ভিনিউজ : পতৌদি প্যালেসের উত্তরাধিকার নিয়ে মাঝে মাঝেই ওঠে প্রশ্ন। সইফের নামে কত সম্পত্তি তা নিয়েও প্রশ্ন অনেক। তবে পতৌদি প্যালেস তো শুধু সাইফের নয়, এই প্যালেসের অংশীদার সাবা আলি খান এবং সোহা আলি খানও। ১২০০ কোটির এই প্যালেস থেকে কত পেয়েছেন অভিনেত্রী সোহা আলি খান?
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কিছুদিন আগেই শোনা গিয়েছিল, বিক্রি হতে চলেছে সইফ আলি খানের পৈতৃক ভিটে পতৌদি প্যালেস। এবার এই সম্পত্তি নিয়ে মুখ খুললেন সইফের বোন সোহা আলি খান।
উত্তরাধিকার সূত্রে এই প্যালেসের মালিকানা ভাগ হয় সইফ আলি খান, সাবা আলি খান এবং সোহা আলি খানের মধ্যে। তাতে দাদা সইফ আলি খানের তুলনায় অনেকটাই কম সম্পত্তি পেয়েছেন দুই বোন সাবা ও সোহা।
জানা যায় যে পতৌদি প্যালেসে দুই কামরার একটি অ্যাপার্টমেন্ট আছে। এই অংশ আগে জেনারেটর রুম হিসেবে ব্যবহৃত হতো। সেই জেনারেটর রুমই নাকি সোহার ভাগে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাত্কারে অভিনেত্রী বলেন, “আগে যেটা জেনারেটর রুম ছিল, সেটাই আমার ভাগে। সৌভাগ্যবশত, খুব কম সময়ের জন্য সেখানে একটি হোটেল ছিল, সেই হোটেল কর্তৃপক্ষ আমাদের পাতৌদি প্যালেসের দেখভাল করতেন। আমার বাবা-মা সেই জেনারেটর রুমে থাকতে শুরু করেছিলেন তখন। আমার কিন্তু মনে হয়, এই সম্পত্তি বেশ ভালোই। এখন তো এটা আমার।”
কেন সম্পত্তির বেশিরভাগ অংশ সাইফ পেলেন? প্রশ্নের উত্তরে সইফ বলেন, “মাথার মুকুট বা সিংহাসন, কোনোটাই আমার জীবনে প্রাসঙ্গিক নয়। আমাকে কখনো কিছু বলে দেওয়া হয়নি। বাড়ির ছেলে আগে দুধ খাবে, আর মেয়ে খাবার পরিবেশন করবে— এমন মানসিকতা আমাদের কারো ছিল না কখনো”।
সোহা আরও বলেন, “আমাকে এও কখনো বলা হয়নি যে, বাইরে যেও না, কালো হয়ে যাবে। অথবা মেয়ে হয়ে কী করা যাবে, কী করা যাবে না, এসব কিছুই বলা হয়নি কখনো।”
সোহা আরও বলেন, “আমার বাবা খুব সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের। তার ভাবনাচিন্তা বরাবর প্রগতিশীল।”
পতৌদি প্যালেসের মালিক এখন সাইফই। এই বাড়ির একটি অংশ নতুন করে নিজের মতো করে গড়ে নিয়েছেন তিনি। পূর্বপুরুষদের অর্জিত কিছু বিষয় ও জিনিস এখানে সংরক্ষিত করা হবে। পাশাপাশি একাধিক ছবি ও সিরিজের শ্যুটিংয়ের জন্যও ভাড়া দেওয়া হয় এই প্যালেস। এই প্যালেসের বাজারমূল্য প্রায় ১২০০ কোটি।
-zee bangla