ইস্টার সানডে আজ

326

খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ইস্টার সানডে আজ রোববার। দিনটি খ্রিষ্ট ধর্মের প্রবর্তক যিশু খ্রিষ্টের পুনরুত্থান দিবস হিসেবে পালন করেন খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা। তাদের মতে দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, সংবেদনশীল এবং আনন্দের।

খ্রিষ্টান ধর্মমতে, এই দিনে ঈশ্বরপুত্র যিশু খ্রিষ্ট মৃত্যুকে জয় করে পুনরুত্থিত হয়ে তাদের পাপ থেকে মুক্ত করেছিলেন। পুণ্য শুক্রবার বা গুড ফ্রাইডেতে বিপৎগামী ইহুদি শাসকগোষ্ঠী তাদের কুসংস্কারাচ্ছন্ন শাসনব্যবস্থা অক্ষুণ্ন রাখার স্বার্থে যিশু খ্রিষ্টকে অন্যায়ভাবে ক্রুশবিদ্ধ করে হত্যা করেছিলো। মৃত্যুর তৃতীয় দিবস রোববার তিনি মৃত্যু থেকে জেগে ওঠেন বা পুনরুত্থান করেন। যিশু খ্রিষ্টের পুনরুত্থানের এই রোববারকেই ইস্টার সানডে বলা হয়।

বড়দিনের মতো ইস্টার সানডে নির্দিষ্ট কোনো তারিখে পালিত হয় না। বলা হয়, ২১ মার্চের পর যখন আকাশে যখন প্রথম পূর্ণ চাঁদ দেখা যায়, তার পরের রোববার পালন করা হয় ইস্টার সানডে। মূলত গ্রেগরিয়ান এবং জুলিয়ান ক্যালেন্ডারসহ বেশ কয়েকটি দিনপঞ্জিকার হিসেব মিলিয়ে বের করা হয় ইস্টারের তারিখ, যা ৪ এপ্রিল থেকে ৮ মে’র মধ্যে যেকোনো সময় হতে পারে।

দিনটি উপলক্ষে রোববার (৯ এপ্রিল) ভোরে মিরপুর ১০ নম্বরে অবস্থিত ঢাকা আঞ্চলিক ব্যাপ্টিস্ট চার্চে প্রাতঃকালীন প্রার্থনা করেন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা। ভোরে মেজর গ্যানেন্দ্র বাড়ৈ প্রারম্ভিক প্রার্থনার মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু করেন। এরপর প্রার্থনা সংগীত ‘সমাবেত কয়ার’, বাইবেল পাঠ, আশীর্বচন অনুষ্ঠিত হয়। সবশেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। এ ছাড়া রাজধানীর কাকরাইল ও তেজগাঁওয়ের ব্যাপ্টিস্ট চার্চ মিশনসহ সব গির্জা ও চার্চে বিশেষ প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।