ভিনিউজ ডেস্ক : ইউরোপীয় বাজারে পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ আবারও শক্ত অবস্থান দেখিয়েছে। ইউরোস্ট্যাটের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের (২০২৫) জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে বাংলাদেশ একাই যে পরিমাণ পোশাক রপ্তানি করেছে, তা ভারত, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া ও মরক্কোর সম্মিলিত রপ্তানির প্রায় সমান।
তথ্য অনুযায়ী, এ আট মাসে বাংলাদেশ ইউরোপে ১ হাজার ৩৪৮ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি নির্দেশ করে। অন্যদিকে ভারত, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া ও মরক্কো—এই পাঁচটি দেশ মিলে মোট ১ হাজার ৩৬১ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে।
ইউরোস্ট্যাটের হিসাব বলছে, ২০২৫ সালের প্রথম আট মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো বিশ্ববাজার থেকে মোট ৫ হাজার ৯৯০ কোটি (প্রায় ৬ হাজার কোটি) ডলারের পোশাক আমদানি করেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের অংশীদারি প্রায় ২২.৫ শতাংশ, যা ইউরোপীয় বাজারে দেশটিকে দ্বিতীয় বৃহত্তম সরবরাহকারী হিসেবে অবস্থান ধরে রাখতে সাহায্য করেছে। এ সময় চীন ১ হাজার ৬৯০ কোটি ডলারের রপ্তানির মাধ্যমে শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে। তবে দেশটির প্রবৃদ্ধি তুলনামূলক কম, যা বাজারে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরো শক্তিশালী করছে।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা তুরস্কের রপ্তানি কমে দাঁড়িয়েছে ৫৭২ কোটি ডলারে, যা গত বছরের তুলনায় হ্রাস নির্দেশ করে। অন্যদিকে তালিকায় চতুর্থ স্থানে থাকা ভারতের রপ্তানি প্রায় ১২ শতাংশ বেড়ে ৩৪৫ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। পঞ্চম স্থানে থাকা কম্বোডিয়া সবচেয়ে দ্রুত প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছে— প্রায় ২৬ শতাংশ বেড়ে রপ্তানি দাঁড়িয়েছে ২৯১ কোটি ডলারে।
ভিয়েতনামের রপ্তানি বেড়েছে ১৬ শতাংশ, দাঁড়িয়েছে ২৮৩ কোটি ডলারে; পাকিস্তানের রপ্তানি বেড়েছে ১২.৫ শতাংশ, দাঁড়িয়েছে ২৫২ কোটি ডলারে।
তালিকার অষ্টম স্থানে থাকা মরক্কোর রপ্তানি ১৮৭ কোটি ডলার, প্রবৃদ্ধি মাত্র ১ শতাংশের কিছু বেশি। তলানিতে অবস্থান করছে শ্রীলঙ্কা ও ইন্দোনেশিয়া।
বিজিএমইএ’র সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ইউরোপীয় বাজারে বাংলাদেশের ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি মূলত প্রতিযোগিতামূলক মূল্য, স্থিতিশীল সরবরাহ ব্যবস্থা, এবং ব্র্যান্ডগুলোর আস্থা বজায় রাখার ফল। একই সঙ্গে টেকসই উৎপাদন ও সবুজ কারখানার সংখ্যা বৃদ্ধিও ক্রেতাদের কাছে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরো দৃঢ় করছে।
-কালের কন্ঠ