বঙ্গবাজারে আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে করবো ঈদ

302

সৈয়দা রাশিদা বারী:

ও ছেলে তুমি যেও না, না যেও না যেও না

বঙ্গবাজারে থেকে এসো না ঈদ করি এক সাথে।

রোজায় সেহেরী খায় যেমন করে

ঐ যে দু’জোড়া রজনীগন্ধা, ওরাই চাঁদ;

চাঁদ উঠেছে যেন দুয়ারে।

রক্ত জবার পিলপিলে হাসি অপলক

শিউলির ফিনফিনে হাসি নিষ্পলক।

টুকটুকে গোলাপের সুমিষ্ট হাসি

গেটের মধ্যে হাসনা ফুটেছে কত

ওরা জোছনায় তোমারই মত কয় কথা শত।

ও ছেলে বঙ্গবাজারের এই দুর্দিনে যেও না

আগুনে পোড়া শাড়ি আমায় কিনে দাও

মানবতায় এসো না ঈদ করি একসাথে

ঈদ করি ঢাকার বঙ্গমার্কেটিদের নিয়ে।

তোমার অপরাজিতার নীল, চোখে দেবো

মুখে দেবো, টগর দোপাটির শুভ্রতা;

চেরি ফুলের হাসি কপালে ছোঁয়াব।

বকুল মাধবীর মালা দেবোÑপাঞ্জাবির পকেটে।

টুপির ডিজাইনে সেন্ট দেবো গন্ধরাজের।

বেলী ফুলের আতরে মন রাঙিয়ে দেবো

দেবো সুজনীর সেলাই রুমাল করে

তাতেÑ‘ভুলো না আমায়’ লিখে।

আর ঈদের বিকেলে কাটাবো একসাথে

পুরানো ঢাকার বঙ্গবাজার সিদ্দিকবাজার

পোড়া ঐ গন্ধে আছে কতনা স্মৃতি বিজড়িত ঘ্রাণ।

রেষ্ট করবো বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক বাড়ি

বত্রিশ নং ধানমন্ডি, আওয়ামী লীগের অফিসে,

ঐ বাড়ির সামনের লেকে বসবো পা ডুবিয়ে।

মসজিদের আশ পাশ ঘুরে নজরুলের মাজার

তিন জাতীয় নেতার স্মৃতি সৌধে বসবো দু’জন।

গলির মধ্যে চিপা দিয়ে দোয়েল চত্বর

মরিয়ম বিবির মাজার ছেড়ে, শাহবাজ বাবার

মাজারে যাবো, ওখানেই তার নির্মিত মসজিদে

আছর নামাজ আদায় করবে তুমি

আমি পড়বো মেয়েদের সাথে দর্গার নামাজী রুমে।

না যদি শোন আমার কথা

থাকো তুমি, থাকো ও ছেলে

আমি বঙ্গবাজারের আগুনে

বিধ্বস্ত ও ক্ষতিগ্রস্থদের সাথে করবো ঈদ।