৮ নভেম্বর মুক্তি পাবে পরীমণির ‘রঙিলা কিতাব’

কিঙ্কর আহসানের উপন্যাস ‘রঙিলা কিতাব’। এর ছায়া অবলম্বনে সাত পর্বের সিরিজ নির্মাণ করেছেন অনম বিশ্বাস। অভিনয় করেছেন পরীমণি। ৮ নভেম্বর মুক্তি পাবে ‘রঙিলা কিতাব। যৌথভাবে সিরিজের চিত্রনাট্য লিখেছেন অনম ও আশরাফুল আলম শাওন। সিরিজটি ওটিটি প্লাটফর্ম ‘হইচই’-তে মুক্তি পাবে। রঙিলা কিতাব’-এ পরীমণির বিপরীতে অভিনয় করেছেন মোস্তাফিজুর নূর ইমরান। বিভিন্ন চরিত্রে আরো আছেন শ্যামল মাওলা, ফজলুর রহমান বাবু, জিয়াউল হক পলাশসহ আরো অনেকে। ওয়েব সিরিজটিতে একজন গ্যাংস্টারের স্ত্রীর চরিত্রে দেখা যাবে পরীমণিকে। গত ৮ আগস্ট সিরিজটি মুক্তির কথা থাকলেও বাংলাদেশের আন্দোলন পরিস্থিতি বিবেচনায় মুক্তির তারিখ পিছিয়ে দেয়া হয়।

প্রথম সিরিজ নিয়ে পরীমণি শুরু থেকেই বেশ উত্তেজিত ছিলেন। ‘রঙিলা কিতাব’ মুক্তি উপলক্ষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ওটিটি প্লাটফর্ম হইচই।

সংবাদ সম্মেলনে ‘‌রঙিলা কিতাব’ নিয়ে পরীমণি বলেন, ‘‌আমার ক্যারিয়ারের ডায়েরিতে এটা একটা সুন্দর পার্ট হয়ে থাকবে, কারণ এ জার্নিটা আমার জন্য অনেক স্পেশাল। এটা আমার প্রথম ওয়েব সিরিজ, সিরিজটিতে আমি অনেক গুণী মানুষের সঙ্গে কাজ করতে পেরেছি। আমি খুবই আশাবাদী যে সবাই সিরিজটি পছন্দ করবে।’

ওয়েব ফিল্মটির সঙ্গে সংযুক্তির বিষয়ে পরী বলেন, ‘‌আমার সঙ্গে যখন কাজটা নিয়ে প্রথম কথা হয়, এটা আমি করতে পারি কিনা, তখন আমি কাজ নিয়েই ভাবতে পারিনি। সে সময় আমার সন্তান অনেক ছোট ছিল। দেড়-দু মাস হবে। ওই সময়ে বাবুকে রেখে কাজে যাব এমনটা ভাবিনি। সেই সময় থেকে এক বছর পর এসেও যে ক্যারেক্টারটা আমার জন্যই বরাদ্দ ছিল এজন্য হইচইকে ধন্যবাদ জানাই। আমার মনে হয় কাজটা আমি ঠিকঠাকভাবে করতে পেরেছি, বাকিটা ৮ তারিখ সবাই বলবে।’

পরীমণি এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘আমি ছাড়া সুপ্তী চরিত্রটি হতো না। সুপ্তীকে আমার দরকার হতো। অন্তত আমার জীবনে একটা ক্ষুধা থেকে যেত যে আমি সুপ্তী চরিত্রটি করতে পারিনি। এ আকাঙ্ক্ষাটা আমার মধ্যে থেকে যেত। আমি কোনো আফসোস জীবনে রাখতে চাই না। তাই সুপ্তী চরিত্রটি করে ফেলেছি।’

ওয়েব সিরিজটি নিয়ে অনম বিশ্বাস বলেন, ‘‌সিরিজটির গল্পটা কভিডের শুরুর দিকে ২০২১ সালে করা। গল্পটা আমি রাতের বেলা পড়ছিলাম, আমার মনে আছে। গল্পটা যখন আমি পড়ি তখন দু-তিনটা চ্যাপটার যাওয়ার পর এটাকে দারুণ মনে হয়। তারপর আমি সঙ্গে সঙ্গেই কিংকরকে ফোন দিই এবং বলি, এটা খুবই গরম একটা গল্প; এটা নিয়ে সিনেমা বানাতে চাই। সেও সঙ্গে সঙ্গে উত্তেজিত হয়ে যায়। সেই উত্তেজনা যে এত লম্বা সময় ধরে রাখতে হবে এটা কখনো বুঝিনি। শেষ পর্যন্ত আমরা ট্রেলার লঞ্চে আসতে পেরেছি। সিরিজটির প্রতিটি পর্বই দর্শককে স্ক্রিনে ধরে রাখার মতো করে নির্মাণ করা হয়েছে।’

সিরিজটি বানাতে গিয়ে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কথা উল্লেখ করে অনম বিশ্বাস বলেন, ‘আমাদের প্রথম শুটিং ছিল খাগড়াছড়িতে, সেখানে আমাদের সকালবেলায় শুট শুরু হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু রাস্তা বন্ধ থাকার কারণে আমাদের শুটিং বিকালে করতে হয়েছে। বরিশালেও যখন শুটিং করতে যাব সেখানে শুরু হলো জলোচ্ছ্বাস, সেখানেও শুটিং পেছানো হয়েছিল। এছাড়া রাঙ্গুনিয়ায় আমাদের পুরো টিম ডাকাত টিমের শিকার হয়েছিলাম।’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক অনম বিশ্বাসসহ সিরিজের অন্যান্য অভিনয়শিল্পী ও কলাকুশলী।

এস/ভি নিউজ

পূর্বের খবরটিকটকের প্রতিষ্ঠাতা এখন চীনের শীর্ষ ধনী
পরবর্তি খবরসাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের সেরা খেলোয়াড় ঋতুপর্ণা