রোহিঙ্গাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোই বাংলাদেশ সরকারের প্রধানতম অগ্রাধিকার। আজ বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের বেসামরিক, নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল আজরা জেয়ার সঙ্গে সাক্ষাতে এ কথা জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতিসংঘের ৭৮তম অধিবেশনের ফাঁকে তাদের এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করা আমাদের অগ্রাধিকার। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু করা উচিত, অন্যথায় এ অঞ্চল নিরাপত্তা হুমকির মধ্যে পড়বে। কারণ এরই মধ্যে রোহিঙ্গারা বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে। যার মধ্যে রয়েছে হত্যা, আগ্নেয়াস্ত্র চোরাচালান এবং মাদক ব্যবসা।
প্রধানমন্ত্রী যোগ করেন, প্রত্যাবাসন দীর্ঘায়িত হওয়ায় রোহিঙ্গারা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। এছাড়া কোনো নিশ্চিত ভবিষ্যৎ না অনুভব করায় তাদের মধ্যে অপরাধপ্রবণতাও বাড়ছে। এ সময় গাম্বিয়ার আন্তর্জাতিক আদালতে (আইসিজে) দায়ের করা মামলায় আন্তর্জাতিক সমর্থনও চেয়েছেন শেখ হাসিনা।
বৈঠকে আজরা জেয়া প্রধানমন্ত্রীকে জানান, তারা রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের জন্য বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের জন্য ১১৬ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরত পাঠানো শুরু করার আগে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল।
বৈঠকে তারা বাংলাদেশের আগামী সাধারণ নির্বাচন নিয়েও আলোচনা করেন। আজরা জেয়া বলেন, তারা বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অহিংস নির্বাচন চান।
এ সময় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন জানান, দেশের সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচন হবে। সহিংসতামুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বিশেষ করে রাজনৈতিক দলগুলোর আন্তরিক সহযোগিতা প্রযোজন বলেও উল্লেখ করেন তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা জনগণের ভোটে বিশ্বাস করি। জনগণের ভোট ছাড়া কেউ ক্ষমতায় আসতে পারে না। ভোট কারচুপির মাধ্যমে কেউ ক্ষমতায় এলে তারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না।
এস/ভি নিউজ