দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পরিসংখ্যানগতভাবে অবনতি না হলেও অনেক ঘটনা যে ঘটছে তা নজরদারিতে রেখেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। পুলিশসহ অন্য বাহিনীগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে তারা কাজ করছে বলে জানিয়েছে সেনাসদর।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) ঢাকা সেনানিবাসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সেনাবাহিনীর মিলিটারি অপারেশন্সের পরিচালক কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান।
দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনীর কার্যক্রম সম্পর্কে ধারণা দিতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এর আগে গত ১৩ ও ২৮ নভেম্বর দুই দফা সংবাদ সম্মেলন করে সেনাসদর।
গত ২৯ নভেম্বর থেকে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সেনাবাহিনীর কার্যক্রম সম্পর্কে বলা হয়েছে, এই ৪ সপ্তাহে সেনাবাহিনী ২৮টি অবৈধ অস্ত্র এবং ৪২৪ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে। এই সময়ে বিভিন্ন শিল্প কারখানায় ৬৭টি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রেখেছে সেনাবাহিনী। শিল্পাঞ্চল ছাড়াও গত এক মাসে ৪৫টি বিভিন্ন ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। এক মাসে ২০০ মাদক কারবারিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ১৪০৫ জনকে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনীর সদস্যরা।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে জানতে চাওয়া হলে কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান বলেন, পরিসংখ্যানগতভাবে অবনতি হয়নি। তবে অনেক ঘটনা ঘটছে। যা আমাদের নজরদারিতেও আছে। পুলিশ কাজ করছে। আমরাও কাজ করছি। এলাকাভেদে আমাদের সমন্বয় সেল আছে। যেখানে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও অন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো নিয়মিতভাবে সমন্বয় করে। সেনাসদর এবং উপদেষ্টামন্ডলী পর্যায়ে এই সমন্বয় হয়।সেনাবাহিনী দুই ধরনের অপারেশন চালাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, যেসব হুমকি উঠে আসে, সেগুলো নিয়ে আলোচনা করে পরবর্তী সময়ে কী হবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এবং কার্যক্রম গ্রহণ হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ কাজ করছে। সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ক্যাম্পে যারা আছেন তারাও কাজ করছে। সাধারণত দুই ধরনের অপারেশন করা হয়। কিছু টার্গেটেড। যেখানে আমরা তথ্য পাই। সেসব তথ্য নিয়ে কিছু এরেস্ট করা হয়েছে।
‘এর বাইরে অনেক সময় ঘটনার রিপোর্ট আমরা পাই, সেখানেও তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি এ ধরনের অপারেশনে ঢাকা থেকে অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করতে পারবো কি না, আমরা তা বলি না। কিন্তু একটি সহনশীল পর্যায়ে রাখতে আমাদের প্রচেষ্টা রয়েছে।’
সেনাবাহিনী আরও কতদিন মোতায়েন থাকবে জানতে চাইলে ইন্তেখাব হায়দার বলেন, সেনাবাহিনী মোতায়েন হয়েছে সরকারের সিদ্ধান্তে। সরকারের সিদ্ধান্তেই প্রত্যাহার করা হবে। কতদিন থাকা দরকার সেটার বিচার সরকার করবে।