নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম, ‘হাসিনার ইচ্ছায় মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে সিন্ডিকেট’।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার মালয়েশিয়ায় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে শ্রমিক পাঠাতেন।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো সারসংক্ষেপে ‘মালয়েশিয়ার সরকার কর্তৃক নির্বাচিত বাংলাদেশি ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সির সহযোগিতা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশী কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করা প্রসঙ্গে’ এমন তথ্য উল্লেখ রয়েছে।
ঢাকার প্রভাবশালী ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকের সমন্বয়ে কীভাবে জি-টু-জি প্লাস পদ্ধতিতে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে ‘সিন্ডিকেট’ গঠন এবং ১০ এজেন্সির প্রত্যেকের সাথে আরো ২০টি করে এজেন্সিকে অন্তর্ভুক্ত করে (২০০ রিক্রুটিং এজেন্সি) মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো হবে সেই ব্যাপারে একটি মনিটরিং সেল গঠনের কথাও ওই সারসংক্ষেপে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে দ্বিতীয়বার সিন্ডিকেট করে পৌনে পাঁচ লাখ শ্রমিক যাওয়ার পর শ্রমবাজার বন্ধের আগ পর্যন্ত যে ১০১ জনের নাম উল্লেখ করে সিন্ডিকেট গঠন হয়েছিল তার নেপথ্যেও শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
তার ইশারাতেই দ্বিতীয়বার ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনালের মালিক রুহুল আমিন স্বপনের হাত ধরে সিন্ডিকেট করে শ্রমিক পাঠানোর কার্যক্রম শুরু হয়েছিল।
নিউ এইজের প্রথম পাতার খবর, ‘200 houses, shops set on fire at Dighinala’ অর্থাৎ, ‘দীঘিনালায় দুই শতাধিক বাড়ি, দোকানে আগুন’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়ির দীঘিনালার বোয়ালখালীতে পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত তিনজন আহত এবং দুই শতাধিক বাড়িঘর ও দোকানপাট পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার ভোররাতে গণপিটুনিতে মো. মামুনের মৃত্যুর প্রতিবাদে বাঙালি ছাত্র পরিষদ মিছিল বের করলে বিকেল চারটার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়।
সংঘর্ষের সময় প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিভিন্ন পাহাড়িদের আবাসস্থলে একটি বৌদ্ধ মন্দিরেও আগুন দেওয়া হয়।
খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল জানান, সংঘর্ষে তিনজন আহত হয়েছে এবং তাদের মধ্যে দুজনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং অপরজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
সেনা, পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সদস্য মোতায়েন করার পর রাত আটটার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে তিনি জানান।
চাকমা সার্কেল প্রধানের উপদেষ্টা রানী ইয়ান ইয়ান বলেছেন যে এটি দীঘিনালায় বাঙালিদের পরিকল্পিত আক্রমণ। স্থানীয়রা ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
তারা তিন পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে অবিলম্বে ‘সামরিক শাসন’ প্রত্যাহারের দাবি জানান।
প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, ‘দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে দুজনকে পিটিয়ে হত্যা, তীব্র ক্ষোভ’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে একই দিনে দুজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দেশজুড়ে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার শাহবাগ থানায় মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়টির ছয় শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের একজন ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগী নেতা, অন্যদের রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক সমন্বয়ক ও ছাত্রদলের চার নেতা-কর্মীসহ কিছু শিক্ষার্থী জড়িত বলে জানা গেছে।
এর মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আহসান লাবিবকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আট শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে এবং ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
এর আগে সাতই সেপ্টেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আবদুল্লাহ আল মাসুদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
