ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমে তার সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোস্যালে এই যুদ্ধবিরতির কথা জানিয়ে বলেন, দুই দেশ কমন সেন্স ও অসাধারণ বুদ্ধির পরিচয় দিয়েছে এবং যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে।
তারপর ভারত জানায়, বিকেল পাঁচটা থেকে দুই দেশের স্থল, বিমান ও নৌবাহিনীর পূর্ণ যুদ্ধবিরতি পালন করবে। আগামী ১২ মে দুই দেশের ডিজিএমও বা ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশন আবার কথা বলবেন।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর টুইট করে বলেছেন, ভারত ও পাকিস্তান এই সমঝোতায় এসেছে যে, সব ধরনের সামরিক কার্যকলাপ ও গোলাগুলি বন্ধ থাকবে। তিনি আরো বলেন, ভারত সবসময় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোরতম মনোভাব দেখিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও দেখাবে।
ভারতে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পাকিস্তানের ডিজিএমও প্রথমে ফোন করে। আলোচনা হয় এবং দুই দেশ সমঝোতায় পৌঁছায়।
পাকিস্তানের উপ প্রধানমন্ত্রী ইশহাক ডার বলেছেন, পাকিস্তান ও ভারত আংশিক নয়, পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। সর্বত্র, এই সমঝোতা কার্যকর হবে – জানিয়ে তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি সমঝোতা প্রক্রিয়ায় একটা বড় ভূমিকা নিয়েছেন।
পাকিস্তান এয়ারপোর্ট অথরিটির তরফে জানানো হয়েছে, দেশের সব বিমানবন্দরে স্বাভাবিকভাবে বিমান চলাচল শুরু হয়ে গেছে।
ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে যা বলা হলো
যুদ্ধবিরতির কথা ঘোষণা করার পর ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানানো হয়, ভবিষ্যতে আবার প্রয়োজন হলে এরকম কঠোর মনোভাব দেখানো হবে। পহেলগাম কাণ্ডের পর ভারতের প্রতিক্রিয়া খুবই নির্দিষ্ট ও সংযত ছিল।
কর্নেল সোফিয়া কুরেশি বলেন, ভারতীয় সেনা ও বিমান বাহিনী পাকিস্তানের প্রচুর ক্ষতি করতে সক্ষম হয়েছে। পাকিস্তান ভূমি ও আকাশে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাকিস্তানের খুবই গুরুত্বপূর্ণ সেনা ঘাঁটি স্কার্দু, ভোলারি, জাকোবাবাদ, সারগোদার বিপুল ক্ষতি হয়েছে। ভারত বলেছে, তারা পাকিস্তানের সামরিক পরিকাঠামোতে আঘাত করার চেষ্টা করেছে।
সোফিয়া কুরেশি আরো বলেন, পাকিস্তান সমানে অপতথ্য প্রচার করেছে। তারা বলেছে, ভারতের এস ৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ধ্বংস করতে পেরেছে, যা মিথ্যা; তারা বলেছে, ভারত পাকিস্তানের মসজিদে আক্রমণ করেছে, যা পুরোপুরি মিথ্যা কথা; ব্রক্ষ্মস ইনস্টলেশন ধ্বংস করার দাবি মিথ্যা, চণ্ডীগড়সহ অন্য জায়গায় অস্ত্র, গোলাবারুদ নষ্ট করার কথাও মিথ্যা। ভারত একটা ধর্মনিরপেক্ষ দেশ, কোনো ধর্মীয় জায়গা ভারতের সেনা টার্গেট করেনি – দাবি করে আরো বলা হয়, ভারত শুধু জঙ্গি ধাঁটি ও সামরিক পরিকাঠামো লক্ষ্য করে আঘাত করেছে।
জিএইচ/এসিবি(পিটিআই, রয়টার্স, এপি)