ভিনিউজ ডেস্ক : দাবা ইতিহাসে এক নতুন সূর্যোদয়। ফিদে নারী দাবা বিশ্বকাপের ফাইনালে দুই ভারতীয় প্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত বাজিমাত করলেন ১৯ বছরের দিব্যা দেশমুখ। টাইব্রেকারে অভিজ্ঞ কোনেরু হাম্পিকে হারিয়ে ভারতের ইতিহাসে প্রথম নারী দাবা বিশ্বচ্যাম্পিয়নের মুকুট নিজের করে নিলেন তিনি। তাতে লিখেছেন নতুন ইতিহাসও।
ফাইনালে দুই জনই ছিলেন ভারতীয় প্রতিযোগী। একদিকে ৩৮ বছর বয়সী অভিজ্ঞ গ্র্যান্ডমাস্টার হাম্পি, অন্যদিকে কিশোরী দিব্যা একপ্রকার অভিজ্ঞতা আর তারুণ্যের দ্বন্দ্বে রুদ্ধশ্বাস লড়াই চলেছে জর্জিয়ার বাতুমিতে। দুটো ক্লাসিক্যাল গেম ড্র হওয়ার পর খেলা গড়ায় র্যাপিড টাইব্রেকারে। সেখানে দৃঢ় আত্মবিশ্বাস আর আক্রমণাত্মক মনোভাব নিয়ে হাম্পিকে হারিয়ে দেন দিব্যা।
প্রথম র্যাপিড গেমে সাদা ঘুঁটি নিয়ে পেট্রভস ডিফেন্স দিয়ে শুরু করেন দিব্যা। উভয় খেলোয়াড়ই ছিলেন আক্রমণাত্মক, দ্রুত চাল বিনিময়ে বোঝা যাচ্ছিল কেউ জিততে চাইছেন না, গেমটি ড্র হয়।
তবে দ্বিতীয় র্যাপিড গেমে কালো ঘুঁটি নিয়ে খেলেও জয় ছিনিয়ে আনেন দিব্যা। হাম্পির কুইন্স গ্যাম্বিট খেলার জবাবে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ভঙ্গি বজায় রাখেন তিনি। চাপের মুখে হাম্পি একটি ভুল চাল দিয়ে ফেলেন, যেটি ৩৪ চালে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয়। দিব্যার স্কোর দাঁড়ায় ২.৫-১.৫।
জয়ের পর আবেগে ভেসে যান দিব্যা। আনন্দ অশ্রু চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়ে। ম্যাচ শেষে বললেন, ‘এখনো বুঝে উঠতে পারছি না আমি, কী করে এটা করলাম। এই টুর্নামেন্টের আগে আমার একটাও গ্র্যান্ডমাস্টার নর্ম ছিল না। আর এখন আমি গ্র্যান্ডমাস্টার, আমি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন!’