নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার নাটেশ্বর ইউপির ঘোষকামতা গ্রামের মৃত বেলাল হোসেনের ছেলে ওমান প্রবাসী আবদুর রহিম রিপনের ওপর গত মঙ্গলবার একদল সন্ত্রাসী প্রকাশ্যে দিবালোকে হামলা চালায়। হামলায় গুরুতর আহত হয়ে নোয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন তিনি। হাসপাতালটির আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সৈয়দ মহিউদ্দিন আজিম বিষয়টি মানবজমিনকে নিশ্চিত করেন।
হামলার বিষয় উল্লেখ করে সোনাইমুড়ী থানায় রিপনের মা রহিমা বেগম বাদী হয়ে একটি হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করেন। জানা যায়, ওমান থেকে দীর্ঘদিন পর ছুটিতে দেশে আসেন পরিবার-পরিজনকে দেখার জন্য। দেশে আসার পর থেকে উল্লেখিত আসামিদের মধ্যে সহিদ উল্যা ও জামাল উদ্দিন ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছিলেন। দাবিকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। রিপন আরও অভিযোগ করে বলেন, সহিদ উল্যা ও জামাল উদ্দিন চাচা হওয়ার সুবাদে বিভিন্ন সময় সাহায্য-সহযোগিতা দিয়েছিলেন। কিন্তু এবার তারা আরও বেশি দেয়ার জন্য অব্যাহতভাবে চাপ প্রয়োগসহ হুমকি-ধামকি দিতে থাকেন।
এরই একপর্যায়ে স্থানীয় বাজার মুসলিমগঞ্জ থেকে বাসায় ফেরার পথে সহিদ উল্যা ও তার পুত্র বাতেন, আলাউদ্দিন, মহিউদ্দিন, আরিফ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এ সময় গ্রামের যারাই রিপনকে বাঁচাতে আসছিলেন তাদেরকে হুমকি দিয়ে সরে যেতে বলছিলেন চাচা জামাল উদ্দিন। সোনাইমুড়ী থানার ওসি জিয়াউদ্দিনকে ফোন দিলে দারোগা শাহ আলম জানান, সংঘটিত হামলার ঘটনাটি সত্য বলে বিবেচিত হওয়ায় মামলা রেকর্ডের প্রস্তুতি চলছে। এদিকে ভুক্তভোগী প্রবাসীর পরিবারকে মামলা তুলে নিতে জামাল উদ্দিন ও সহিদ উল্যা বাড়ি থেকে সমূলে উচ্ছেদের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান মামলার বাদী রহিমা বেগম। আহত রিপন হাসপাতালের বেডে শুয়ে বিচারের দাবিতে পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।