মাহফুজুর রহমান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহের কৃতি সন্তান মরমী সাধক পাঞ্জু শাহের জন্মদিন আজ। ১৮৫১ সালে (বাংলা ১২৫৮) জেলার শৈলকুপায় আজকের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা খাদেম আলী খোন্দকার, মাতা জোহরা বেগম। খাদেম আলী খোন্দকার তার পিতার মৃত্যুর পর পিতার জমিদারী প্রাপ্ত হন।
পাঞ্জু শাহ পারিবারিক নিয়মানুযায়ী বাড়িতে গৃহশিক্ষকের কাছে আরবী ও ফারসী ভাষা শিক্ষা গ্রহণ করেন। অতঃপর মহর আলী বিশ্বাসের কাছে গোপনে বাংলা ভাষা শেখেন তিনি।
শৈশব কাল থেকেই তিনি মরমীবাদের প্রতি আকৃষ্ট হলেও পিতার ভয়ে তিনি তা প্রকাশ করতেন না। পিতার মৃত্যুর পরই তিনি প্রকাশ্যে হরিণাকুন্ডু উপজেলার হরিশপুরের মরমী সাধকদের কাছে যাতায়াত শুরু করেন। তিনি মরমীবাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে হিরাজতুল্লাহ খন্দকারের কাছে দীক্ষা নিয়ে মরমী সাধনায় ব্রতী হন।
এ সময়ে তিনি প্রচুর আধ্যাত্মিক সঙ্গীত রচনা করেন যা সারা বাংলায় ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়াও তিনি ‘ছহি ইস্কি ছাদেকী গওহোর’ নামে একখানা কাব্য গ্রন্থ রচনা করেন। এ কাব্যখানা তার শ্রেষ্ঠ সাহিত্য কীর্তি হিসেবে বিবেচিত।
পাঞ্জু শাহ ১৩২১ বঙ্গাব্দের ২৮ শ্রাবণ (১৯১৪ খ্রিষ্টাব্দ) হরিশপুরে মৃত্যুবরণ করেন।
হরিণাকুন্ডু উপজেলার হরিশপুর গ্রামে পাঞ্জু শাহার মাজার অবস্থিত। একতলা মাজার ভবনটি উত্তর-দক্ষিণ লম্বা। ভিতরে তিনটি কবর রয়েছে। দু’পাশে দু’স্ত্রী চন্দন নেছা ও পাঁচি নেছার কবর। বছরে তিন বার তাঁর অনুসারীরা সাহিত্য সম্মেলন করে থাকেন।