মোবাইল ফোন ও সোশাল মিডিয়া এক ধরনের নেশা। আমরা বড়রাই এতে আসক্ত। শিশুদের কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। কেউ যখন কোনো কিছুতে আসক্ত হয়, তখন কি সেটা কেড়ে নেওয়া যায়? কেড়ে নেওয়াই কি সমাধান?
বাচ্চাদের কাছে সোশাল মিডিয়া হচ্ছে তার প্রতিদিনের ডায়রির মতো। সেখানে তারা কী করে আমরা জানি না। এই জগৎ এক অচেনা জগৎ। কখনো কখনো অন্ধকারও, যেখানে বড়দের প্রবেশ নিষিদ্ধ। শিশুরা সেখানে কাউকে ঢুকতে দেবে না। না দেওয়াটাই স্বাভাবিক। আমি আপনি কি আমাদের সোশাল মিডিয়াতে কাউকে ঢুকতে দেব!
এখন চাইলেই কি সন্তানদের হাত থেকে এসব কেড়ে নেওয়া সম্ভব? তার চেয়েও বড় কথা – এই নেওয়াটা কতোখানি যৌক্তিক? বর্তমান সমাজ ব্যবস্থাই তো এসবকে ঘিরে তৈরি। এসব থেকে বঞ্চিত করলে তারা তো আজকের পৃথিবীকে থেকেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।
এই ফাঁদ কি আমরা তৈরি করেছি? না। এর জন্য দায়ী বড় বড় প্রযুক্তি কোম্পানি। এটা তাদের বাণিজ্য। তারা মুনাফা করছে। কিন্তু তাদের তো সামাজিক দায়িত্বও রয়েছে।
একারণে ফোন ও সোশাল মিডিয়াকে শিশুদের জন্য নিরাপদ করা তাদের দায়িত্ব। প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোকে এমন প্রযুক্তি তৈরি করতে হবে যাতে এসব শিশুদের ক্ষতি করতে না পারে। এই কাজটা তারা কীভাবে করবে সেটা আমাদের জানা নেই। কিন্তু প্রযুক্তিবিদদেরকেই সেই কৌশল উদ্ভাবন করতে হবে।
সূত্রঃ বিশিষ্ট সাংবাদিক মিজানুর রহমান খানের ফেসবুক থেকে।
এস/ভি নিউজ