উল্লাপাড়াকে মডেল নির্বাচনী এলাকা হিসাবে গড়ে তুলেছেন তানভীর ইমাম

2229

বিশেষ প্রতিবেদন

জয়ন্ত আচার্য , উল্লাপাড়া থেকে ফিরে

ভিনিউজ : উল্লাপাড়া উপজেলা নিয়ে গঠিত সিরাজগঞ্জ -৪ নির্বাচনী এলাকা । একদা সন্ত্রাস কবলিত ও পিছিয়ে পড়া এ নির্বাচনী এলাকাকে উন্নয়ন ও সন্ত্রাসমুক্ত নির্বাচনী এলাকা হিসাবে গড়ে তুলেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা প্রয়াত এই টি ইমামের সুযোগ্য পুত্র তানভীর ইমাম। আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক তানভীর ইমাম বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে ও বাবার মত এলাকার মানুষের পাশে থাকার প্রত্যয় নিয়ে উন্নত বিশ্বের বিলাসী জীবনের মায়া ত্যাগ করে দেশে ফিরে আসেন । আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যোগ দেন। তিনি ২০১৪ ও ২০১৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে দুই বার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।

তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বিএনপি- জামাত প্রভাবিত এ আসনটির অঞ্চল পাল্টে যেতে শুরু করে । সংসদ সদস্য তানভীর ইমামের প্রচেষ্টায় গত প্রায় দশ বছরে এলাকার ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। এলাকা হয়েছে সন্ত্রাস , চাঁদাবাজ মুক্ত । সুসংগঠিত হয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের ও তার অঙ্গ সংগঠন।

প্রতিট গ্রাম থেকে ইউনিয়ন ও ইঊনিয়ন থেকে উপজেলা শহরের পাকা রাস্তার নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে। কার্যত অবকাঠামো উন্নয়নে বদলে গেছে উল্লাপাড়া উপজেলার গ্রামীণ জনপদের দৃশ্যপট। পুরো নির্বাচনী এলাকায় প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুত পৌঁছে গিয়েছে। গত সাড়ে নয় বছরে এলজিইডি থেকে উল্লাপাড়া উপজেলায় প্রায় চারশ’ তিপান্ন কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৮৪টি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। জানা গেছে, উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে নয় কোটি ২২ লাখ টাকা। এছাড়াও এলজিইডি কর্তৃক উপজেলার রামকৃষ্ণপুরে ২২ কোটি ৮১ লাখ ৬০ হাজার টাকা, বাঙ্গালায় প্রায় ২৩ কোটি ৫৬ লাখ, উধুনিয়ায় ২৪ কোটি ৬৫ লাখ, বড়পাঙ্গাসী ২৯ কোটি ৪০ লাখ, মোহনপুর ৩৯ কোটি ৯২ লাখ, দুর্গানগর ৪০ কোটি ৬১ লাখ, পূর্ণিমাগাতী ৩২ কোটি ৩৬ লাখ, সলঙ্গা ৩৬ কোটি ৭৯ লাখ, হাটিকুমরুল ২৫ কোটি ৩৩ লাখ, উল্লাপাড়া সদর ৩৭ কোটি ৩৪ হাজার, সলপ ৪৪ কোটি ২ লাখ, কয়ড়া ১৫ কোটি ৯২ লাখ ও পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নে প্রায় ১৯ কোটি ৯৬ লাখ টাকার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। সামাজিক উন্নয়নে ৬৪টি প্রকল্প, হাট-বাজার উন্নয়নে ৬টি প্রকল্প, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ ১০টি ও সুপেয় পানির পাম্প ২০টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।এলাকার প্রতিটি স্কুল ও মাদ্রাসায় হয়েছে দৃষ্টিনন্দন ভবন।মান বেড়েছে শিক্ষা ব্যাবস্থার ।


উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার কৃষি সমৃদ্ধ উল্লাপাড়ার কৃষি উন্নয়নে তানভীর ইমাম নানা উদ্যোগ নিয়েছে । কৃষক তার উৎপাদিত পন্য যাতে মূল্য পায় তার জন্য গড়ে তুলেছেন কোলষ্টোর । কৃষককেরা যেন সার ও বীজ
পায় এজন্য তিনি সজাগ দৃষ্টি রাথেন । এলাকাবাসীর অভিমত সিরাজগঞ্জ-৪ উল্লাপাড়া আসনে বাংলাদেশ স্বাধীনের পর যত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েঝেন , তারমধ্য সাংসদ তারভীর ইমামের সময়ে রেকর্ড পরিমাণ উন্নতি হয়েছে ।


