ভিনিউজ : চলচ্চিত্র অভিনেত্রী পরীমণির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের মারধর, হত্যাচেষ্টা, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে করা মামলায় প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আদালত ২৭ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন।
রোববার (১২ মার্চ) এ মামলায় প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া বেগম প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এদিন ধার্য করেন।
এর আগে গত বছরের ৬ জুলাই একই আদালতে ব্যবসায়ী নাসির মাহমুদ বাদী হয়ে পরীমণিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। অপর দুই আসামি হলেন পরীমণির সহযোগী ফাতেমা-তুজ-জান্নাত বনি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিম।
মামলায় নাসির উদ্দিন উল্লেখ করেন, পরীমণি ও তার সহযোগীরা মাদকসেবী। তারা বিভিন্ন ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করে মূল্য পরিশোধ করে না। বরং অভিযুক্ত পরীমণি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করানোর ভয় দেখান।
আরও বলা হয়, ২০২১ সালের ৯ জুন নাসির উদ্দিন রাত সোয়া ১টার দিকে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন, তখন পরীমণি উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাকে ডাক দেন এবং একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনামূল্যে পার্সেল দেওয়ার জন্য চাপ দেন। এতে রাজি না হওয়ায় পরীমণি নাসিরকে গালিগালাজ করে। একপর্যায়ে পরীমণি বাদীর দিকে একটি গ্লাস ও হাতে থাকা মোবাইল ফোনটিও ছুড়ে মারেন। এতে নাসির উদ্দিন মাথায় এবং বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন। এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরীমণি সাভার থানায় ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিনসহ দু’জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করে।
এর আগে, পরীমণি সাভার থানায় ২০২১ সালের ১৪ জুন ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তার বন্ধু অমিসহ অজ্ঞাত আরও ৪ জনকে আসামি করে মামলা করেন। ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নাসিরসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন।
