হারুনের দালানের খনি— এটি দেশ রূপান্তর পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। এখানে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ সম্পদের দিক থেকে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদকেও ছাড়িয়ে গেছেন।
ঢাকার উত্তরা, গাজীপুর, আশুলিয়া ও কক্সবাজারের টেকনাফে অঢেল সম্পত্তির মালিক তিনি। বেশ কয়েকটি বাড়ি, প্লট, হোটেল ও রিসোর্টের মালিক তিনি। আশুলিয়ার নন্দন পার্কেও তার শেয়ার আছে। শুধু দেশে না, বিদেশেও তার বাড়ি আছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) সুপারিশে তার স্ত্রীর নামে থাকা এক হাজার ৫৩২ কোটি টাকা আটকে গেছে। সেইসাথে, গতকাল মঙ্গলবার মি. রশীদ ও তার স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত।
ত্রাণ বিতরণে সমন্বয়হীনতা— দৈনিক প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম এটি। এখানে বলা হয়েছে, এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দেশের পূর্বাঞ্চলীয় ১১ জেলায় চলমান বন্যায় মানুষের দুর্ভোগ ক্রমেই বাড়ছে। ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও কুমিল্লা— এই চার জেলার বানভাসি মানুষ বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এসব জেলায় পানি নামছে ধীরগতিতে।
বন্যাকবলিত মানুষের অভিযোগ, সড়কের পাশের বাড়িঘর ও আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর মানুষজন একাধিকবার ত্রাণ পাচ্ছে। কিন্তু প্রত্যন্ত এলাকায় পর্যাপ্ত ত্রাণ যাচ্ছে না।
মূলত ত্রাণ বিতরণে সমন্বয়হীনতার কারণে দুর্গতদের সবার কাছে সমানভাবে ত্রাণ পৌঁছাচ্ছে না। এজন্য ত্রাণ বিতরণে স্থানীয় প্রশাসন ও সরকারের সহায়তা চেয়েছেন বন্যাকবলিত ব্যক্তিরা। আর স্থানীয় প্রশাসন বলছে, বন্যার্ত মানুষের বিপরীতে বরাদ্দকৃত ত্রাণের পরিমাণ কম।
আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ফিরে নতুন জীবনযুদ্ধ— সমকাল পত্রিকার এই প্রধান শিরোনামে বলা হয়েছে, ফেনী-নোয়াখালীসহ বন্যা কবলিত ১১টি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি উন্নত হচ্ছে।
কিন্তু বানের জলে হাজার হাজার মানুষের ঘরবাড়ি, কৃষিজমি, চিংড়ির খামার, পুকুর, ডোবা– সবকিছু তলিয়ে গেছে। এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে হিমশিম খাবেন অনেকেই।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে ফেনীর কিছু এলাকায় পানি নেমে যাওয়ায় এক সপ্তাহ পর ডুবে থাকা বাড়িঘর ভেসে উঠতে শুরু করেছে।
গতকাল অনেকে ঘরের অবস্থা দেখতে পথে নামেন। তবে নিজের ঘরের চেহারা দেখে সবার হৃদয়ে হয়েছে রক্তক্ষরণ। পানির স্রোতে নষ্ট হয়ে গেছে প্রায় সবকিছু। তাই এখনও আশ্রয়কেন্দ্রেই কাটছে অনেকের দিন। যারা আশ্রয়কেন্দ্রে ছাড়ছেন, তারা ভাঙা ঘর মেরামতের কঠিন লড়াইয়ে নেমেছেন। এ লড়াই কবে শেষ হবে, তাও জানেন না কেউ।
Govt sets up inquiry commission— দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার প্রধান শিরোনাম এটি। এখানে বলা হয়েছে, ২০১০ সালের পহেলা জানুয়ারি থেলে থেকে চলতি বছরের পাঁচই অগাস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটকের পর গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান, শনাক্ত করা ও কোন পরিস্থিতিতে গুম হয়েছিলো, তা নির্ধারণ করার জন্য ৫ সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করেছে সরকার।
কমিশনের চেয়ারম্যান করা হয়েছে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীকে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের প্রায় তিন সপ্তাহ পর এই কমিশন গঠিত হলো। বিগত সরকার গুমের ঘটনাগুলোকে ক্রমাগত অস্বীকার করতো। তারা বলতো, কর্তৃপক্ষকে বিব্রত করার জন্য ভুক্তভোগীরা স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে চলে গেছে।
