আমি শুধু আওয়ামী লীগ করি বলে বিগত জামায়াত -বিএনপি জোট সরকারের শাসনামলে আমার উপরে যে নির্যাতনের স্টীম রোলার চালানো হয়েছে তা অকল্পনীয়-নিলুফার ইয়াসমিন,পঞ্চগড় যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও পঞ্চগড় সদর উপজেলা মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান

777

এগিয়ে চলেছে দেশ।দূর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে দেশের মানুষের উন্নয়নের জয়যাত্রা।জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করা একজন কর্মী, উত্তরের জেলা পঞ্চগড় যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও পঞ্চগড় উপজেলা মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান মিসেস নিলুফার ইয়াসমিন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের অংশীদার হতে পেরে তার অনুভূতি, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে হয় দীর্ঘ আলাপচারীতা।
নিচে সেই আলাপচারীতার চুম্বক অংশ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো:

ভিনিউজ :কেমন আছেন?

মিসেস ইয়াসমিন :
জ্বী,আলহামদুলিল্লাহ।
ভালো আছি।

ভিনিউজ :আপনার রাজনৈতিক শুরুর গল্পটা কেমন?
মিসেস ইয়াসমিন :আসলে আমি ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। কলেজ জীবনে যখন ইন্টারমিডিয়েট ফার্স্ট ইয়ারে পড়ি তখন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ভাবে জড়িয়ে পড়ি।সেই থেকে আজ অবধি মুজিব আদর্শ বুকে নিয়ে বেঁচে আছি।বাকি জীবনটাও মুজিব আদর্শ বুকে নিয়ে কাটিয়ে দিতে চাই।

ভিনিউজ :দীর্ঘ এই পথ পাড়ি দিতে কতটা চড়াই-উতড়াই পাড়ি দিতে হয়েছে।
মিসেস ইয়াসমিন : (হাসি)…
অনেক, অনেক,অনেক।
ভিনিউজ : যেমন?
মিসেস ইয়াসমিন :বিগত জামায়াত -বিএনপি জোট সরকারের শাসনামলে আমার উপরে যে নির্যাতনের স্টীম রোলার চালানো হয়েছে তা অকল্পনীয়। তখন আমার নতুন বিয়ে হয়েছে।বিএনপির হেভিওয়েট নেতা, ততকালীন স্পিকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারের বাড়ি এখানে।যেহেতু আওয়ামীলীগ এর যেকোন মিছিল মিটিংয়ের প্রথম সারিতে ব্যানার নিয়ে আমি থাকতাম,তাই ব্যারিস্টার সাহেবের আক্রমণের টার্গেট ছিলাম আমি।আমার স্বামীকে বারবার বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়া হত।শ্বশুর বাড়িতে আমাকে নিয়ে অনেক বাজে কথা বলা হত।কিন্ত,আমি ভাগ্যবান, আমার হাজবেন্ড কখনোই আমাকে আমার দলীয় কাজে বাধা দেয়নি।বরং সর্বদাই পাশে ছিলো।

ভিনিউজ :আর কোন বাধাবিপত্তি?

মি,ইয়াসমিন :বিগত দুই নির্বাচনের সময় জামায়াতের অন্যতম টার্গেট আমিই ছিলাম।আমার বাড়িতে আক্রমণ,আমার ছেলে-মেয়েদের হত্যা চেষ্টা সহ এমন কোন হেয় কাজ নেই যা তারা করে নাই।

ভিনিউজ :এখন কেমন আছেন?
মি,ইয়াসমিন :যতদিন এই দেশ থাকবে শেখ হাসিনার হাতে, ততোদিন এই দেশের কোন মানুষের আর চিন্তা নাই।অতএব,ভালোই আছি।

ভিনিউজ :আপনিতো একজন জনপ্রতিনিধি। এই উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান। সরকারের উন্নয়নের হাওয়া কতটুকু লেগেছে আপনার এলাকায়?

