হাফেজ মওলানা জিয়াউল হাসান
মহান আল্লাহ তায়া’লা তাঁর রহমতের চাদর দিয়ে যতদিন পর্যন্ত চাইবেন ভোটের মাধ্যমে হোক আর বিনা ভোটেই হোক শেখ হাসিনাকে খমতায় রাখবেন।
বিএনপির দাবি অনুযায়ী ১৪ সাল এবং ১৮ সালে জনগণ শেখ হাসিনাকে ভোট দেয় নাই। আমি বলি জনগণের হাতে কোন ক্ষমতাই নেই। কারণ আল্লাহ ব্যতীত জনগণ যদি ক্ষমতার মালিক হয়ে থাকতেন, তাহলে বিএনপি’র এক দফা আন্দোলন ব্যর্থ হল কেন? ১৪ এবং ১৮ সালে বিএনপি’র দাবি অনুযায়ী শেখ হাসিনা বিনা ভোটে ক্ষমতায় রয়েছেন। ক্ষমতার যিনি মালিক মহান আল্লাহ তাঁকেই অর্থাৎ শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখেছেন।
ইসলামী দলের নেতা-কর্মীরা বলে থাকেন, নবী মুহাম্মদ (সাঃ) রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন। নবীজি (সাঃ) কোন জনগণের ভোটাভুটিতে রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন? সেই রাষ্ট্রের নামই বা কি ছিল?
সকল খমতার মালিক রব্বুল আলামীন। এর বিরুদ্ধে “জনগণ সকল খমতার উৎস” কথাটা ইসলাম ও কুরআন পরিপন্থী। বিরোধী এই আইন সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়াউর রহমান পবিত্র কুরআনের সূরা আল ইমরানের ২৬ নাম্বার আয়াতে উল্লেখিত “আমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা দান করি এবং যাকে ইচ্ছা ক্ষমতাচ্যুত করি” এবং “সকল খমতার মালিক আল্লাহ”। আল্লাহর দেওয়া এই বিধানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে এবং সূরা মায়েদার ৪৫ ও বাকারার ১৭৮ নাম্বার আয়াতের বিধান অনুযায়ী হত্যাকারীদের বিচার করার বিধানকে বন্ধ করে দিয়ে, আল্লাহর দেওয়া বিচার ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করে।তারা ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করে। সভ্য দুনিয়ার ন্যায-নীতি, গণতন্ত্র, আইনের শাসন, মানুষের বিচার পাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করে। বিচারিক কার্যক্রম রুদ্ধ করে মৌলিক মানবাধিকারের পরিপন্থী কালো আইন পাস করে ৭১’এর ঘাতক এবং ৭৫’-এর ১৫ আগস্ট নৃশংস ভাবে স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবার, জেলখানায় জাতীয় চার নেতার হত্যাকাণ্ডের আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিচার করা যাবেনা এই ঘৃণ্য আইন করেন জেনারেল জিয়াউর রহমান।
পবিত্র কুরআন, ইসলাম এবং মানবতা বিরোধী কুখ্যাত এই ইনডেমনিটি আইন সংসদের মাধ্যমে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করে জেনারেল জিয়াউর রহমান পবিত্র কুরআন এবং ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে সন্দেহাতীত ভাবে কাফের-মুশরিক হিসেবে মৃত্যু বরণ করেন।
কুরআন এবং মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)এর শিক্ষা অনুযায়ী কোন মুসলমানই উপরে উল্লেখিত আয়াত গুলোর বিধান অনুযায়ী জেনারেল জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত বিএনপি নামক দলটির সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারেন না এবং বিএনপিকে সমর্থনও করতে পারেন না।
জেনারেল জিয়াউর রহমান বেঈমান, মুনাফেক, বিশ্বাস ঘাতক এবং ইসলাম ধর্ম থেকে খারিজ হয়ে মৃত্যুবরণ করার বিষয়ে আমি যা বলেছি, তার স্বপক্ষে আমার এই বক্তব্যের বিষয়ে আলেম-ওলামা পীর-মাশায়েখ, ইসলামী চিন্তাবিদ সহ মহামান্য হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট সহ যেকোনো আদালতে হাজির হয়ে- চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে প্রস্তুত রয়েছি।
হাফেজ মওলানা জিয়াউল হাসান, সভাপতি, বাংলাদেশ সম্মিলিত ইসলামী জোট।
এস/ভি নিউজ