গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ১৮ সদস্যের নির্বাহী কমিটি দিয়েছে। এতে সারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সমন্বয়করা প্রতিনিধি হিসেবে স্থান পেয়েছেন। এই কমিটি প্লাটফর্মের নীতিনির্ধারণী বিষয়ে ভূমিকা রাখবে।
বৃহস্পতিবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, সদস্যসচিব আরিফ সোহেল স্বাক্ষরিত পত্রে এ কমিটি দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি অনুমোদন করা হলো। পদাধিকার বলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক, সদস্য সচিব, মুখ্য সংগঠক ও মুখপাত্র এই কমিটির সদস্য থাকবেন।
এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতজন সমন্বয়ক স্থান পেয়েছেন। তারা হলেন, মো. মাহিন সরকার, রশিদুল ইসলাম রিফাত, লুৎফর রহমান, নুসরাত তাবাসসুম, আহনাফ সাঈদ খান, তারেকুল ইসলাম (তারেক রেজা), তারিকুল ইসলাম।
এ ছাড়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসাদ বিন রনি, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের নাইম আবেদীন এবং ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি সায়েন্সের (ইউআইটিএস) মাহমুদা সুলতানা রিমি, কওমী মাদরাসা থেকে রফিকুল ইসলাম আইনী কমিটিতে স্থান পেয়েছেন।
জানতে চাইলে নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য সমন্বয়ক লুৎফর রহমান সমকালকে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নীতিনির্ধারণী বিষয়ে কাজ করবে এই কমিটি। এ ছাড়া সংগঠনের গতিশীলতা বৃদ্ধি, সাংগঠনিক কাজ এগিয়ে নেওয়া, আগামীতে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হবে, বিভিন্ন বিষয়ে সেল করা হবে সেসব বিষয়ে কাজ করা হবে।
নির্বাহী কমিটির আরেক সদস্য রশিদুল ইসলাম রিফাত বলেন, নির্বাহী কমিটির দুই তৃতীয়াংশের ভোটে আহ্বায়ক কমিটি অথবা সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা যাবে। এ ছাড়া সংগঠনের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, সংগঠনকে শক্তিশালী করা ইত্যাদি নিয়ে কমিটি কাজ করবে। এটির পরিসর এবং কর্মপরিধি সামনে আরও বাড়বে।
এস/ভি নিউজ