দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) ৯ দফা দাবি আদায়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ১১টা থেকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন তারা। প্ল্যাকার্ডে শিক্ষার্থীরা লিখেন, ‘ক্রেডিট ফি কমাতে হবে, হাকসু নির্বাচন দিতে হবে; দিয়ে দাও, ছাত্রলীগ নেতাদের অবৈধ নিয়োগ বাতিল চাই।’
শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের ৯ দফা যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়নের লিখিত আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবন ত্যাগ করবেন না তারা।
শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবিগুলো হলো:
১. একমাসের মধ্যে ছাত্র সংসদের নীতিমালা প্রণয়ন করে, সময়সূচি ঘোষণা করতে হবে।
২. ক্রেডিট ফি ৭৫-৮০ টাকা করে নোটিশ জারি করতে হবে।
৩. সেশনজট নিরসনে একাডেমিক রোডম্যাপ দিতে হবে, এবং বাস্তবায়নের জন্য কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
৪. লাইব্রেরির মুজিব কর্নারকে জব কর্নার করে চাকরির বিভিন্ন বই দিতে হবে।
৫. আগামীকাল থেকে গোপালগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস স্টপেজ করতে হবে।
৬. হামলাকারীদের বিচার আগামী ৭দিনের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে হবে।
৭. এক মাসের মধ্যে টিএসসি থেকে ব্যাংক অপসারণ করতে হবে।
৮. অবৈধ নিয়োগ বাতিলের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।
৯. শিক্ষক ও ক্লাসরুম সংকট দূরীকরণের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।
আন্দোলনের বক্তব্য দেওয়া শিক্ষার্থী তোফাজ্জল হোসেন তপু জানান, আমরা বিভিন্ন ক্যাম্পাসে দেখছি জুলাই আন্দোলনে হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। শিক্ষার্থীবান্ধব বিভিন্ন দাবিদাওয়া গুরুত্ব দিয়ে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কিন্তু হাবিপ্রবি তার ঠিক বিপরীত। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। আমরা আমাদের দাবি আদায় করেই মাঠ ছাড়বো।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক ড.এস.এম. এমদাদুল হাসান বলেন, ‘এই দাবিগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক মানোন্নয়নের লক্ষেই সম্পৃক্ত। আমরা যতদ্রুত সম্ভব এই দাবিগুলো সমাধান করে বিশ্ববিদ্যালয়কে কাঙ্ক্ষিত মানে নিয়ে যাব।’
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের দাবিগুলো বাস্তবায়নে লিখিত রোডম্যাপ না আসা পর্যন্ত তারা প্রশাসনিক ভবন ত্যাগ করবেন না।