‘আমি বাংলায় গান গাই’-এর স্রষ্টা প্রতুল মুখোপাধ্যায় আইসিইউতে

গুরুতর অসুস্থ বর্ষীয়ান সংগীতজ্ঞ প্রতুল মুখোপাধ্যায়। আইসিইউতে চিকিৎসা চলছে এ গায়ক-সুরকারের। বিগত দুই সপ্তাহ ধরেই এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ‘আমি বাংলায় গান গাই’-এর স্রষ্টা।

ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, অন্ত্রের অপারেশনের পর হার্ট অ্যাটাক হয় প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের।

দ্রুত অবনতি হতে থাকে শারীরিক অবস্থার। অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী সংক্রমণের ফলে পরিস্থিতি ক্রমে জটিল হয়ে উঠছে।

এসএসকেএম হাসপাতাল সূত্রের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত গায়ক। সোমবার তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।

রাজ্যের দুই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও ইন্দ্রনীল সেনও হাসপাতালে প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের খোঁজখবর নিয়েছেন। চিকিৎসকদের নিয়ে মেডিকেল বোর্ড গঠন হয়েছে। এদিন রাতেও তিনি সংকটজনক অবস্থায় এসএসকেএমের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন বলে জানিয়েছে মেডিকেল বোর্ড সূত্র।কয়েকদিন আগেও হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে চিকিৎসকদের ‘আমি বাংলার গান গাই’ গেয়ে শোনান প্রবীণ গায়ক।

কিন্তু সপ্তাহ খানেক আগে তার আচমকাই শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। কারণ, হার্ট অ্যাটাক হয়েছে গায়কের। তড়িঘড়ি কার্ডিওলজি বিভাগে স্থানান্তর করা হয় তাকে। সেখানেই ধরা পড়ে, ফুসফুসেও প্রবল সংক্রমণ রয়েছে। তবে সেই সংক্রমণ ব্যাকটেরিয়া না ভাইরাসের জেরে, নাকি মিশ্র গোত্রের, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
কড়া অ্যান্টিবায়োটিক চললেও তাতে সেভাবে সাড়া দিচ্ছেন না প্রতুল।

১৯৪২ সালের ২৫ জুন অবিভক্ত বাংলার বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন প্রতুল মুখোপাধ্যায়। তার অ্যালবামগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘পাথরে পাথরে নাচে আগুন’ (১৯৮৮), ‘যেতে হবে’ (১৯৯৪), ‘ওঠো হে’ (১৯৯৪), ‘কুট্টুস কাট্টুস’ (১৯৯৭), ‘স্বপ্নের ফেরিওয়ালা’ (২০০০), ‘তোমাকে দেখেছিলাম’ (২০০০), ‘স্বপনপুরে’ (২০০২), ‘অনেক নতুন বন্ধু হোক’ (২০০৪), ‘হযবরল’ (২০০৪), ‘দুই কানুর উপাখ্যান’ (২০০৫), ‘আঁধার নামে’ (২০০৭)। বাংলাদেশে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন থেকে প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের একটি অ্যালবাম প্রকাশিত হয় ২০১১ সালের মার্চে। অ্যালবামটির নাম ‘আমি বাংলায় গান গাই’। 

পূর্বের খবর‘ডেভিল হান্ট’ নামে গায়েবি মামলা হচ্ছে: জি এম কাদে
পরবর্তি খবরতত্ত্বাবধায়ক নিয়ে রিভিউ শুনানি দুই সপ্তাহ মুলতবি