হোয়াইট হাউস থেকে জানানো হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ব্যক্তিগত বাড়িতে যাওয়া ব্যক্তিদের ব্যাপারে কোনো তথ্য নেই। বাইডেনের ডেলাওয়্যারের বাড়ি থেকে রাষ্ট্রীয় গোপন নথি উদ্ধারের ঘটনায় ‘ভিজিটর লগ’ বা সেখানে যাওয়া ব্যক্তিদের তথ্য জানতে চেয়েছিল রিপাবলিকানরা।
হোয়ইট হাউসের কৌঁসুলির কার্যালয় থেকে সোমবার বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্টদের ব্যক্তিগত বাড়িতে কারা যান সে ব্যাপারে তথ্য রাখা আদর্শ অভ্যাস নয়।
বিবিসি জানিয়েছে, জো বাইডেনের বাড়িতে এবং ওয়াশিংটনে তার ব্যবহৃত সাবেক একটি অফিসে অন্তত ২০ টি নথি পাওয়া গেছে।
ওবামার আমলে জো বাইডেন যখন ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন, নথিগুলো ওই সময়ের। সেসব নথির মধ্যে কিছু আবার ‘টপ সিক্রেট’। সেসব নথি ফাঁস হয়ে গেলে রাষ্ট্রীয় বড় ধরনের ক্ষতির ঝুঁকি রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুসারে, একজন প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর হোয়াইট হাউসের সমস্ত ফাইল ‘ন্যাশনাল আর্কাইভস’ এ অবশ্যই জমা দিতে হয়।
এর আগে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাড়িতে রাষ্ট্রীয় গোপন নথি পাওয়া গেছে। তা নিয়ে বেশ সরব ছিলেন বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এবার তার বাসভবনে রাষ্ট্রীয় অতি গোপন নথি উদ্ধার হয়েছে।
বাড়ি ও সাবেক কার্যালয়ে ‘টপ সিক্রেট’ নথি আবিষ্কারের পর রিপাবলিকানরা বাইডেনের বিরুদ্ধে ভণ্ডামির অভিযোগ তুলেছেন। গোপন নথি উদ্ধার করতে এফবিআই ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল। ট্রাম্পকে নিয়ে বাইডেন ওই সময় বলেছিলেন, কীভাব একজন এতটা দায়িত্বজ্ঞনহীন হতে পারেন?
নেব্রাস্কার কংগ্রেসম্যান ডন বেকন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি যদি নিজেই কাঁচের বাড়িতে বসবাস করেন, তবে (অন্যের বাড়িতে) ঢিল ছুড়বেন না।
২০২২ সালে ট্রাম্পের মার-এ-লাগো রিসোর্ট থেকে শতাধিক গোপন নথি উদ্ধারের পর স্পেশাল কাউন্সিল বিষয়টি তদন্ত করছে। জো বাইডেনের বেলাতেও গোপন নথি বেআইনিভাবে সংরক্ষণের বিষয়টি তদন্তে একজন স্পেশাল কাউন্সিলকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
সূত্র: বিবিসি