পাঁচই অগাস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিভিন্ন জায়গায় ‘মব জাস্টিস’ (উচ্ছৃঙ্খল জনগোষ্ঠীর বিচার) চলতে দেখা যাচ্ছে।
সরকারের পক্ষ থেকে আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার আহ্বান জানানো হলেও এ ধরনের ঘটনা ঘটে চলেছে।
দ্য ডেইলি স্টারের প্রথম পাতার খবর, ‘DU suspends politics on its campus’ অর্থাৎ, ‘ক্যাম্পাসে রাজনীতি স্থগিত করেছে ঢাবি’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাসে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট।
ঢাবি সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জরুরি সভা ডেকে এতে সভাপতিত্ব করেন।
ভবিষ্যতে ক্যাম্পাসে এ ধরনের রাজনীতি সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা উচিত কি না সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞ মতামতের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে বলে জানান তারা।
উপস্থিত ১৫ জন সিন্ডিকেট সদস্য এর পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন এবং পরে সব ধরনের রাজনীতি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের একপর্যায়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা যে নয় দফা দাবি তুলেছিলেন তার মধ্যে অন্যতম ছিল ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধ করা।
এদিকে ঢাবি সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের শীর্ষ নেতারা।
ছাত্র রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত অগণতান্ত্রিক, অসাংবিধানিক এবং মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন বলে দাবি করেছেন বিএনপিপন্থী জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল নেতা। তিনি এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের এক নেতার মতে, ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার অর্থ প্রতিবাদ ও সমাবেশের অধিকার কেড়ে নেওয়া, যা গণজাগরণের আকাঙ্ক্ষার পরিপন্থী এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য ক্ষতিকর।
সংবাদের প্রথম পাতার খবর, ‘বিচার শুরু হলেই শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে : আসিফ নজরুল’
প্রতিবেদনে মূলত ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের ভাষ্য তুলে ধরা হয়েছে।
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, গণ-আন্দোলনে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরু হলেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে।
তিনি বলেন, বিচারের লক্ষ্যে তদন্ত দল, আইনজীবীদের দল গঠন হয়ে গেছে। আদালত পুনর্গঠনের চিন্তা চলছে। অচিরেই বিচার শুরু হয়ে যাবে।
প্রবল গণআন্দোলনে গত পাঁচই অগাস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। এখন পর্যন্ত সেখানেই আছেন তিনি।
আসিফ নজরুল বলেন, “আমাদের সঙ্গে ভারতের এক্সট্রাডিশন ট্রিটি (প্রত্যর্পণ চুক্তি) আছে। এটি অনুযায়ী ভারতে যদি আমাদের কোনো কনভিক্টেড (দোষী) মানুষ থাকেন, উনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী হোন আর যাই হোন না কেন উনার এক্সট্রাডিশন বা প্রত্যর্পণ আমরা চাইতে পারি।”
তিনি বলেন, “আমাদের ইনভেস্টিগেশন টিম, প্রসিকিউশন টিম গঠন হয়ে গেছে। আদালত পুনর্গঠনের চিন্তা চলছে। অচিরেই আপনারা দেখবেন বিচার শুরু হয়েছে। বিচার শুরু হওয়ার পর ডেফিনেটলি আমরা এক্সট্রাডিশন চাইব।”
মানবজমিনের প্রধান শিরোনাম, ‘প্রথম অগ্রাধিকার হবে ইসি গঠন আইনের সংশোধন’।
প্রতিবেদনে নির্বাচন কমিশন সংস্কার মিশনের প্রধান সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারের সাক্ষাৎকার তুলে ধরা হয়েছে।
সেখানে তিনি কমিশনের অগ্রাধিকার, সংকটের নেপথ্যে কী ছিল আর তা থেকে উত্তরণে কী ধরনের সুপারিশ থাকবে তা তুলে ধরেছেন।
সাক্ষাৎকারে তিনি সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে অনেকগুলো বাধার কথা তুলে ধরেছেন। এরমধ্যে একটি হলো নির্বাচনে যারা অংশীজন তারা সঠিক ভূমিকা পালন করে না।
এভাবে বিগত তিনটি নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়েই ব্যাপক বিতর্ক ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ রয়েছে।
এক্ষেত্রে তিনি জোর দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন গঠনের আইনি কাঠামোতে সংস্কার আনার ওপর। যাতে নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে গঠন করা যায়।
অনুসন্ধান কমিটি যেন সকলের মতের ভিত্তিতে এবং স্বচ্ছতার ভিত্তিতে হয়।
জাতীয় নির্বাচনগুলো নিরপেক্ষতার সাথে করতে পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলের জন্য একটি রিট দায়ের করার কথা জানান তিনি।
