন্ট ছাড়াও বাংলাদেশের বিকল্প রয়েছে।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক স্থগিতাদেশ নিয়েও সরকার আশাবাদী। বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, এই স্থগিতাদেশ অস্থায়ী এবং পারস্পরিক আলোচনা ও কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে স্থায়ী সমাধানের দিকে এগোনো হবে।

প্রথম আলো
ছবির ক্যাপশান,প্রথম আলো

প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, ‘স্বস্তির সঙ্গে আছে অনিশ্চয়তাও

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তিন মাসের জন্য পাল্টা শুল্ক স্থগিত করায় বাংলাদেশি রপ্তানিকারকেরা কিছুটা স্বস্তি পেলেও এখনও অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।

কারণ, ন্যূনতম ১০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক বহাল রয়েছে, যা নতুন ক্রয়াদেশ পাওয়ায় প্রভাব ফেলতে পারে।

ইতিমধ্যে মার্কিন ক্রেতারা কিছু স্থগিত ক্রয়াদেশ পুনরায় চালু করেছে, তবে অনেকেই ছাড় দাবি করছে।

আগের দিন চীনের পণ্যে শুল্ক ১২৫ শতাংশ করার কথা বললেও গতকাল বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউস জানায়, এটা প্রায় সব পণ্যে হবে ১৪৫ শতাংশ।

দেশটির ওপর এই শুল্ক ইতিমধ্যে কার্যকরও হয়েছে। বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানিকারকেরা মনে করেছেন, এই শুল্ক শেষ পর্যন্ত বহাল থাকলে চীন থেকে মার্কিন ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা সরবে। এতে বাংলাদেশের লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বাংলাদেশ যদি দ্রুত কূটনৈতিকভাবে সক্রিয় হয়, তবে এই সুযোগ কাজে লাগানো সম্ভব।

বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ মনে করে, এই পরিস্থিতিতে সরকারকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ে দর-কষাকষিতে যেতে হবে এবং রপ্তানিকারকদের জন্য নীতিগত সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে।

পাশাপাশি, চীন থেকে স্থানান্তরিত কারখানাগুলো আকৃষ্ট করতেও প্রস্তুত থাকতে হবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়ার পরিবর্তে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ চুক্তি করা বেশি কার্যকর হবে।

এখন প্রয়োজন দ্রুত কূটনৈতিক উদ্যোগ ও দীর্ঘমেয়াদী প্রস্তুতি, যাতে প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ পিছিয়ে না পড়ে।

দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড
ছবির ক্যাপশান,দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড

দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রধান শিরোনাম, ‘Tracing billions: Govt for speedy settlement with kleptocrats before polls‘ অর্থাৎ ‘শত শত কোটি টাকা পাচার: নির্বাচনের আগে পাচারকারীদের সাথে দ্রুত নিষ্পত্তিতে বসবে সরকার’

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আগামী নির্বাচনের আগেই বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধার করতে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে চায়।

সরকার দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত যেসব ব্যক্তি ২০০ কোটি টাকার বেশি অর্থ পাচার করেছেন, তাদের সঙ্গে মীমাংসার মাধ্যমে অর্থ ফেরত আনার পরিকল্পনা করছে, যাতে দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া এড়ানো যায়।

অনেক অভিযুক্ত ব্যক্তি আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কায় মামলা না করে মীমাংসায় রাজি হতে আগ্রহ দেখিয়েছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের নেতৃত্বে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে, যা ১০০টি বড় দুর্নীতির মামলার ওপর কাজ করছে।

এই মামলাগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক লিটিগেশন ফান্ডারদের (যারা উদ্ধার করা অর্থের একটি ভাগ পাওয়ার শর্তে মামলায় আর্থিক সহায়তা দেয়) সহায়তা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে যুক্তরাজ্যের সরকার, সিঙ্গাপুর ও অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে আলোচনাও শুরু হয়েছে।

তবে বাংলাদেশের সমস্যা হলো, আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী প্রমাণ সংগ্রহে এখনো দেশটি পিছিয়ে আছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক মেয়ের মধ্যেই আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করে এসব প্রমাণ সংগ্রহের কাজ জোরদার করতে চায়।

এজন্য যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি, এফবিআইসহ বিভিন্ন সংস্থার সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা প্রকাশ করেছেন।

কালের কণ্ঠ
ছবির ক্যাপশান,কালের কণ্ঠ

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সংবিধান সংস্কার নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব দিয়েছে।

