মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাংবাদিকতায় বজলুর রহমান স্মৃতিপদক পেলেন তিন সাংবাদিক

Share

 

 

ভিনিউজ : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাংবাদিকতায় বজলুর রহমান স্মৃতিপদক-২০২২ পেয়েছেন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার তিন সাংবাদিক। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাংবাদিকতায় প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় ২০২২ সালের তিন সেরা প্রতিবেদককে এই পদক দেওয়া হয়। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাংবাদিকতায় বজলুর রহমান স্মৃতিপদক ২০২২-এর জন্য প্রিন্ট মিডিয়া ক্যাটাগরিতে যুগ্মভাবে ডেইলি স্টার পত্রিকায় গবেষণাধর্মী প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য গবেষক আমিরুল রাজিব এবং দৈনিক সমকালের বিশেষ প্রতিনিধি রাজীব নূরকে বিজয়ী হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। আমিরুল রাজিবের Women photographers of the Bangladesh Liberation War শিরোনামের প্রতিবেদনটি ২০২২ সালের ১৬ ডিসেম্বর ডেইলি স্টার পত্রিকার বিজয় দিবস সংখ্যায় পুরো তিন পাতা জুড়ে একটি দীর্ঘ গবেষণা প্রবন্ধ আকারে প্রকাশিত হয়।

রাজীব নূর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক পাঁচটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরি করেন এবং ২০২২ সালের ২১ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত দৈনিক সমকাল যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে ধারাবাহিকভাবে তা প্রকাশ করে।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাংবাদিকতায় বজলুর রহমান স্মৃতিপদক ২০২২-এর জন্য ইলেকট্রনিক মিডিয়া ক্যাটাগরিতে সম্মানিত বিচারকমণ্ডলী যমুনা টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক হাবিব রহমানকে বিজয়ী হিসেবে মনোনীত করেছেন। হাবিব রহমানকে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বিশেষ ধারাবাহিক প্রতিবেদন ‘পুলিশ মুক্তিযোদ্ধা: সম্মান আছে, স্বীকৃতি নেই’ তৈরি করেন এবং ২০২২ সালের ১৬ ডিসেম্বর যমুনা টেলিভিশন যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে তা সম্প্রচার করে।

পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পদক প্রদানের জন্য গঠিত জুরিবোর্ডের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ব্যবস্থাপক (কর্মসূচি) রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন- মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অন্যতম ট্রাস্টি আসাদুজ্জামান নূর এমপি এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অন্যতম ট্রাস্টি ডা. সারওয়ার আলী।

অনুষ্ঠানে প্রিন্ট মিডিয়ার পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা ও শংসাবচন পাঠ করেন জুরিবোর্ডের সদস্য নওয়াজেশ আলী খান এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা ও শংসাবচন পাঠ করেন জুরিবোর্ডের অপর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গবেষক এ এস এম সামছুল আরেফিন।

উল্লেখ্য, বিশিষ্ট সাংবাদিক দৈনিক সংবাদের সম্পাদক বজলুর রহমান বাংলাদেশে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার অন্যতম পথিকৃৎ ছিলেন। তিনি ২০১২ সালে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক লাভ করেন। ২০০৮ সালে আকস্মিক অকাল মৃত্যুর পর তার পরিবার ও বন্ধুদের সহায়তায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাংবাদিকতার জন্য বিশিষ্টজনের সমন্বয়ে গঠিত জুরিবোর্ডের মনোনয়নের ভিত্তিতে বজলুর রহমান স্মৃতিপদক প্রবর্তন করে। তারই ধারাবাহিকতায় ২০২২ সালে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাংবাদিকতায় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার তিন সাংবাদিককে বজলুর রহমান স্মৃতিপদক ও পুরস্কার প্রদান করা হয়।