ক্রিপ্টো খাতের কর আদায়ে কঠোর হচ্ছে ইইউ

92

ইউরোপীয় কমিশন (ইসি) ক্রিপ্টো খাতের কর জালিয়াতি এবং ফাঁকির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পরিকল্পনা করছে। ফলে সব ধরনের ডিজিটাল সম্পদ পরিষেবা প্রদানকারীকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) বসবাসকারী গ্রাহকদের লেনদেনের প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।

বর্তমানে ব্লকের বাইরের কম্পানিগুলোকে ব্যবহারকারীদের তথ্য প্রকাশ করতে বাধ্য করার একটি পদ্ধতি তৈরি করা হচ্ছে। ইসির মতে, কর কর্তৃপক্ষের কাছে বর্তমানে ক্রিপ্টো ব্যবহারকারীদের লাভ সম্পর্কে সঠিক তথ্যের অভাব রয়েছে, যা এই খাত থেকে প্রাপ্ত কর আদায় সীমিত করছে।

অষ্টম প্রশাসনিক সহযোগিতার নির্দেশিকা বা ডিএসি৮ নামে পরিচিত প্রস্তাবিত নিয়মের উদ্দেশ্য বিদেশে লুকিয়ে রাখা ক্রিপ্টো সম্পদ থেকে বিলিয়ন বিলিয়ন ইউরো কর আদায় করা। ইসির অনুমান অনুসারে, সদস্য রাষ্ট্রগুলো ২০২০ সালে ভ্যাট রাজস্বে ৯৩ বিলিয়ন ইউরো হারিয়েছে, যার এক-চতুর্থাংশ রক্ষণশীলভাবে জালিয়াতির জন্য দায়ী হতে পারে।

এদিকে অর্থনীতি বিষয়ক ইউরোপীয় কমিশনার পাওলো জেন্টিলোনি বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘বর্তমানে ৯ হাজারেরও বেশি বিভিন্ন ক্রিপ্টো সম্পদ উপলব্ধ রয়েছে। বাণিজ্যের অন্তর্নিহিত ডিজিটাল প্রকৃতির অর্থ হলো, অনেক ক্রিপ্টো সম্পদ ব্যবহারকারী, যারা বিপুল মুনাফা করছেন তারা জাতীয় কর কর্তৃপক্ষের রাডারের আওতায় পড়বেন। ’

এ ছাড়াও ইইউর নির্বাহী শাখা ই-মানি এবং ডিজিটাল মুদ্রা নিয়ন্ত্রণে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিবেদনের বাধ্যবাধকতা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে।

নতুন নিয়ম অনুসারে ক্রিপ্টো পরিষেবা প্রদানকারীরা কর কর্তৃপক্ষের কাছে লেনদেনের তথ্য দিতে বাধ্য হবে। এই প্রস্তাবটির জন্য ব্লকের ২৭টি সদস্য রাষ্ট্রের সর্বসম্মত অনুমোদনের প্রয়োজন। এটি ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে কার্যকর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সূত্র : আরটি