তারা চায়, দেশের নাম ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ থেকে পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশ জনকল্যাণ রাষ্ট্র’ বা ইংরেজিতে ‘পিপলস ওয়েলফেয়ার স্টেট অব বাংলাদেশ’ রাখা হোক।

তাদের মতে, এই নামে দেশের কল্যাণমূলক উদ্দেশ্য আরও স্পষ্ট হবে।

তারা শরিয়াহ আইন চালু করার পাশাপাশি প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) পদ্ধতির নির্বাচন চালুর প্রস্তাবও দিয়েছে।

সংবিধানের অনেক সংস্কার প্রস্তাবের সঙ্গেই ইসলামী আন্দোলন একমত। যেমন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমিত রাখা, একজন ব্যক্তি একাধিক পদে না থাকা, সংসদের ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল ইত্যাদি।

বিচার বিভাগীয় ২৩টি প্রস্তাবের মধ্যে ২১টির সঙ্গেই তারা একমত। এছাড়া তারা চায়, শরিয়াহ কোর্ট স্থাপন হোক এবং রাষ্ট্রপতির ক্ষমা দেওয়ার আগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মতামত নেওয়া হোক।

তারা বিশ্বাস করে, দেশে চুরি, ধর্ষণ, দুর্নীতি ও সন্ত্রাস বন্ধে বর্তমান আইন যথেষ্ট নয়। এজন্য তারা শরিয়াহ আইন কার্যকরের দাবি জানায়। এখন পর্যন্ত ৩২টি দল তাদের মতামত জমা দিয়েছে। সব দল একমত হলে জুলাই মাসে একটি চূড়ান্ত চুক্তি সই হবে।

ঢাকা ট্রিবিউন
ছবির ক্যাপশান,ঢাকা ট্রিবিউন

ঢাকা ট্রিবিউনের প্রধান শিরোনাম, How prepared is the Power Division to tackle load-shedding‘ অর্থাৎ, ‘লোডশেডিং মোকাবিলায় বিদ্যুৎ বিভাগ কতটা প্রস্তুত?’

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গরমের কারণে ঢাকা এবং আশপাশের এলাকা, এমনকি গ্রামীণ অঞ্চলে প্রতিদিন লোড-শেডিং হচ্ছে, যা দিনে দুই থেকে তিন ঘণ্টা স্থায়ী হচ্ছে।

এপ্রিল মাসের শুরু থেকে তাপমাত্রা বেড়েছে এবং কয়েকটি জেলার মধ্যে তাপপ্রবাহ চলমান রয়েছে। এই বছর আগের তুলনায় গরম আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে।

মে মাসে তাপপ্রবাহের মাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর সতর্ক করেছে। ইতিমধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এই গ্রীষ্মে ১,৪০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত লোড-শেডিং হতে পারে। বর্তমানে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৭ হাজার ১১৫ মেগাওয়াট।তবে তা সরবরাহ চাহিদার সঙ্গে মিলছে না।

গত বুধবার, বিদ্যুতের চাহিদা ১৪ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট ছুঁয়েছিল, কিন্তু উৎপাদন ছিল ১৪ হাজার ৪৮৪৮ মেগাওয়াট, ফলে ৫০০ মেগাওয়াট লোড-শেডিং হয়েছিল।

এছাড়া, বিদ্যুৎ খাতের বকেয়া বিলের পরিমাণ বাড়ছে, যা বিদ্যুৎ সরবরাহে আরও সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। গ্রীষ্মকালে ১৮ হাজার মেগাওয়াট চাহিদা হতে পারে।

এতে লোড-শেডিং ১,৫০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। তবে সরকার বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করছে এবং পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রাখার দাবি করছে।

বণিক বার্তা
ছবির ক্যাপশান,বণিক বার্তা

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ সরকার বর্তমানে এলএনজি (তরলিকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানির জন্য বিশ্বব্যাংকের কাছে ৭০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা চাচ্ছে।

দেশটি বর্তমানে ডলারের সংকটে জ্বালানি বিল পরিশোধে সমস্যায় পড়েছে এবং এলএনজি আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহ করতে বিশ্বব্যাংক থেকে ঋণ নিতে আলোচনা করছে।

এই ঋণ সুবিধার আওতায় পেট্রোবাংলাকে দুই ধাপে ৭০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়া হবে। প্রথম ধাপে ৩৫ কোটি ডলার দেওয়া হবে এবং দ্বিতীয় ধাপে একই পরিমাণ অর্থ দেওয়া হবে।

এতে ২০ কোটি ডলার দীর্ঘমেয়াদে, পাঁচ কোটি ডলার স্পট মার্কেট থেকে এবং ১০ কোটি ডলার মূলধন হিসেবে পেট্রোবাংলাকে দেয়া হবে।

