স্বাধীনতা পরবর্তী কক্সবাজারে প্রথম ট্রেন, উচ্ছ্বসিত সাধারণ জনগণ

Share

অন্তিক চক্রবর্তী  

চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনের উদ্দেশে ট্রেনের প্রথম হুইসেল বেজেছে। এর মাধ্যমে কক্সবাজারের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্নপূরণ হতে চলেছে। হুইসেল শুনে অনেকে দৌড়ে এসেছেন, সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষ এ রুটে ট্রেন দেখে অবাক হয়েছেন। হুইসেলের শব্দে বেশ উচ্ছ্বসিত দেখা গেছে শিশু-কিশোরদের।

রোববার (৫ নভেম্বর) সকাল ৯টা ২ মিনিটে একটি লোকমোটিভসহ আটটি কোচের পরীক্ষামূলক ট্রেন লম্বা হুইসেল দিয়ে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন ছাড়ে। আর এর মধ্য দিয়ে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের সঙ্গে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় যুক্ত হলো রেলপথে।

প্রথম ট্রেনকে পথে পথে স্বাগত জানিয়েছে স্থানীয় মানুষ। কোথাও কোথাও ট্রেনের ওপর ফুল ছিটিয়ে বরণ করে নেয়া হয় নতুন এই রেল যাত্রাকে। ট্রেনটি দেখতে রেললাইনের দুই পাশে ভিড় জমান সববয়সী মানুষজন। অনেকেই মুহূর্তটি মোবাইল ফোনে ধারণ করে রাখেন। ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন নারী-শিশুরা।

মুক্তিযোদ্ধা মৃনাল কান্তি রুদ্র বলেন,বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের পর এই প্রথম ট্রেন দেখলাম। শেখের বেটি কথা দিলে কথা রাখে এটা তাঁর প্রমাণ। কক্সবাজারে ট্রেন আসবে সেই স্বপ্নটা পূরণ হলো।

চকরিয়ার বাসিন্দা এডভোকেট গিয়াস উদ্দিন বলেন,  নিজেদের বাড়ির সামনে দিয়ে প্রথম ট্রেন ছুটে যাচ্ছে। এ দৃশ্য দেখতে পরিবার নিয়ে ট্রেন দেখতে আসলাম। খুব আনন্দ লাগছে।

দেশের কোথাও নতুন রেললাইন নির্মিত হলে রেলওয়ের পরিদর্শন অধিদফতর প্রথমে তা পরীক্ষা করে দেখে। অধিদফতর ছাড়পত্র দিলে নতুন রেলপথটি ট্রেন চলাচলের জন্য উপযোগী বলে বিবেচনা করা হয়। এরপর ট্রায়াল রান (পরীক্ষামূলক চলাচল) ও আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহা ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম জানান, ১৮ হাজার কোটি টাকার বিশাল এই কর্মযজ্ঞের কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালে। ঢাকা থেকে সাত ঘণ্টা আর চট্টগ্রাম থেকে আড়াই ঘণ্টা সময় লাগবে কক্সবাজার যেতে। ঢাকা থেকে রাত ৯টা ১০ মিনিটে যাত্রা শুরু করে সকাল সাড়ে ৬টায় কক্সবাজারে পৌঁছাবে। কক্সবাজার থেকে দুপুর ১টায় যাত্রা করে রাত ৯টা ১০ মিনিটে ঢাকায় ফিরবে।

আগামী ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধনের পর পহেলা ডিসেম্বর থেকে বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু হবে।

এস/ভি নিউজ