India denies Bangladesh minimum info on common rivers— নিউ এজ পত্রিকার প্রধান শিরোনাম এটি। এখানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ এই মুহূর্তে বন্যায় ভেসে যাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ ও ভারতের মাঝ দিয়ে যে ৫৪টি যৌথ নদী প্রবাহিত হচ্ছে, সেগুলো সম্বন্ধে ন্যূনতম তথ্য জানায় না ভারত।
বর্তমানে শুধুমাত্র ৫৪টি অভিন্ন নদীর মাঝে আটটির দৈনিক জলস্তরের রেকর্ডের তথ্য প্রকাশ করে। ১৯৭২ সালের যৌথ নদী কমিশন গঠনের পর থেকে গত পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে গঙ্গা নদীর পানি বণ্টনের জন্য শুধুমাত্র একটি বড় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিলো, কিন্তু ভারতের বিরুদ্ধে নিয়মিত তা লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে যৌথ নদীগুলোর অসংখ্য স্থানে বাঁধ ও ব্যারাজ দিয়ে নদীর স্বাভাবিক গতিপথ বাধা দিয়েছে দেশটি। প্রতিবছর যার খেসারত দিতে হয় বাংলাদেশকে।
বাংলাদেশের পাশে থাকবে রাশিয়া— এটি নয়া দিগন্ত পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। এখানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মান্টিটস্কি বলেছেন, আন্তর্জাতিক মঞ্চে রাশিয়া বাংলাদেশের পাশে থাকবে।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠকে তিনি রাশিয়ার কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় বাংলাদেশে নির্মিত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং খাদ্য নিরাপত্তা, জ্বালানি অনুসন্ধান এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে সহায়তা বাড়ানোসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়াদি আলোচনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এবং চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মাইন অপসারণের কথা স্মরণ করেন। তিনি রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে তৈরি পোশাকের পাশাপাশি বাংলাদেশের অন্যান্য পণ্যও আমদানি বাড়ানোর আহ্বান জানান।
পদোন্নতিতে লন্ডভন্ড প্রশাসনের পিরামিড— আজকের পত্রিকার এই প্রধান শিরোনামে বলা হয়েছে, কোনও কর্মকর্তা অবসরে গেলে বা পদ শূন্য হলে স্বাভাবিকভাবেই নিচের পদের যোগ্য কাউকে পদোন্নতি দিতে হয়। কিন্তু প্রশাসনে পদোন্নতির ক্ষেত্রে আগে কোনও সরকার সেই নিয়ম মেনে চলেনি, এখনও মানা হচ্ছে না।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্বে আসার পর গত দুই সপ্তাহেই প্রশাসনের উপসচিব থেকে সচিব পর্যায়ে ৪৭৯ জন কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। এমন গণপদোন্নতিতে লন্ডভন্ড হয়ে পড়েছে প্রশাসনের সাংগঠনিক কাঠামো। ভেঙে পড়েছে পিরামিড।
প্রশাসনের সাংগঠনিক কাঠামো বোঝাতে যে পিরামিড চিত্রায়িত হয়, তাতে নিচ থেকে ওপরের দিকে কর্মকর্তার সংখ্যা কমতে থাকে। কিন্তু দেশের প্রশাসনে এখন উল্টো চিত্র বিরাজ করছে। নিম্নস্তরে কর্মকর্তার চরম সংকট থাকলেও পিরামিডের উচ্চ-মধ্যম পর্যায়ে কর্মকর্তার সংখ্যা অনুমোদিত পদের দুই-তিন গুণ বেশি।
পদ ফাঁকা না থাকলেও অপরিকল্পিতভাবে পদোন্নতি দেওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রশাসন বিশেষজ্ঞরা।
