বাংলাদেশে একুশে বইমেলা শুরু হয়ে গেছে। কলকাতা বইমেলায় এস বি আই অডিটোরিয়ামে শনিবার পালিত হল বাংলাদেশ দিবস। দুই বাংলার মিলনে এদিন চাঁদের হাট বসেছিল অডিটোরিয়ামে। উপস্থিত ছিলেন ভারত ও বাংলাদেশের সাহিত্যিকরা। গিল্ডের সভাপতি সুধাংশু শেখর দে, সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়, বাংলাদেশের উপ হাই কমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস, বাংলাদেশের বিশিষ্ট লেখক সুভাষ সিংহ রায়, বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক জাকির তালুকদার, কবি বীথি চট্টোপাধ্যায়। বাংলাদেশের পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সহ সভাপতি মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘পাঠকদের কথা ভেবে কলকাতা বইমেলায় বাংলাদেশের স্টলের জায়গা যদি আরও বাড়ানো যায় ভাল হয়।’ ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা চাই মাদ্রিদ বইমেলায় অংশগ্রহণ করার আগে ঢাকায় আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা করতে। সেখানে বাংলাদেশের প্রকাশকরাও অংশগ্রহণ করুক।’ এদিন আলোচনা সভা বসেছিল মঞ্চে যার বিষয় ছিল ‘আগামী দুই দশকে বাংলা সাহিত্য।’ এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশের বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক জাকির তালুকদার বলেন, ‘ভবিষ্যতে কী হবে সেটা তো এখনই বলা সম্ভব নয়। তবে দেশভাগের আগে এবং দেশভাগের পর বিপুল পরিবর্তন এসেছে বাংলা সাহিত্যে। লেখার ধরন বদলেছে, বদলেছে পাঠকের চাহিদাও। অনেক বেশি মানুষ এখন বই পড়ছেন। আমার মতে আগামী দিনে সেই সংখ্যাটা আরও বাড়বে।’ ডেপুটি হাই কমিশনারের বক্তব্য, ‘বাংলা ভাষার একটা আলাদা মাধুর্য্য আছে। পশ্চিমবঙ্গ আর পূর্ববঙ্গের সাহিত্যের ধরন অনেকটাই আলাদা। কিন্তু বাংলা সাহিত্য যে দিকে এগোচ্ছে আমার বিশ্বাস বাংলা সাহিত্য কোনওদিন হারিয়ে যাবে না।’
আজকাল