২৯ জানুয়ারি রাজশাহীতে শেখ হাসিনার জনসভা

176
India's Shreyas Iyer (R) stands undismissed as the bails are not dislodged after the ball hit wicket during the first day of the first cricket Test match between Bangladesh and India at the Zahur Ahmed Chowdhury Stadium in Chittagong on December 14, 2022. (Photo by Munir uz ZAMAN / AFP)

আগামী ২৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজশাহীতে জনসভায় যোগ দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করার লক্ষ্যে রোববার (১ জানুয়ারি) রাতে নগরীর কুমারপাড়াস্থ দলীয় কার্যালয়ে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের বিশেষ সভা হয়েছে। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।

এতে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল। সভা সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আগামী ২৯ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করা হবে। আওয়ামী লীগ তৃণমূলের দল। তাই তৃণমূলের মানুষেরাই এই জনসভার মূল চালিকাশক্তি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯ বার মৃত্যুর দুয়ার থেকে মহান সৃষ্টিকর্তার করুণায় ফিরে এসে বাংলাদেশের যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন, তা আমাদের কল্পনাতীত। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশ এগিয়ে যায়।

তিনি বলেন, ফেসবুক পোস্টে পাকিস্তানিরা আফসোস করে বলেছেন, বাংলাদেশে মেট্রোরেল চালু হয়েছে। এছাড়াও পাকিস্তানের চেয়ে সকল সূচকে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে। তারা বিস্মিত হয়েছে, কীভাবে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়? কেনই বা পাকিস্তান বাংলাদেশের মতো হয় না! তারা তো জানে না, বাংলাদেশে একজন উন্নয়নের মানুষ আছেন। তিনি আর কেউ নন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা।

তিনি আরও বলেন, উন্নয়নে জাদুকর শেখ হাসিনা আগামী ২৯ জানুয়ারি রাজশাহীতে জনসভা করার আশা ব্যক্ত করেছেন। রাজশাহীবাসীর সৌভাগ্য তিনি আমাদের মাঝে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য দেবেন। রাজশাহী মহানগরের সকল স্তরের নেতাকর্মীদের এই জনসভা উপলক্ষ্যে নিজ নিজ এলাকায় ভূমিকা পালন করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

রাজশাহী সিটির মেয়র বলেন, স্বাধীনতাবিরোধীরা গত ৩ ডিসেম্বর মাদ্রাসা ময়দানে যে জনসভা করতে চেয়েছিলেন, কার্যত তা ব্যর্থতায় পরিণত হয়েছে। তাদের ডাকে সাধারণ জনগণ সাড়া দেয়নি। নেতাকর্মী নিয়ে মাদ্রাসা মাঠে তিন দিনব্যাপী রান্নাবান্না করে খেয়ে জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেনি। জনগণ তাদের জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতি ঘৃনাভরে প্রত্যাখান করেছে।

সভায় জানানো হয়, রাজশাহীতে জনসভা সফল করার লক্ষ্যে আগামী ৫ জানুয়ারি বিকাল ৪টায় কুমারপাড়াস্থ দলীয় কার্যালয়ে প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ১১ জানুয়ারি সকাল ১০টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে রাজশাহী বিভাগীয় প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় রাজশাহী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মীর ইকবালসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।