সারের চাহিদা প্রায় ৬৯ লাখ টন, দেশে মজুদ ১৮ লাখ টন— বণিক বার্তা পত্রিকার প্রধান শিরোনাম এটি। এখানে বলা হয়েছে, দেশে চলতি অর্থবছরে সারের মোট চাহিদা হতে পারে প্রায় ৬৯ লাখ টন। বাংলাদেশে সারের মোট চাহিদার প্রায় ৮০ শতাংশই পূরণ হয় আমদানির মাধ্যমে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের সরকারি গুদামগুলোয় সারের মজুদ আছে প্রায় ১৮ লাখ টন। এ মজুদ দেশের আসন্ন প্রয়োজনও তাৎক্ষণিকভাবে মেটাতে পর্যাপ্ত নয় বলে মনে করছেন কৃষিবিদরা।
তাদের ভাষ্যমতে, দুই মাসের মধ্যে শুরু হচ্ছে বোরো ও রবি মৌসুম। দেশে সবচেয়ে বেশি খাদ্যশস্য উৎপাদনকারী মৌসুমটিতে সারসহ চাষাবাদের প্রয়োজনীয় উপকরণের চাহিদাও থাকে সবচেয়ে বেশি।
নিষেধাজ্ঞার পরও ২৯০ কোটি টাকায় ড্রেজার ক্রয় টেন্ডার— যুগান্তর পত্রিকার এই দ্বিতীয় প্রধান শিরোনাম অনুযায়ী, গত চৌঠা আগস্ট একটি ফাইল উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
ওই ফাইলে ২৯০ কোটি টাকা প্রাক্কলিত মূল্যের চারটি কাটার সাকশন ড্রেজার, চারটি ক্রেনবোট ও আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি কেনার দরপত্র আহ্বানের প্রস্তাব করা হয়।
বিদায়ি আওয়ামী লীগ সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী তোলা ওই প্রস্তাবটি সম্প্রতি অনুমোদন করেছে বিআইডব্লিউটিএ। জানা যায়, অর্থনৈতিক সংকট বিবেচনায় জলযান ক্রয়ের ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা মানা হয়নি।
বিএনপি চায় রোডম্যাপ তাড়া নেই জামায়াতের— কালের কণ্ঠ পত্রিকার প্রধান শিরোনাম এটি। এখানে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে যে ভাষণ দিয়েছেন, ওই ভাষণ নিয়ে বিএনপির সঙ্গে তাদের রাজনৈতিক মিত্র জামায়াতে ইসলামীর মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে।
রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে মতের মিল থাকলেও জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে তাদের দুই ধরনের বক্তব্য উঠে এসেছে।
প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ না থাকায় গত সোমবার বিএনপির পক্ষ থেকে এক ধরনের আক্ষেপ প্রকাশ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনামুখর না হলেও তাদের প্রত্যাশা যে পূরণ হয়নি, নেতাদের বক্তব্যে সেটি স্পষ্ট।
এদিকে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে জাতির আকাঙ্ক্ষার প্রতিধ্বনি হয়েছে বলে মনে করেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। সরকারকে সময় দিতে চায় দলটি।
সরকারকে যৌক্তিক সময় দিবে, ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় জামায়াত— মানবজমিন পত্রিকার প্রথম পাতার খবর এটি। এখানে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার ভারতের মিডিয়াকে জামায়াতের শীর্ষ নেতা ডা. শফিকুর রহমান বলেন যে নতুন সরকারের বয়স মাত্র ১৯ দিন। তাই এই সরকারের মেয়াদ নিয়ে তারা কোনও টাইমফ্রেম বেঁধে দিতে পারে না।
“তবে অবশ্যই আমরা আশা করি যৌক্তিক সময়ের মধ্যে তারা প্রয়োজনীয় সংস্কারকর্ম সম্পন্ন করে একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে সক্ষম হবেন। এই সময়টি বেশ দীর্ঘ হবে না বলেই আমাদের বিশ্বাস,” বলেন তিনি।
ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, “আমরা পরস্পর প্রতিবেশী। চাইলেই প্রতিবেশী বদল করা যায় না। এটা আমরা তো বটেই কেউ অস্বীকার করতে পারবে না।”
অতীতে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের সুসম্পর্ক ছিল দাবি করে তিনি বলেন, “শেখ হাসিনার গত সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে এটি শীতল ছিল। সম্পর্ক যে একেবারে ছিল না তা কিন্তু নয়। তবে আমরা আশা করি এখন ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বাড়বে।”
এস/ভি নিউজ