দুবাইয়ে পাচারের জন্য লোক ভাড়া করে শ্যালিকাকে অপহরণ

173
দুবাইয়ে

পঞ্চম শ্রেণিপড়ুয়া এক শিশুকে দুবাইয়ে পাচারের জন্য ঢাকা থেকে অপহরণ করেছিল দুবৃর্ত্তরা। অপহরণের পর তাকে চট্টগ্রামে নিয়ে যায় পাচারকারীরা। এর সঙ্গে জড়িত অভিযোগে চট্টগ্রামের হাটহাজারী এলাকা থেকে আবু সুফিয়ান, মো. নুরুজ্জামান ও শারমিন কাওসার নামের তিনজনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-৭। পরে তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপহৃত শিশুটিকে সাতকানিয়ার নলুয়া এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।

র‍্যাব–৭ চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) নুরুল আবছার আজ রোববার বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, উদ্ধার হওয়া শিশুটি ঢাকার মিরপুরে পরিবারের সঙ্গে থাকত। ৩ জানুয়ারি বাসা থেকে মাদ্রাসার উদ্দেশে বের হওয়ার পর তাকে অপহরণ করা হয়। পরে বিষয়টি র‍্যাবকে জানানো হয়। অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব।

র‍্যাব কর্মকর্তা নুরুল আবছার আরও বলেন, দুই বছর আগে দুবাইপ্রবাসী শহীদুল করিমের সঙ্গে শিশুটির বড় বোনের বিয়ে হয়। শহীদুলের বাড়ি হাটহাজারীর ইছাপুরে। স্ত্রীকে দুবাই নিয়ে সেখানকার একটি নৈশক্লাবে বিক্রি করে দেন তিনি। পরে দেশে ফিরে এসে কৌশলে শ্যালিকাকেও সেখানে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন শহীদুল। এতে ব্যর্থ হয়ে পরিচিত ব্যক্তিদের দিয়ে শ্যালিকাকে অপহরণ করান।

নুরুল আবছার বলেন, দেশের অসহায় নারীদের ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে দুবাইয়ে পাচার করে আসছেন শহীদুল করিম ও তাঁর সহযোগীরা। সুযোগ বুঝে শ্যালিকাকেও দুবাই নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। এই ঘটনায় ঢাকার শাহ আলী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছে শিশুটির পরিবার।