মি,ইয়াসমিন :গত ১৪ বছরে এই দেশের যে উন্নয়ন হয়েছে তা অকল্পনীয়। গোটা দেশের উন্নয়নের সাথে সাথেই আমাদের সমগ্র পঞ্চগড় হয়েছে উন্নত।আমাদের পঞ্চগড় এখন আলোকিত পঞ্চগড়। এখানকার রাস্তাঘাট, স্কুল কলেজ,শ্রমীক মজুর এমন কেউ নেই যাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি।
দেখুন,একটা সময় এই অঞ্চলের অনেক মানুষ ভিক্ষা করত।অভাবের কারণে না খেয়ে থাকত। এখন কিন্ত এখানে কোন ভিক্ষুক নেই।শতভাগ ভিক্ষুকমুক্ত জেলার একটি পঞ্চগড়। এখানে বেকারত্ব কমেছে,বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক প্রজেক্ট এখানে চলমান,তেতুলিয়া স্থল বন্দরে প্রতিদিন প্রায় ৫/৬ হাজারের অধিক শ্রমিক কাজ করে।যা,জেলার বেকারত্ব একেবারে কমিয়ে দিয়েছে।এখানে শতভাগ বিদ্যুৎ সুবিধা বিদ্যমান।অভাবের কারণে কাউকে আর না খেয়ে থাকতে হয় না।
যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে আমুল। পঞ্চগড়ের মানুষ কখনোই পঞ্চগড়ের মাটি থেকে ট্রেনে চড়তে পারত না।সেই স্বপ্ন এখন বাস্তব।পঞ্চগড় থেকে এখন সরাসরি ট্রেনে ঢাকা যাওয়া যায় যোগাযোগব্যবস্থার আমুল পরিবর্তনের ফলে এই অঞ্চলের মানুষ তাদের উতপাদিত পণ্যাদি সরাসরি ঢাকায় পাঠিয়ে ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন।যা সম্পূর্ণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার অবদান।আসলে শেখ হাসিনা হচ্ছেন একজন ক্যারিশম্যাটিক লিডার ঠিক জাতির জনকের মতো।

ভিনিউজ :সরকারের এতো এতো উন্নয়ন কর্মকান্ডে জনসাধারণকে কতটুকু সম্পৃক্ত করতে পেরেছেন বলে আপনি মনে করেন?

মি,ইয়াসমিন :দেখুন,আমি একজন জনপ্রতিনিধি সেই সাথে জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি।সেই সুবাদে আমি কিন্ত একদম প্রান্তিক জনগণকে কাছ থেকে দেখার, তাদের মনের কথা শুনার সুযোগ আমার হয়।আমি দেখেছি,সরকারের বরাদ্দকৃত যতো সেবা সবগুলো তাদের কাছে পৌছে দিতে তাদের বাড়ি বাড়ি ও আমাদের যেতে হয়েছে।তাদের হাতে সব সুবিধা পৌছে দেয়ার সময় আমি প্রথমেই আমাদের প্রধানমন্ত্রীর অবদানের কথা তাদের জানিয়ে দেই।তবে,মজার ব্যাপার হলো তারা সকলেই জানে যে,তাদের আজকের এই হাসিটুকুর বড় অবদান আমাদের প্রধানমন্ত্রীর।এই মানুষটা যদি আমাদের মুখের হাসি ফুটানোর জন্য এতকিছু করে থাকেন তবে আমরা কেন তার জন্য একটু পরিশ্রম করতে পারব না।

ভিনিউজ :এবার বলুন,সরকারের উন্নয়নের একজন অংশীদার হতে পেরে আপনাকে কেমন লাগছে?

মি,ইয়াসমিন :আমি ভাগ্যবান।আমি ভাগ্যবান।একজন ক্ষুদ্র মুজিব কর্মী হিসেবে আমি এই উন্নয়নের অংশীদার হতে পেরে সত্যিই গর্বিত।

ভিনিউজ :সামনে জাতিয় নির্বাচন। এই নির্বাচন সামনে রেখে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?

মি,ইয়াসমিন : দেখুন,আমি ভাইস চেয়ারম্যান এর আগে কিন্ত আমার মুল পরিচয় আমি একজন মুজিব কর্মী।যুব মহিলা লীগের সভাপতি হিসেবে আমি আমার সংগঠনের কর্মীদের নিয়ে একতাবদ্ধ। উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখার জন্য,স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কে ক্ষমতায় আনার জন্য নিরলসভাবে পরিশ্রম করতে হবে।যা,আমি ইতোমধ্যেই শুরু করে দিয়েছি।জীবনে শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত এই প্রয়াস অটুট থাকবে।

ভিনিউজ :আপনাকে ধন্যবাদ।
মি,ইয়াসমিন :আপনাকেও ধন্যবাদ।

-সাক্ষাঃকার নিয়েছেন ভিনিউজ রংপুর ব্যুরো প্রধান