রায় তাদের পক্ষে গেলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আবার ফিরে আসবে। আমাদের সংবিধান সংস্কারে গঠিত কমিশন নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারে যে ধরনের পরিবর্তন আনা দরকার তারা তা করবে।
তবে রাজনৈতিক দলগুলো যদি সহযোগিতা না করে, আইনশৃঙ্খবাহিনী যদি পক্ষপাতদুষ্ট থাকে, গণমাধ্যম যদি একতরফা প্রচার-প্রচারণা চালায়, নাগরিক সমাজ যদি নজরদারির না করে- তাহলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষেও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না।
দেশ রূপান্তরের প্রথম পাতার খবর, ‘সেনাবাহিনীকে সর্বত্র ম্যাজিস্ট্রেসি দেওয়া সঠিক হয়নি : ফখরুল’।
প্রতিবেদনে দেশের সব স্থানে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া সঠিক হয়নি বলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে।
মি. আলমগীর বলেছেন, যেসব এলাকা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে, সেখানেই ওই ক্ষমতা প্রয়োগ করা উচিত। বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করারও অনুরোধ করেছেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “কখনই এমন কোনো ব্যবস্থা নেয়া ঠিক হবে না, যা সামগ্রিকভাবে তাদের জন্য বুমেরাং হবে, দেশের মানুষের জন্য বুমেরাং হবে।”
তার মতে, এই সরকার রাজনৈতিক সরকার নয়। তাদের দায়িত্ব দেশে স্থিতিশীল অবস্থা তৈরি করে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করা।
মানুষের ভোটাধিকার ফিরে পেতে অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধানের কাছে জোর দাবি করেন বিএনপি মহাসচিব।
বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রধান শিরোনাম, ‘টাকার পাহাড় সবার’।
প্রতিবেদনে বিগত সরকারের আমলে দুর্নীতি করে টাকার পাহাড় বানিয়ছেন এমন ১০০ জনের তালিকার কথা তুলে ধরা হয়েছে।
শেখ হাসিনা সরকারের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপদেষ্টা, হুইপ, এমপি, সচিব ও পুলিশ কর্মকর্তা এমন অন্তত ১০০ জনের একটি প্রাথমিক তালিকা তৈরি করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) গোয়েন্দা ইউনিট।
এই তালিকা অনুযায়ী অর্ধেকের বেশি ব্যক্তির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে সংস্থাটির বিশেষ তদন্ত শাখা।
দুদকের মতে, সাবেক এই মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে অন্তত ১০ জনের বিদেশে বাড়ি থাকার তথ্য পাওয়া গেছে।
তালিকা অনুযায়ী সম্পদের পাহাড় গড়া উপদেষ্টাদের মধ্যে আছেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক এবং বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
মন্ত্রীদের মধ্যে আছেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।
এরই মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।
সমকালের প্রথম পাতার খবর, ‘এস আলমের সম্পদের তথ্য চায় সিঙ্গাপুরের আর্থিক গোয়েন্দারা‘
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) কাছে এস আলম গ্রুপ ও এর মালিকদের দেশে-বিদেশে থাকা সম্পদের বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছে সিঙ্গাপুরের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (এফআইইউ)।
পাচারের টাকায় সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে এস আলমের সম্পদ কেনার ওপর গণমাধ্যমগুলোর অনুসন্ধান প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক নীতিমালা অনুসরণ করে এ তথ্য চেয়েছে দেশটি।
বিএফআইইউ’র এক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে দৈনিকটির প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈশ্বিক অর্থ পাচার রোধে তথ্য চেয়ে থাকতে পারে এফআইইউ। অবৈধ উপায়ে সিঙ্গাপুরে প্রতিষ্ঠানটির সম্পদ গড়ার বিষয়ে একাধিক রিপোর্ট হয়েছে।
অভিযোগগুলো অনুসন্ধান করে ব্যবস্থা না নিলে বৈশ্বিকভাবে মানি লন্ডারিং নীতিমালা পরিপালন না করার দায়ে অভিযুক্ত হবে সিঙ্গাপুর। এই বণিক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য তারা একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছেন বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
বিদ্যমান আইনে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া ভিন্ন কোনো দেশে বিনিয়োগের সুযোগ নেই। কেউ যদি তা করে থাকে, তাহলে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অপরাধ। এখন পর্যন্ত দেশের ২২টি প্রতিষ্ঠান বিদেশে বিনিয়োগের অনুমোদন নিয়েছে।
ব্যক্তি পর্যায়েও কাউকে বিনিয়োগের অনুমোদন দেয়া হয়নি বলে সমকালকে জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
এস/ভি নিউজ