রাঙামাটিতে পাহাড়ি বাঙালি সহিংস ঘটনার তিন দিন পর সার্বিক পরিস্থিতি এখন উন্নতির পথে। ফিরতে শুরু করেছে স্বাভাবিক পরিবেশ। জুমিয়া পরিবারগুলো বাজারে আসতে শুরু করেছেন। শহরে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। তবে তুলনামূলক মানুষের উপস্থিতি কম। গত শুক্রবার সহিংসতার পর ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার না করায় জনমনে আতঙ্ক ও ভীতি কাজ করছে।
এদিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু হওয়ায় পরিষ্কার হচ্ছে শুক্রবারের তাণ্ডবের ক্ষতচিহ্ন। আজ সোমবার সকালে শহরের কাঠালতলী ঐতিহ্যবাহী বৌদ্ধমন্দির মৈত্রী বিহারে গিয়ে চোখে পড়ে তাণ্ডবের চিত্র। ভাঙচুর লুটপাট করা হয় এ বিহারে।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাঙামাটির সঙ্গে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ সীমিত যোগাযোগ শুরু হলেও যাত্রী নেই পরিবহনগুলোতে। জেলার উপজেলাগুলোর সাথে নৌ পথ সচল হয়েছে।
এদিকে গতকাল ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক সেনা পুলিশের কর্মকর্তারা। এখনও পর্যন্ত দুটি মামলার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবারের ঘটনায় একজন নিহত ও ৬৪ জন আহত হয়েছেন। পুড়ে দেয়া হয়েছে আঞ্চলিক পরিষদে কার্যালয়।
এদিকে রাঙামাটিতে পাহাড়ি-বাঙালি সহিংসতায় হতাহত, অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের ঘটনায় একটি সমন্বয় কমিটি করে পুরো ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন খান। তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান, বাড়িঘর ও স্থাপনা সরেজমিন পরিদর্শনসহ সোমবার সকালে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা হয়েছে। এতে প্রাথমিক জরিপে ক্ষতির পরিমাণ ১০-১২ কোটি টাকার তথ্য পাওয়া গেছে। এ ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
এস/ভি নিউজ