শতবর্ষে নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলন: উৎসব উদ্বোধনে রাজ্যপাল

737

 

ভিনিউজ ডেস্ক : উত্তর ভারতীয় বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলন থেকে আজকের নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলন। পাল্টেছে নাম‌। পাল্টেছে সময়‌। পাল্টায়নি তার কাজ‌। শতবর্ষেও সমানভাবে এই প্রতিষ্ঠান মগ্ন বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চায়।
শতবর্ষ পূর্তিতে সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটিতে (এসএনইউ) আয়োজিত হতে চলেছে বিশেষ অনুষ্ঠান। আগামী ২৫ ডিসেম্বর শুরু হয়ে যা চলবে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল ড.সি ভি আনন্দ বোস। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন লোকসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ মীরা কুমার, অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর, ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি, মন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও ইন্দ্রনীল সেন, বাংলাদেশের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ বিশিষ্টজনেরা। থাকবেন বাংলাদেশসহ বিদেশের বহু প্রতিনিধি।
বুধবার শতবর্ষ পালনের এই বিশেষ অনুষ্ঠানের ঘোষণায় প্রতিষ্ঠানের সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘গোটা দেশের বিভিন্ন রাজ্যে আমাদের ১০০টির ওপর শাখা আছে। সব জায়গাতেই এই শতবর্ষ অনুষ্ঠান পালিত হবে। বাংলাভাষা ও সাহিত্যকে বহির্বঙ্গে প্রসারিত করে চলেছে আমাদের এই সংগঠন।’
শুধুমাত্র সাহিত্য জগতের প্রতিনিধিরাই নয়, থাকবেন সঙ্গীত এবং অন্যান্য কলার প্রতিনিধিরাও। জানিয়েছেন অভ্যর্থনা কমিটির চেয়ারম্যান ও এস এন ইউর আচার্য সত্যম রায়চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘এককথায় ওই তিনদিন এসএনইউতে চাঁদের হাট বসবে। সাংস্কৃতিক জগতের বিভিন্ন শাখার বিশিষ্টরা যোগ দেবেন এই অনুষ্ঠানে। দুটি মঞ্চে লাগাতার অনুষ্ঠান চলবে।’
অনুষ্ঠানের গুরুত্ব সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার জানা নেই ১০০ বছর ধরে বাংলা বা অন্য কোনও ভাষার সংগঠন এভাবে বেঁচে আছে কি না।’
প্রথম অধিবেশনটি হয়েছিল কাশীতে। সভাপতি ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। গত ১১ ফেব্রুয়ারি সেই বারাণসীতে শুভ সূচনা হয়েছিল শতবর্ষের বিশেষ অনুষ্ঠানের। এদিন কবিগুরুকে স্মরণ করে এসএনইউর আচার্য বলেন, ‘সূচনালগ্নে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিশ্চয়ই ভেবেছিলেন এই প্রতিষ্ঠান ১০০ বছর ধরে টিকে থাকবে। আমরাও ভাবতে পারি এই প্রতিষ্ঠান আরও ১০০ বছর টিকে থাকবে।’
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট সাহিত্যিক প্রচেত গুপ্তকে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘একটা ভাষাকে বাঁচিয়ে রাখতে যারা গোটা দেশ জুড়ে কাজ করে চলেছেন তাঁরা কিন্তু আমার থেকেও অনেক বড় কাজ করছেন। এঁদের আমি কুর্নিশ জানাই।’ ছিলেন প্রতিষ্ঠানের সর্বভারতীয় সম্পাদক অনিল ধর, কোষাধ্যক্ষ কনকেশ চক্রবর্তী এবং প্রতিষ্ঠানের উত্তর ভারতের প্রতিনিধি কমল রায়।