শিবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান পদে কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা মোবাশ্বার হোসেন স্বরাজকে দেখতে চায় এলাকাবাসী!

চলতি মাসেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ার খবরে সম্ভাব্য প্রার্থীরা আটঘাট বেঁধেই মাঠে নেমেছেন। চায়ের দোকান থেকে সর্বত্রই চলছে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কে হবেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী।

নির্বাচনী আলোচনায় সাধারণ ভোটারদের মুখে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৯৭০, ৭৩ ও ৮৬ সালে সংসদ সদস্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মোজাফফর হোসেনের সন্তান, জেলা যুবলীগের সাবেক নেতা ও বর্তমান কেন্দ্রীয় যুবলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মোবাশ্বার হোসেন স্বরাজ এর নাম শোনা যাচ্ছে সর্বত্র। সদ্য সমাপ্ত বগুড়া-২ শিবগঞ্জ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পৌর মেয়র তৌহিদুর রহমান মানিক দলীয় মনোনয়ন পান এবং দলীয় সিদ্ধান্তের কারনে জাতীয় পার্টিকে নিয়ে আসনটি  ছেড়ে দেয়ায় প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেয়। এতে করে দ্বীধাবিভক্ত হয়ে পরে স্থানীয় আওয়ামীলীগ। বেশীরভাগ আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা জাতীয় পার্টি প্রার্থী শরিফুল ইসলাম জিন্নাহর পক্ষে সমর্থন না দিয়ে বিএনপি থেকে বহিস্কৃত নেত্রী বিউটি বেগমের পক্ষে পাঠে নামেন। এদিকে কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা অবস্থান নেয় বারবার আওয়ামী দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্ত প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আকরাম হোসেনের পক্ষে। কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা সতন্ত্র প্রার্থী না হওয়ার কারন হিসেবে বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গত বছরের আগস্টে গনভবনে সাক্ষাতের পর অনেকের ধারণা ছিল সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিব। কিন্তু দলীয় প্রতীকে বাহিরে নির্বাচন দাড়ানোর বিষয়ে কখনো প্রস্তূত ছিলাম না। তার পিতার মত তিনিও দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। হঠাৎ দল থেকে সতন্ত্র দাড়ানোর বিষয়ে শিথিলতায় তিনি অপ্রস্তূত ছিলেন বিধায় দাড়াননি।

এদিকে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে মাঠে প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজ আহমেদ রিজু ও নির্বাচনী মাঠে রয়েছে। কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা স্বরাজ জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকেই তিনি দিন রাত সভা-সমাবেশ, উঠান বৈঠক ও নিজ নিজ দলের তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের নিয়ে গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি আরো বলেন উপজেলা নির্বাচন বা সংসদ নির্বাচন বুঝিনা জনগনের সঙ্গে তার এই সম্পর্ক তিনি আজীবন চালিয়ে যাবেন।

এলাকার ভোটার ও সাধারণ সচেতন মহল মনেকরে, তার মত একজন সৎ, নিষ্ঠাবান ও গ্রহনযোগ্য প্রার্থীকে এলাকার উন্নয়নের জন্য আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চায়। যাতে তিনি তার সততা, নিষ্ঠা, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে স্মার্ট শিবগঞ্জ উপজেলা গড়তে পারেন।

এস/ভি নিউজ

পূর্বের খবরদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন
পরবর্তি খবর‘চীনে বিক্রি পাহাড়ি তরুণীরা’