অপরাধী শনাক্তে দেশে এমন প্রযুক্তি চালু করা হচ্ছে, যার ফলে কোনো সন্ত্রাসী দেশে ঢোকার চেষ্টা করলে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ আগাম সেই তথ্য পেয়ে যাবে। এ ছাড়া কোনো শীর্ষ অপরাধী ঢাকা ছাড়ার চেষ্টা করলে সেই তথ্যও পেয়ে যাবে প্রতিষ্ঠানটি। সম্প্রতি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এমন প্রযুক্তি চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
বেবিচকের দাবি, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় এই প্রযুক্তি ভূমিকা রাখবে। বেবিচকের এক কর্মকর্তা জানান, আকাশপথে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস ও অপরাধ বাড়ছে। এতে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাসমূহের ওপর চাপ বাড়ছে। এ প্রযুক্তির মাধ্যমে আন্তঃদেশীয় অপরাধসহ চোরাচালান বন্ধ করে সার্বিকভাবে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
এ বিষয়ে বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান গণমাধ্যমে বলেন, এপিআইএস বাস্তবায়নের জন্য সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। তারা একটি কারিগরি প্রস্তাব দিয়েছে, সেটি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। যাচাই-বাছাইয়ের পর চূড়ান্ত চুক্তি হবে। এরপর এপিআইএস বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু হবে। এটি চালু হলে আকাশপথে চলাচল করা অপরাধীদের শনাক্ত করা যাবে। ফলে বিমানবন্দর হয়ে অপরাধীদের আসা-যাওয়াও বন্ধ করা সম্ভব হবে।