ঘটতে পারে ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়: চট্টগ্রাম বন্দরের তেল ছড়ানো বিচ্ছুরণকারীর সংকট, মজুদ মেয়াদ উত্তীর্ণ

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:

চট্টগ্রাম বন্দরে তেল ছড়ানো বিচ্ছুরণকারী সংকট, যা মজুদ জাত আছে তা মেয়াদ উত্তীর্ণ। ফলে ঘটতে পারে ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়। আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে ক্রয় প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন বন্ধ আছে৷

অপরিশোধিত তেলের ট্যাঙ্কার নদীর মোহনায় সাগরের বুকে গেলে লক্ষ লক্ষ লিটার তেল এলাকার সর্বোচ্চ ছড়িয়ে পড়ে। ফলে জলজ প্রাণী সম্পদ ধ্বংস হয়। ঘটে মারত্মক পরিবেশ বিপর্যয়। প্রায় চার বছর আগে সুন্দরবনে এরকম একটা অপরিশোধিত তেলের ট্যাংকার ডুবে সুন্দরবন ধ্বংস করে। গত বছর ১১ লক্ষ লিটার তেল নিয়ে একটি জাহাজ সুন্দরবনের ডুবেছে। এর ফলে যে পরিবেশ প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটেছিল যা ঠেকাতে ব্যর্থ হতে হয়েছে। প্রায়শ অপরিশোধিত তেলবাহী জাহাজ ডুবার ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে তেল ছড়ানো বিচ্ছুরণকারী ভাসমান তেলের উপর মেশিনের সাহায্যে ছড়িয়ে দিলে ঐ ভাসমান তেল দূরীভূত করা যায়। ফলে ভাসমান তেলের সাথে বিক্রিয়রার ফলে ভাসমান তেল পানির নিচে তলিয়ে যায় এবং প্রাণী পরিবেশ বিপর্যয় হতে রক্ষা পায়।

সূত্র জানায় চট্টগ্রাম বন্দরে চারটি জাহাজ এই Oil spill dispersant throughing equipment fit বা তেল ছিটানো মাধ্যমে বিচ্ছিন্নকারী করা আছে এবং চট্টগ্রাম বন্দর শুখু এই কাজটি করে আসছে। তারাই দেশের একাজে অন্য বন্দরকে সহযোগিতা করে থাকে। অখচ এই কাজে ব্যবহারিত তেল ছড়িয়ে দেওয়ার উপদানটি তাদের কাছে মজুদ নেই।

জানা গেছে চারটি জাহাজ যে পরিমাণ মজুদ রয়েছে তাহা মেয়াদ উত্তীর্ণ এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ ওয়েল ব্যবহার করলে সমস্ত সমুদ্রের জলপ্রাণী ও জলস উদ্ভিদের বিপর্যয় ঘটবে।

অথচ চট্টগ্রাম বন্দর এই অবস্থা থেকে অন্যান্য বন্দরকে একাজে সহযোগিতা দেয়। কিন্তু বর্তমান Oil spill dispersant কোন মজুদ নাই। তাই এই ধরনের অপরিশোধিত তেলের ট্যাংকার ডুবে গেলে পরিবেশের বিপর্যয় ঘটবে। তাই Oil spill dispersant চট্টগ্রাম পোর্টে পর্যাপ্ত মজুদ থাকা প্রয়োজন। জানা গেছে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে ক্রয়-বিক্রয় দীর্ঘদিন বন্ধ আছে। এ বিষয়টি নিয়ে পরিবেশবাদীরা উদ্বিগ্ন। তারা এসমস্যার দ্রুত সমাধান চায়।

এস/ভি নিউজ

পূর্বের খবরসয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করে দিল সরকার
পরবর্তি খবরকৃষিতে ইএনএম ব্যবহারে ঢাবির গবেষকদের সাফল্য, সবুজ বিপ্লবের সম্ভাবনা