সকালেই জামিন মঞ্জুর হয়েছে রিয়া চক্রবর্তীর। প্রায় ২৮ দিন পর কিছুক্ষণ আগেই বাইকুল্লা জেল থেকে ছাড়া পেলেন অভিনেত্রী। রিয়া ছাড়া পেলেও ভাই শৌভিক চক্রবর্তীর জামিন মঞ্জুর করেনি বম্বে হাইকোর্ট।
এ দিন ১ লাখ টাকার বন্ডে রিয়ার জামিন মঞ্জুর করা হয়। গতকালই নিম্ন আদালতে তাঁদের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের মেয়াদ ২০ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হয়। তাই এখনও অভিনেত্রীর ভাই শৌভিক চক্রবর্তী হেফাজতেই থাকবেন।
রিয়ার পাশাপাশি সুশান্তের দুই কর্মচারী দীপেশ সবন্ত এবং স্যামুয়েল মিরান্ডারও জামিন মঞ্জুর করে বম্বে হাইকোর্ট। দু’জনের ক্ষেত্রেই ৫০ হাজার টাকার বন্ডে জামিন মঞ্জুর করা হয়।
আদালত জানায় অতীতে রিয়ার কোনও ক্রিমিনাল রেকর্ড নেই। সুতরাং ছাড়া পাওয়ার পরেও কোনও তথ্যপ্রমাণ নয়-ছয় করার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।
She was granted bail by Bombay High Court in a drug-related case filed against her by Narcotics Control Bureau (NCB) pic.twitter.com/FlfP1re1cQ
— ANI (@ANI) October 7, 2020
আদালতে রিয়ার জামিন মঞ্জুর হলে অভিনেত্রীর আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে বলেন, ‘‘আদালতের সিদ্ধান্তে খুশি আমরা। সত্যের জয় হয়েছে। প্রকৃত ঘটনাবলীকেই মেনে নিয়েছে আদালত। আইন মেনেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিচারপতি সারং ভি কোতোয়াল।’’
ছাড়া পেলেও রিয়াকে দশদিন আগামি দশদিন রিয়াকে থানায় গিয়ে হাজিরা দিতে হবে। পাসপোর্টও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে অভিনেত্রীর। গ্রেটার মুম্বইয়ের বাইরে যেতে হলে তাঁকে তদন্তকারী অফিসারের অনুমতি নিতে হবে।
গত ৮ সেপ্টেম্বর রিয়াকে গ্রেফতার করে এনসিবি। একাধিক জেরায় রিয়া দাবি করেন, সুশান্তের জন্য মাদক কিনলেও তিনি নিজে তা কোনওদিন গ্রহণ করেননি। যদিও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির দাবি, রিয়া বড় একটি মাদক চক্রের সক্রিয় সদস্য। রিয়ার অভিযোগ মাদকের প্রমাণ অনেক বাড়িয়ে দেখানো হচ্ছে। অভিনেত্রীকে জেরা করতে গিয়ে উঠে এসেছে দীপিকা পাড়ুকোন, শ্রদ্ধা কপূর সহ বেশ কিছু অভিনেত্রীর নাম। এই মুহূর্তে তাঁরা প্রত্যেকেই এনসিবির আতসকাচের নীচে।