সব ধরনের ফেডারেল অনুদান ও ঋণ বন্ধ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া আদেশ সাময়িকভাবে স্থগিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত। আদেশটি কার্যকর হওয়ার আগেই গতকাল মঙ্গলবার এই স্থগিতাদেশ দেন বিচারক লরেন আলীখান। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
বিচারক আলীখান বলেন, ট্রাম্পের আদেশ পরবর্তী সোমবার বিকেল ৫টা (মার্কিন পূর্বাঞ্চলীয় সময়) বা রাত ১০টা (গ্রিনিচ মান সময়) পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
এর আগে গত সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডেনাল্ড ট্রাম্প সব ধরনের ফেডারেল সহায়তা ও ঋণ স্থগিতের নির্দেশ দেন। এরপর সাধারণ জনগণ ও রাজনীতিকদের মধ্যে এ নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
এর আগে গত সোমবার প্রকাশিত একটি মেমোতে অফিস অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বাজেট (ওএমবি)-এর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ম্যাথিউ ভ্যাথ জানান, ফেডারেল অনুদান ও ঋণ স্থগিত করা হয়েছে।
মেমোতে বলা হয়েছে, এই স্থগিতাদেশে বিদেশি সাহায্য এবং বেসরকারি সংস্থাগুলো (এনজিও)-সহ বিভিন্ন খাতের তহবিল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
তবে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখান ডেমোক্র্যাট নেতারা। তারা এই পদক্ষেপকে অবৈধ ও বিপজ্জনক বলে অভিহিত করেছেন। সোমবার রাতে ওএমবি-র ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ম্যাথিউ ভ্যাথকে লেখা এক চিঠিতে সিনেটর প্যাটি মারে এবং কংগ্রেসওম্যান রোজ ডেলাউরো বলেন, এই আদেশ নজিরবিহীন এবং এর প্রভাব সারা দেশে ধ্বংসাত্মক হবে।
সিনেট ডেমোক্র্যাট নেতা চাক শুমার এক বিবৃতিতে বলেন, কংগ্রেস অনুমোদিত ব্যয় বন্ধ করার অধিকার প্রশাসনের নেই। এই আদেশ বাস্তবায়িত হলে লাখ লাখ আমেরিকানের ক্ষতি হবে। তিনি বলেন, এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে অলাভজনক সংস্থা, রাজ্য দুর্যোগ সহায়তা, স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বয়স্কদের সহায়তা এবং প্রয়োজনীয় খাদ্য সরবরাহে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে।