সোনাপাচার মামলায় জামিন হচ্ছে না অভিনেত্রীর

দুবাই থেকে ১২ কোটি টাকার সোনাপাচারের অভিযোগে গ্রেফতার কন্নড় অভিনেত্রী রানিয়া রাওয়ের জামিন মিলছে না। সেই সঙ্গে তার বন্ধু তরুণ কন্ডুরু রাজুর জামিনের আবেদন খারিজ করলেন কর্নাটক হাইকোর্ট। গতকাল শনিবার (২৬ এপ্রিল) বিচারপতি এস বিশ্বজিৎ শেঠি এ নির্দেশ দেন। আদালতের বিস্তারিত আদেশ এখনো প্রকাশ হয়নি।

আর রানিয়া রাওয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এক পুলিশ কনস্টেবলকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগ, তিনি অভিনেত্রীকে সোনা নিয়ে বিমানবন্দর থেকে নিরাপদে বের হয়ে যেতে সাহায্য করেছিলেন।

সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে— ১৯৭৪ সালের বিদেশি মুদ্রা সংরক্ষণ ও চোরাচালান প্রতিরোধ আইন প্রয়োগের ফলে অভিযুক্ত রানিয়া রাও এক বছরের মধ্যে জামিন পাওয়ার কোনো সুযোগ পাবেন না।

অন্যদিকে হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে— আদালতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ডিরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স জানায়, তদন্তে উঠে এসেছে রানিয়া রাও ও তার বন্ধু তরুণ মিলে অন্তত ১০০ কেজি সোনা দুবাই থেকে ভারতে পাচার করেছেন। সংস্থাটির আরও দাবি, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত মাত্র তিন মাসে দুজনে একসঙ্গে ২০ বার দুবাই গেছেন। গত এক বছরে রানিয়া একাই দুবাই গেছেন ৫৬ বার।

আদালতে রানিয়ার পক্ষের আইনজীবী সন্দেশ চৌটা বলেন, রানিয়াকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। অন্যদিকে তরুণের আইনজীবীর দাবি, তার মক্কেলের বিরুদ্ধে একমাত্র অভিযোগ— তিনি দুবাই গিয়ে সোনা রানিয়ার হাতে তুলে দিয়েছিলেন।

তবে ডিআরআইয়ের আইনজীবী মধু এন রাও আদালতে বলেন, পাচারের বিষয়টি স্পষ্ট এবং এ মামলার তদন্ত এখনো চলছে। তিনি বলেন, ‘বিমানবন্দরে রানিয়া কীভাবে ভিআইপি প্রোটোকল ও পুলিশ এসকর্ট পেলেন, সেই দিকটিও তদন্তাধীন।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ৪ মার্চ অভিনেত্রী রানিয়া রাওকে গ্রেফতারের পর লাভেল রোডের নন্দওয়ানি ম্যানশনে তার বাসভবনে অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশ। তল্লাশিতে ২.৬৭ কোটি রুপি ও ২.০৬ কোটি মূল্যের সোনা বাজেয়াপ্ত করা হয়। অভিযানের পর কর্মকর্তারা তার বাড়ি থেকে তিনটি বড় বাক্স উদ্ধার করেন। মোট বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তির মূল্য ১৭.২৯ কোটি রুপি। দুবাই থেকে এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে নামার পর রানিয়া পুলিশ কনস্টেবল বাসবরাজুর সাহায্যে নিরাপত্তা তল্লাশি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তার কার্যকলাপ সম্পর্কে আগে থেকেই খবর ছিল ডিআরআইয়ের কাছে। ফলে অভিনেত্রীকে সোনাসহ হাতেনাতে ধরে ফেলা সম্ভব হয়। তল্লাশি করার সময় রানিয়ার জ্যাকেটের ভেতরে ১২.৫৬ কোটি রুপি মূল্যের ১৪.২ কেজি বিদেশি সোনা পাওয়া যায়। গ্রেফতারের পর অভিনেত্রীকে বিশদ তদন্তের জন্য নাগাভারায় ডিআরআই অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়।

পূর্বের খবরঢাকার সঙ্গে অংশীদারত্ব আরও গভীর করতে আগ্রহী ইসলামাবাদ
পরবর্তি খবরএবার ক্রিকেটে রাজত্ব করতে চায় চীন, চলছে জোর প্রস্তুতি