শিল্প ও সংস্কৃতির চর্চা বাংলাদেশ-নেপালের সম্পর্ক আরো দৃঢ় করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও নেপালের দুই দেশের জনগণের আচার আচরণ, সাংস্কৃতিক ও ভৌগলিক বৈশিষ্ট্য দেশ দুইটির মাঝে বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি করেছে। তাদের সঙ্গে আমাদের প্রতিবেশীর সম্পর্ককে ছাড়িয়ে অনেকটা পারিবারিক সম্পর্কে রূপ নিয়েছে।
রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে বাংলাদেশে অবস্থিত নেপালের দূতাবাস ও বাংলাদেশ-নেপাল ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটির উদ্যোগে আয়োজিত ‘নেপাল-বাংলাদেশ শিল্প ও সংস্কৃতি উৎসব-২০২৩’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের সমাপনীতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
গতকাল শনিবার রাতে নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল হোসেন, একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী অধ্যাপক ড. ফরিদা জামান ও বাংলাদেশ-নেপাল ফ্রেন্ডশীপ সোসাইটির সভাপতি মশিউর আহমেদসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
অনুষ্ঠানে ডেপুটি স্পিকার বলেন, নেপাল আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু, মুক্তিযুদ্ধে তারা আমাদের বন্ধুর মত পাশে ছিল। স্বাধীনতার পরপরই তারা আমাদের দেশকে স্বীকৃতি দেয়। তখন থেকেই নেপালের সাথে আমাদের শিল্প ও সংস্কৃতির সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। নেপাল ও বাংলাদেশ সার্কভুক্ত দেশ হিসেবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামের সদস্য হিসেবে একসাথে কাজ করে যাচ্ছে। পর্যটন, প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা একে অপরের পাশে থাকতে চাই।
বিশ্বশান্তির লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা তুলে ধরে মো. শামসুল হক টুকু বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালিকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন এবং স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। স্বাধীনতার পর দ্রুততম সময়ে একটি সংবিধান প্রণয়ন করেন। তিনি আমাদের শিখিয়েছেন কিভাবে প্রতিবেশী দেশের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হয়। এছাড়া প্রতিবেশী দেশের সাথে, আন্তর্জাতিক বিশ্বের সাথে, দেশের মানুষের সাথে ও বিভিন্ন জাতির সাথে কী সম্পর্ক রেখে আমাদের বাঙালি জাতিকে এগিয়ে নিতে হবে তার নির্দেশনাও তিনি দিয়ে গিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনার আলোকে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।