এ ঋণের মাধ্যমে এলএনজি আমদানিতে বছরে ২ কোটি ডলার সাশ্রয় হবে এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় কমবে।

তবে, এই ঋণ সুবিধা পেতে সরকারের পক্ষ থেকে একটি ক্ষতিপূরণ চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে।

বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৯০টি এলএনজি কার্গো আমদানির লক্ষ্য রয়েছে, যার মধ্যে বেশিরভাগ এলএনজি দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি থেকে আসবে।

ঋণ সুবিধার মাধ্যমে সরকার আশা করছে, এলএনজি সরবরাহের ব্যয় কমিয়ে বিদ্যুৎ সংকট মেটানো সম্ভব হবে।

আজকের পত্রিকা
ছবির ক্যাপশান,আজকের পত্রিকা

আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম, ‘জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর সরবরাহে সংকট

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর সরবরাহে সংকট সৃষ্টি হয়েছে, যার ফলে অপ্রত্যাশিত গর্ভধারণ এবং কিশোরী গর্ভধারণ ও গর্ভপাতের ঘটনা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সরকারি খাত থেকে দেওয়া জন্মনিয়ন্ত্রণ উপকরণ সরবরাহ গত এক বছরে এক-চতুর্থাংশে নেমে এসেছে। এর মধ্যে খাওয়ার বড়ি, ইনজেক্টেবল, কনডম, ইমপ্ল্যান্ট ও আইইউডি অন্তর্ভুক্ত।

গত জানুয়ারি মাসে খাওয়ার বড়ি, ইনজেক্টেবল এবং কনডমের ব্যবহার অনেক কমে গেছে।

বিশেষ করে ১৫১টি উপজেলায় খাওয়ার বড়ি নেই এবং ১৩১টি উপজেলায় মজুত শূন্য হয়ে যাবে শিগগিরই।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দেশে ব্যবহৃত জন্মনিয়ন্ত্রণ উপকরণের মধ্যে ৩৭ শতাংশ আসে সরকারি খাত থেকে, যা জনসংখ্যার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, এসব উপকরণের ঘাটতির কারণে অপ্রত্যাশিত গর্ভধারণ ও গর্ভপাত বাড়বে, বিশেষ করে প্রান্তিক জনগণের মধ্যে।

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সরকারকে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে, কারণ বর্তমান প্রজনন হার কমানো যায়নি। এ সংকটের কারণে সরকারের ভূমিকা ও নীতিগত সিদ্ধান্তে ঘাটতির কারণে দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির সমস্যা অব্যাহত থাকতে পারে।

নিউ এজ
ছবির ক্যাপশান,নিউ এজ

নিউ এজের প্রধান শিরোনাম, ‘Health services almost absent in jails‘ অর্থাৎ, ‘কারাগারে স্বাস্থ্যসেবা প্রায় অনুপস্থিত’

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দেশের কারাগারে স্বাস্থ্য সেবার অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। ৬৯টি কারাগারে ৭০ হাজার বন্দির জন্য স্বাস্থ্য সেবা দিতে ১৪১টি শূন্য পদে মাত্র দুইজন ডাক্তার নিযুক্ত রয়েছেন।

এর মধ্যে ৫৩টি কারাগারে জরুরি রোগী পরিবহন করার জন্য অ্যাম্বুলেন্স নেই।

মানবাধিকারকর্মীরা মনে করেন, কারাগারে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা না দেওয়া নাগরিকের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন।

বর্তমান সরকারের প্রতি তাদের আহ্বান, যাতে কারাগারের বন্দিদের স্বাস্থ্যসেবার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

২০২০ সালে হাইকোর্ট কারাগারে চিকিৎসক নিয়োগের জন্য নির্দেশ দিয়েছিল, কিন্তু এখনও এ বিষয়ে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

এই অবস্থা কারাগারে বন্দিদের মৌলিক অধিকার সুরক্ষিত না থাকার বড় উদাহরণ। ৬৯টি কারাগারের মধ্যে ১৬টি কারাগারে অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে, বাকিগুলোর জন্য বন্দির আত্মীয়দের নিজে অ্যাম্বুলেন্স সংগ্রহ করতে হয়।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এর সমাধান করতে না পারলে এটি দেশের গণতান্ত্রিক যাত্রা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।

bbc bangla

পূর্বের খবরমতলব দক্ষিণে বাজারে আগুন, পুড়ে গেল ১৭ দোকান
পরবর্তি খবরমূল্যস্ফীতি পৌঁছাবে ১০.২ শতাংশে, জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৩.৯ শতাংশ -এডিবি