বকুল, পাঁচবিবি থেকে: বাংলার স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর উত্তরসরী দেশের বর্তমান সরকার প্রধান গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনা শিক্ষা বান্ধব সরকার। দেশে শিক্ষার মান উন্নয়নে সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই নানান পদক্ষেপ গ্রহন করেন। শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় মনোনিবেশ ঘটাতে প্রথমেই বেছে নেয় এক’তলা থেকে ছ’তলা বিশিষ্ট আধুনিক মানের একাডেমি ভবন নির্মাণ কাজের। এছাড়া শিক্ষার্থীদের ভালো ফলাফল করতে সহজ পদ্ধতিতে আধুনিক কারিকুলামে পঠনের জন্য শিক্ষকদের উন্নত প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করেন। সরকারের এমন সুদূর প্রসারী পদক্ষেপ বাস্তবায়নের লক্ষে নিরলস ভাবে শেখ হাসিনার প্রতিনিধি হিসাবে জয়পুরহাট-১ আসনের সাংসদ ও জেলা আ.লীগের জনপ্রিয় সভাপতি আলহাজ্ব এ্যাডভোকেট সামছুল আলম দুদু এমপি (জয়পুরহাট সদর ও পাঁচবিবি) নির্বাচনী এলাকায় কাজ করে যাচ্ছে। ২০১১-২০ সাল পর্যন্ত ৭ বছর শেখ হাসিনার প্রতিনিধি হিসাবে জয়পুরহাট সদর ও পাঁচবিবি উপজেলায় অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দৃষ্টি নন্দন এক’তলা থেকে ছ’তলা পর্যন্ত আধুনিক মানের নতুন একাডেমি ভবন নির্মাণ কাজ শেষে উদ্বোধন ও ভিত্তি প্রস্তর-স্থাপন কাজের শুভ উদ্বোধন করেন আলহাজ্ব এ্যাডভোকেট সামছুল আলম দুদু এমপি।
বাগজানার সাংবাদিক সাখাওয়াৎ হোসেন আক্ষেপ করে বলেন, আমি যখন লেখাপড়া করেছিলাম বাগজানা দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয় ছিলো মাটির তৈরী ঘর। বর্ষাকালে শ্রেণীকক্ষে পানি জমত অনেক সময় কেঁচো আসত কক্ষে তখন আমরা বেঞ্চের উপর ভয়ে পা তুলে ক্লাশ করেছি। আজ সেই জায়গাতেই কি সুন্দর দ্বিতল একাডেমি ভবনের শ্রেণীকক্ষে ছাত্রছাত্রীরা ক্লাশ করছে। উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও কলেজ শিক্ষক রফিকুল ইসলাম চৌধুরী শাহিন বলেন, একদিন এই বিনধারা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি নিজ হাতে কাদা-মাটি দিয়ে তৈরী করেছিলাম এলাকার মেয়েদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে। এমন অজো পাড়াগাঁয়ে মাটির ঘরের বিদ্যালয়টি আজ চার’তলা বিশিষ্ট এত সুন্দর আধুনিক মানের একাডেমি ভবন নির্মাণ হবে সত্যিই অবাক ব্যাপার। চৌধুরী সাহেব আরো বলেন, শেখ হাসিনার মাধ্যমে অসম্ভবকে সম্ভব করেছে এমপি সামছুল আলম দুদু।
জয়পুরহাট জেলা শিক্ষা অফিসের সহকারি প্রকৌশলী বায়েজিদ বোস্তামী বলেন, ২০১১-২০ সাল পর্যন্ত ৭ বছরে জয়পুরহাট সদর ও পাঁচবিবি উপজেলায় স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় এক’তলা ৩টি, দ্বি’তল ও চার’তলা ১০টি করে, তিন’তলা ৪টি ও ছ’তলা ১টি নতুর একাডেমি ভবনের কয়েকটি উদ্বোধন হয়েছে এবং কয়েকটি নির্মাণাধীন। এরকম ২৮টি একাডেমি ভবন নির্মাণের জন্য সরকার প্রায় ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন।