বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম, ‘হারানো অর্থনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শক্তি পুনর্গঠন করছে জামায়াতে ইসলামী’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গত এক যুগে জামায়াত নেতারা ইসলামী ব্যাংকসহ গুরুত্বপূর্ণ যেসব প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিল সেই হাতছাড়া হয়ে যাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে পুনরায় সক্রিয় হয়ে উঠেছেন জামায়াতের নেতারা।
ইসলামী ব্যাংক, ইবনে সিনা ট্রাস্ট, দিগন্ত মিডিয়া, কেয়ারি লিমিটেডসহ শিক্ষা খাতে ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি চট্টগ্রাম, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলায় প্রধানতম ভূমিকা রেখেছিলেন দলটির নেতারা।
এক সময় এসব প্রতিষ্ঠানকে বিবেচনা করা হতো দলটির অর্থনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শক্তির নিদর্শন হিসেবে। আদালতের রায়ে দলের গুরুত্ব অনেক নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর থেকে বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ হারান জামায়াত নেতারা।
এ দৃশ্যপটে আবার পরিবর্তন আসা শুরু হয় গত ৫ই আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর। হাতছাড়া হয়ে যাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে পুনরায় সক্রিয় হয়ে উঠেছেন জামায়াতের নেতারা।
সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পর্ষদে নিজেদের অবস্থান শক্ত করাসহ হারানো অর্থনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শক্তি পুনর্গঠনে নানাভাবে কাজ করছেন তারা।
জামায়াত নেতাদের বক্তব্য হলো শেখ হাসিনা সরকার জামায়াতের নেতাদের অবস্থাকে দুর্বল করতেই প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছিল।
এরপর সরকার ও সরকারি সমর্থনপুষ্ট ব্যক্তিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ হস্তক্ষেপে অনেকগুলো প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থা খারাপ হয়েছে। আবার কিছু প্রতিষ্ঠান পুরোপুরি হাতছাড়া হয়ে যায়।
প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, ‘গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে আহত ব্যক্তিরা বুধবার ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (পঙ্গু হাসপাতাল) সামনের সড়ক অবরোধ করেছেন।
আহত ব্যক্তিদের তিনটি দাবি ছিল—বিদেশে উন্নত চিকিৎসা, আর্থিক সহায়তা এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগমের সাক্ষাত।
এসব দাবিতে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অনেকে রাস্তায় নেমে আসেন। তাদের সঙ্গে যোগ দেন জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অনেকে।
তারা পঙ্গু হাসপাতালের সামনের আগারগাঁও-শ্যামলী সড়কে বেলা ১টার দিকে অবস্থান নেন। এ সময় ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
খবর পেয়ে সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে ফেরত যেতে অনুরোধ করলেও তারা মধ্যরাত পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে রাখে।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম আহত ব্যক্তিদের দেখতে বুধবার বেলা ১১টার দিকে পঙ্গু হাসপাতালে যান। তার সঙ্গে ছিলেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক।
হাসপাতালের তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় দুটি ওয়ার্ডে জুলাই-আগস্টে আহত ব্যক্তিরা চিকিৎসাধীন। তবে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা শুধুমাত্র চতুর্থ তলায় থাকা আহতদের সাথে দেখা করেন।
সবার সঙ্গে দেখা না করার অভিযোগে হাসপাতাল থেকে বেরোনোর পথে তার পথ আটকে বিক্ষোভ করেন আহত ব্যক্তিরা। পরে তারা রাস্তায় নামেন।
তারা উপদেষ্টার গাড়ির পথ আটকে দাঁড়ান। কেউ গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন। দু-একজনকে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার গাড়ির ওপর উঠে প্রতিবাদ জানাতে দেখা যায়।
এ অবস্থায় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম অন্য একটি গাড়িতে চলে যান। ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুককে আরেকটি গাড়িতে সরিয়ে নেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের থামাতে ব্যর্থ হন।
দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম, ‘Pace of reforms will determine time for polls’ অর্থাৎ, ‘সংস্কারের গতি নির্ধারণ করবে কবে নির্বাচন হবে’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন নেতা মুহাম্মদ ইউনূস বুধবার এএফপিকে বলেছেন যে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর দেশে নির্বাচনের আগে সংস্কারের প্রয়োজন।
সংস্কারের গতির ওপরেই নির্ভর করবে যে নির্বাচন কতো দ্রুত হবে,” নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী এবং ক্ষুদ্রঋণের অগ্রদূত আজারবাইজানের বাকুতে কপ-২৯ জলবায়ু আলোচনার ফাঁকে এক সাক্ষাত্কারে এ কথা বলেন।
তবে তিনি জোর দিয়েছিলেন যে তিনি দেশকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার দিকে নিয়ে যাবেন। যেখানে সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আসেন।
“এই প্রতিশ্রুতি আমরা দেশের মানুষকে দিয়েছি, আমরা প্রস্তুত হওয়ার সাথে সাথেই আমাদের দেশে নির্বাচন হবে এবং নির্বাচিত লোকেরা দেশ পরিচালনা করতে পারবে,” তিনি বলেন।
এক্ষেত্রে দেশের সম্ভাব্য সাংবিধানিক সংস্কার, সেইসাথে সরকার, সংসদ এবং নির্বাচনী বিধিমালার বিষয়ে সব পক্ষের একমত হওয়া দরকার।
“আমরা অন্তর্বর্তী সরকার, তাই আমাদের মেয়াদ যতটা সম্ভব কম হওয়া উচিত।”
শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে অস্থিরতা বেড়েছে, এ নিয়ে ড. ইউনূস বলেছেন যে তিনি ১৭ কোটি মানুষের দেশে শান্তি ও নিরাপত্তা উদ্বিগ্ন।
বাংলাদেশ আর্থিকভাবে বেশ নাজুক অবস্থায় আছে এবং, এই মাসের শুরুর দিকে, ভারতীয় সংস্থা আদানি প্রায় ৮৫ কোটি ডলার বকেয়া বিলের কারণে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকে কমিয়ে দিয়েছে।
বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রধান শিরোনাম, ‘চতুর্মুখী চাপে সরকার’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে নির্বাচনের চাপ, উপদেষ্টা পরিষদে ও বিভিন্ন পর্যায়ে নতুন নতুন নিয়োগ নিয়ে সমমনাদের তীব্র সমালোচনা, বিভিন্ন মহল থেকে নতুন উপদেষ্টা হওয়ার আগ্রহ, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, দাবিদাওয়া নিয়ে অসন্তোষ এমন নানামূখী চাপে হিমশিম খেতে হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারকে।
অথচ গত তিন মাসে এসব ক্ষোভ-অসন্তোষ সামাল দিতে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।
পরীক্ষা না দিয়ে এইচএসসিতে কয়েক বিষয়ে ছাত্রদের অটোপাসের আন্দোলন সফল হওয়ার পর শিক্ষার্থীরা যেন হালে পানি পেয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সচিবালয় এলাকায় কোনো সভাসমাবেশ নিষিদ্ধের ঘোষণা দিলেও সম্প্রতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঘেরাও করেছিলেন সচিবালয়।
এদিকে নতুন নিযুক্ত দুই উপদেষ্টাকে নিয়েও সমালোচনার ঝড় উঠেছে বিভিন্ন দিক থেকে। তাদের সরিয়ে দেওয়ার দাবিতে হয়েছে বিক্ষোভ সমাবেশও।
নতুন উপদেষ্টা নিয়োগ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। ক্ষোভ আছে পুরনো উপদেষ্টাদের নিয়েও।
এদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দামে লাগাম টানতে না পারায় বড় চাপে রয়েছে সরকার।
দেশে ও বিদেশে বসে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ড. ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের নানা কর্মকাণ্ডের সমালোচনায় সরব রয়েছেন।
এ নিয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের মত, “এনজিওগ্রাম সরকার দিয়ে দেশ চলতে পারে না”। সরকারে নিয়োগকৃত উপদেষ্টাদের অধিকাংশই চট্টগ্রামের বাসিন্দা। এদের অনেকের এনজিও ব্যাকগ্রাউন্ড। তা ছাড়া কয়েকজন গ্রামীণ ব্যাংকের। তাই ‘এনজিও’ আর ‘গ্রামীণ ব্যাংক’ মিলে এ সরকারকে ‘এনজিওগ্রাম সরকার’ বলে অভিহিত করা হচ্ছে।
সমকালের প্রধান শিরোনাম, ‘ব্যাংকের আমানত তুলে সরকারকে ঋণ’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সবাই ব্যাংক থেকে আমানত তুলে উচ্চ সুদ পেতে সরকারি বিল ও বন্ডের মতো শূন্য ঝুঁকির খাতে বিনিয়োগ করছেন। ব্যাংকগুলোও গ্রাহককে চেয়ে সরকারকে ঋণ দিতে উৎসাহ দেখাচ্ছে।
এর কারণ হিসেবে ব্যাংকাররা জানান, সাধারণভাবে মানুষ টাকা রাখার ক্ষেত্রে সবার আগে যথাসময়ে ফেরত পাওয়ার নিশ্চয়তার বিষয়টি দেখে। আবার যে কোনো সময় ভাঙানোর সুবিধা অগ্রাধিকার দেয়।
মেয়াদ পূর্তির আগে মেয়াদি আমানত কিংবা সঞ্চয়পত্র ভাঙালে অনেক কম সুদ পাওয়া যায়। তবে ট্রেজারি বিল বা বন্ডে যে কোনো সময় ভাঙালেও নির্ধারিত মেয়াদের পুরো সুদ পাওয়া যায়।
বাজারে সুদহার কমলেও এখানে কমে না। আবার সরকারি হওয়ায় এত নিশ্চয়তা কোথাও নেই। টাকার উৎস জানাতে হয় না। সঞ্চয়পত্রের মতো ট্যাক্স রিটার্ন সনদ জমার বাধ্যবাধকতা নেই; বরং পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে কর অবকাশ সুবিধা রয়েছে।
কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই ব্যাংক বা ব্রোকারেজ হাউসের মাধ্যমে কেনা যায়। টাকা ফেরত পাওয়া নিয়ে নেই কোনো ঝুঁকি নেই বলে এসব খাতে বিনিয়োগ বাড়ছে বলে মনে করেন ব্যাংকাররা।
এদিকে দীর্ঘদিন ধরে দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করায় সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ঋণকে আরও ব্যয়বহুল করে চাহিদা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। চলতি বছরই কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলোর ধারের সুদহার ছয় দফা বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে।
এতে ব্যবসা-বাণিজ্যের ঋণের খরচ যেমন বাড়ছে, ঋণ পাওয়াও অনেক কঠিন হচ্ছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির এই সময়ে বেসরকারি বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হয়ে কর্মসংস্থান হচ্ছে কম।
অন্যদিকে, সরকারের ঋণের সুদ খরচও অনেক বাড়ছে। সংকট মেটাতে এক ব্যাংক আরেক ব্যাংকে কিংবা কেন্দ্রীয় ব্যাংকে নিয়মিত ধরনা দিচ্ছে।
আবার সরকার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নিচ্ছে না কোনো ঋণ। উল্টো বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আগের দেনা পরিশোধ করছে। এতে ট্রেজারি বিল ও বন্ডের সুদহার এখন যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি।
নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম, ‘পঞ্চদশ সংশোধনীর লক্ষ্য ছিল গণতন্ত্র ধ্বংস করা’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলোপ করে আনা সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে জারি করা রুলের শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মো: আসাদুজ্জামান বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে গণতন্ত্রের কবর রচনা করা হয়েছে।
বুধবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের শুনানিতে এ কথা বলেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
শুনানি শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে এমন প্রক্রিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে যে এর মাধ্যমে দেশের বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র সব কিছু মূল্যহীন হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এজন্য তিনি এটি বাতিলের কথা বলেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সংবিধানের ৭খ অনুচ্ছেদের বিষয়ে বলেন, সংবিধানের মূলনীতি গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র না। আমরা সমাজতন্ত্র বাদ চাচ্ছি।
শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানকে কেউ অস্বীকার করে না। তবে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তৈরি করা সংবিধানে জাতির পিতা ছিল না। এটি পঞ্চদশ সংশোধনীতে ঢুকানো হয়েছে। জাতির পিতা বলা সংবিধানের স্পিরিটের পরিপন্থী।
সংবিধানের ছয় অনুচ্ছেদ নিয়ে তিনি বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশে ভাষা দিয়ে জাতিসত্তা নির্ধারণ করা হয় না। অনুচ্ছেদের আট-এর বিষয়ে তিনি বলেন, এখানে ধর্মনিরপেক্ষ শব্দটা রাখার দরকার নেই। এই দেশের ৯০ ভাগ মুসলমান। আগে আল্লাহর প্রতি অবিচল আস্থা ও বিশ্বাসের কথা ছিল।
এটি যেভাবে আগে ছিল সেভাবে চাচ্ছি। আর ২ক তেই বলা আছে রাষ্ট্র সকল ধর্ম পালনে রাষ্ট্র সমান অধিকার ও সমমর্যাদা নিশ্চিত করবে।
দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম, ‘১৭১৭ পুলিশ চিহ্নিত’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, জুলাই-অগাস্টের আন্দোলন দমনে যেসব পুলিশ নজিরবিহীন তান্ডব চালিয়েছেন তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। এ সংখ্যা এখন পর্যন্ত ১৭১৭।
পাশাপাশি নির্দেশদাতা হিসেবে ১১০ জন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
আন্দোলনে বেশি সহিংসতা হয়েছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল ও রাজশাহীতে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বেশি বেপরোয়া ছিল ঢাকা মহানগর ও আশপাশের এলাকায়। এসব এলাকায় হতাহতের ঘটনা ঘটেছে সবচেয়ে বেশি।
লিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ময়নুল ইসলাম, জানান, জড়িত ওইসব পুলিশ কর্মকর্তা ও অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মামলা হয়েছে। মামলায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যারা পলাতক আছেন তাদের আইনের আওতায় আনা হবেই।
আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে সারা দেশে ৫৭ হাজার ৬১৩ রাউন্ড বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রের গুলি ব্যবহার করা হয়েছে।
আন্দোলনকারীদের রুখতে মাঠে এক হাজার ৪৭৯টি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়া হয়েছে। এছাড়া ছাত্র-জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে ১৪ হাজার ২২৩ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়েছে।
এই আন্দোলনেই পুলিশ প্রথমবারের মতো ক্ল্যাশ গ্রেনেড (ভিড় ও দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণের অস্ত্র) ব্যবহার করেছে। ঢাকার বিভিন্ন স্থানে এই গ্রেনেডটি ব্যবহার করা হয়েছে ২৭৪টি।
আইজিপি মনে করেন, এখন সময় এসেছে পুলিশকে ঢেলে সাজানোর। তিনি জানান, “এমন পুলিশ আমরা চাই, যারা হবে জনগণের পুলিশ। আশা করি, বর্তমান সরকার তা করতে পারবে”।
নিউ এইজের প্রধান শিরোনাম, ‘Child diabetes patients in Bangladesh on rise’ অর্থাৎ, ‘বাংলাদেশে শিশু ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বাড়ছে’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সচেতনতার অভাব, অস্বাস্থ্যকর জীবনধারা এবং ব্যাপক দূষণের কারণে কয়েক বছর ধরে দেশের শিশুদের মধ্য ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার হার উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে।
বয়সের ডায়াবেটিস শিশুদের মধ্যে দৃষ্টিশক্তি হ্রাস, স্নায়ুর ক্ষতি এবং হৃদরোগ সহ প্রাথমিক জটিলতা সৃষ্টি করে।
অথচ আতঙ্কের বিষয় হল ৪৩ শতাংশ ডায়াবেটিস রোগীদের রোগ নির্ণয় করা হয় না।
গবেষক এবং চিকিত্সকরা লক্ষ্য করেছেন যে, দুই ধরনের ডায়াবেটিসের মধ্যে, টাইপ-২ ডায়াবেটিস সাধারণত ৪০ বছরের বেশি বয়সী রোগীদের মধ্যে দেখা যায়, তবে এখন এই অবস্থাটি শিশুদের মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, স্থূলতা, বসে থাকা জীবনযাপন এবং ঘুমের ধরন পরিবর্তন সহ বিভিন্ন কারণে শিশুদের মধ্যে ডায়াবেটিস বাড়ছে। যে সব শিশু ছয় ঘণ্টার কম বা নয় ঘণ্টার বেশি ঘুমায় তারা টাইপ টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি।
শিশুদের ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমাতে বিশেষজ্ঞরা একটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, নিরাপদ খাদ্য, পর্যাপ্ত ঘুম এবং নিয়মিত ব্যায়ামের পরামর্শ দেন।
এস/ভি নিউজ