সরাইলে প্রবাসী আব্দুল হামিদ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অন্যতম আসামী ইয়ামিন মিয়া প্রকাশ মালিকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। গত ১২ ফেব্রুয়ায়রি দিবাগত গভীর রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের শিমরাইলকান্দি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেফতারের পর ডিবি পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করেছে মালি। মালি সরাইল সদর ইউনিয়নের বণিক পাড়ার বাসিন্দা।
ডিবি পুলিশ সূত্র জানায়, হামিদের লাশ উদ্ধারের পর থেকেই মুঠোফোনে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যার অভিযোগ করে আসছিলেন তার স্বজনরা। লাশ উদ্ধারের পর ওই দিন রাতেই পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে গ্রেফতার করেন। থানায় মামলা দায়েরের মাত্র ৫ দিন পরই মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তরের নির্দেশ দেন জেলা পুলিশ। এরপর মোবাইল ট্র্যাকিং ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত রোববার গভীর রাতে জেলা শহরের শিমরাইলকান্দি এলাকায় সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন ঘটনার তদন্তে থাকা এস আই রেজাউল। অভিযানকালে গ্রেফতার করা হয় হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা মালিকে। জিজ্ঞাসাবাদে প্রবাসী হামিদকে হত্যার কারণ, কারা ও কিভাবে হত্যা করা হয়েছে, এসবের ব্যাখ্যা দিয়েছে মালি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মো. রেজাউল ইসলাম বলেন, ঘটনার পরই নিজেকে রক্ষার জন্য প্রথমে কক্সবাজারে আত্মগোপন করে মালি। আজ সোমবার মালিকে সরাইলের ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে, গত বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টায় ৪ সন্তানের জনক প্রবাসী আব্দুল হামিদকে কে মোবাইলের মাধ্যমে কল করে বাইরে ডেকে নিয়ে যাওয়ার পর আর বাড়ি ফেরেন না। পরদিন বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে হামিদের বসতবাড়ির উত্তর পাশের খালি জায়গায় তার লাশ পাওয়া যায়।