বিএনপি জামাতে শাসনামলে মূলত এ আসনের জনপথ ছিল সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য । তখন বিএনপি জামাতের স্খানীয় সংসদ সদস্য সন্ত্রাস, থুন ইভটিজিং, মাদককে প্রশয় দিয়ে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিলেন । এসময় আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের উপর নেমে এসে অমানবিক নির্যাতন । প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগ নেতা – কর্মীদের উপর হামলা হওয়া ছিল তখন স্বাভাবিক বিষয় ।সন্ধ্যার পর আওয়ামী লীগ নেতা -কর্মীরা সন্ত্রাসীদের ভয়ে ঘর থেকে বের হওয়াও সাহস পেত না । আওয়ামী লীগ ২০০৮ সাল নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচিত হওয়ার পরও সাংসদের দূর্বলতা কারণে পরিস্থিতির তেমন উন্নতি করতে পারেনি । ২০১৪ সালে তানভীর ইমাম এমপি হওয়ার পর জামায়াত, বিএনপির সন্ত্রাসী কর্মকান্ড কঠোর হাতে দমন করে উল্লাপাড়াবাসীকে ভয়হীনভাবে বাঁচতে স্বপ্ন দেখেন।। উল্রাপাড়ার ব্যবসায়ীরা জানান, বিএনপি – জামাতের শাসনামলে সন্ধ্যার পরই তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়ি চলে যেত হত । এখন ব্যবসায়ী যত রাত ইচ্ছা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখতে পারেন। উল্লাপাড়ার জুয়েলারী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন , অনেক রাত পর্যন্ত আমরা দোকান খোলা রাথি । টাকা নিয়ে বাড়ি যাই ,ভয় লাগে না । উল্লাপাড়ার ধর্মীয় সংখ্যারঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরাও জানিয়েছে , তারা এখন খুব ভাল আছে । ভয়হীন শান্তিপূর্ণ ও সৌর্হাদ্যময় পরিবেশে প্রতিটি ধর্মীয় উৎসব পালন করতে পারছে । প্রতিটি উৎসবে সাংসদ চেষ্টা করেন আমাদের সাথে থাকতে। তাদের অভিমত তানভীর ইমাম স্থানীয় সাংসদ না থাকলে পরিস্থিতি আগের মতই হয়ে যাবে।

এলাকাবাসী জানান, বিএনপি জামাতের উপর কোন অঘাত করেনি তানভীর ইমাম , শুধু তাদের সতর্ক করে দিয়েছে ।এতেই তাদের পলিত সন্ত্রাসীরা এলাকা ছেড়েছে ও নেতা ও কর্মীরা ঘরে ঢুকে গিয়েছে।

তানভীর ইমাম প্রতি সপ্তাহে তার নির্বাচনী আসন উল্লাপাড়ায় ছুটে যান । আলোচনায় বসেন স্খানীয় নেতা কর্মীদের সাথে । রাষ্ট্রীয় ও ধর্মীয় প্রতিটি অনুষ্ঠানে থাকেন এলাকাবাসীর সাখে । সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় প্রতিটি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের আয়োজনে সর্বস্তরের জনগনের সাথে সাংসদ তানভীর ইমামের চা চক্র ও উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত করছেন । প্রতিবছর ২১ ফ্রেরুয়ারিতে আয়োজন করে বিশাল বই মেলা । এ মেলাটি তার প্রয়াত বাবা এস টি ইমান ছাত্র ছাত্রীদের কাছে ৫০ পয়সা করে চাঁদা তুলে শুরু করে গিয়েছিলেন।

আওয়ামী লীগ তার অঙ্গ সংগঠনগুলো সুসংগঠিত এ নির্বাচনী আসনে । প্রতিটি ওয়ার্ড পর্যন্ত রয়েছে আওয়ামী লীগ তার অঙ্গ সংগঠনগুলো পূর্ণাঙ্গ কমিটি । এই কমিটির প্রতিট সদস্য সক্রিয় । তারা ঐক্যবদ্ধ । এই শক্তিশালী দলীয় অবস্থা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এআসনটিতে আওয়ামী লীগের জয়ী হতে সহায়ক হবে বলে সরেজমিনে গিয়ে বোঝা গিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে সংসদ সদস্য তানভীর ইমাম বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন , প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন ধারাকে এগিয়ে নিতে ও আমার বাবার আহব্বানে সাড়া দিয়ে আমি উন্নত জীবনের মায়া ত্যাগ করে বাংলাদেশে ফিরে আসি। বাংলাদেশের ফিরে এসে আমি উল্লাপাড়ার মানুষের সাথে আছি। সংসদ সদস্য হয়ে আমি এই সন্ত্রাসের জনপদকে ভয়হীন সন্ত্রাসমুক্ত করার চেষ্টা করেছি। উল্লাপাড়া উন্নয়নের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি। চেষ্টা করেছি মানুষের জীবনমান উন্নয়নের। আমি সব সময় মানুষের পাশে থাকতে চাই।