সৌদি আরব সফরে রুবিও; যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্বের শেষ দিকে ইসরায়েল ও হামাস

 

ভিনিউজ : মধ্যপ্রাচ্য সফরের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সোমবার সৌদি আরবে রয়েছেন; সফরে প্রাধান্য পাওয়া বিষয়গুলোর মধ্যে ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধবিরতি অন্যতম।

গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র সরাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাব নিয়ে সৌদি আরব ও অন্যান্য আরব দেশের বিরোধিতার আবহেই রুবিও সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চলেছেন।

ট্রাম্প প্রস্তাব দিয়েছেন, ফিলিস্তিনিরা প্রতিবেশী দেশগুলিতে সরে যাবে এবং যুক্তরাষ্ট্র গাজার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এই ভূখণ্ডের পুনরায় উন্নয়ন ঘটাবে।

ট্রাম্পের আশা, সৌদি আরবের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক হোক, তবে এই ধরনের পরিকল্পনা সেই আশাকে নির্মূল করে দেবে বলেই ধারণা; সৌদির কর্মকর্তারা বলেছেন, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের পথ প্রশস্ত না হলে উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না।

গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ-পরিকল্পনাকে সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করেছে যুক্তরাষ্ট্র; রবিবার রুবিও বলেছেন, হামাসকে “নিশ্চিহ্ন করতেই হবে” এবং “সামরিক বা প্রশাসনিক শক্তি হিসেবে তারা (হামাস) থাকতে পারবে না।”

দুই সপ্তাহের মধ্যে যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্ব সমাপ্ত হতে চলেছে; জেরুজালেমে অবস্থানকালে রুবিও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে বলেছেন, “যতদিন (হামাস) সহিংসতা ব্যবহার করে এমন একটা বাহিনী হিসেবে থাকবে যারা সরকার চালাতে পারে, শাসন করতে পারে বা হুমকি দিতে পারে, ততদিন শান্তি অসম্ভব।”

ট্রাম্পের প্রতিধ্বনি করে ইসরায়েলি নেতা বলেছেন, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলায় (যা যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটায়) অপহৃত বাকি কয়েক ডজন জিম্মিকে হামাস মুক্তি না দিলে “জাহান্নামের দরজা খুলে যাবে।”

যুক্তরাষ্ট্রের চিহ্নিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হামাস প্রায় ৪০০ ফিলিস্তিনি বন্দির (ইসরায়েল কারাগারে বন্দি ছিল এরা) বিনিময়ে শনিবার তিনজন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে। তবে, সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে অপহরণ করা কয়েক ডজন জিম্মিকে এখনও আটকে রেখেছে হামাস জঙ্গিরা। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের ওই হামলায় ১২০০ জন নিহত হয়

পূর্বের খবরপরমাণু কর্মসূচি রক্ষার অঙ্গীকার করল ইরান
পরবর্তি খবরমহাকুম্ভে ভাইরাল ‘নায়িকাকে নিয়ে প্রযোজকের বিস্ফোরক মন্তব্য