সাড়ে ৭ টাকা দরে এল আরো ২ লাখ ৩১ হাজার ডিম

যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে সাড়ে সাত টাকা দরে আরো দুই লাখ ৩১ হাজার মুরগির ডিম আমদানি হয়েছে।

মঙ্গলবার রাতে ডিমের আমদানিকারক হাইড্রোল্যান্ড সল্যুশন বুধবার কাস্টমস থেকে ছাড়করণের কাজ করেছে বলে জানা গেছে।

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার অথেলো চৌধুরী জানান, কম শুল্কে ২১ অক্টোবর ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ ডিম খালাস দেওয়া হয়েছিল। বুধবার ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ ডিম খালাস দেওয়া হচ্ছে। আমদানিকারকের ডিমের চালান খালাসে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।

এ নিয়ে গত বছরের ৫ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ছয়টি চালানে ১২ লাখ ২১ হাজার ১৫০ মুরগির ডিম আমদানি করা হয়েছে।

আমদানি করা ডিম এখন ২৫ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশ শুল্ককর দিয়ে ছাড়পত্র হবে। আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই শুল্ক সুবিধা পাবেন আমদানিকারকরা। ডিমের সরবরাহ বৃদ্ধি ও বাজারে দাম কমাতে ১৭ অক্টোবর এক আদেশে শুল্ক কমিয়ে দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

প্রতি পিস ডিম আগে ১ টাকা ৯৬ পয়সা সরকারি শুল্ককর দেওয়া হত। শুল্ক কমানোয় এখন থেকে প্রতি পিস ডিমে মাত্র ৭৮ পয়সা শুল্ককর পরিশোধ করতে হচ্ছে। এতে আমদানি করা নতুন চালানের ডিম বাজারে অন্যান্য খরচসহ ৯ টাকার মধ্যে বিক্রি করার কথা।

নভেম্বরের মধ্যে সরকারের প্রথম ঘোষণার ৫০ লাখের মধ্যে আরো ৩৮ লাখ ডিম আমদানি করার কথা রয়েছে। এরই মধ্যে বেনাপোল দিয়ে ১২ লাখ ২১ হাজার ১৫০ ডিম আমদানি করা হয়েছে।

আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান জানায়, ভারত থেকে প্রতিটি ডিম কেনা হয়েছে পাঁচ টাকা ১৬ পয়সা দরে। প্রতিটা ডিমের আমদানি শুল্ক ৭৮ পয়সা। বন্দরের ভাড়া, পরিবহন, ব্যাংক এলসি, এক্সপোর্টারের খরচ মিলিয়ে একটি ডিমের দাম পড়ছে সাড়ে সাত টাকার একটু বেশি।

আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হাইড্রোল্যান্ড সল্যুশনের প্রতিনিধি ইকরামুল হাসান সজিব বলেন, “নতুন নির্ধারণ করা শুল্কে ডিম খালাস নিচ্ছি। ২১ অক্টোবর থেকে পাঁচ শতাংশ শুল্কের ডিম খালাস শুরু হয়। আজও হচ্ছে। এখন দাম আগের চেয়ে কমবে।”

দুই মাসের মধ্যে ৫০ লাখ ডিম আমদানির অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গত মাসের ১০ সেপ্টেম্বর এর সময়সীমা শেষ হয়ে যায়। এর মধ্যে মাত্র দুটি চালানে প্রায় তিন লাখ ডিম আমদানি করার সুযোগ হয়। রাষ্ট্রীয় পরিস্থিতির কারণে আমদানি বাধাগ্রস্ত হয়। এ জন্য তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আরো দুই মাসের সময় বাড়িয়েছে মন্ত্রণালয়। যেটি নভেম্বরে শেষ হবে বলে জানান তিনি।

ডিমের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান কলকাতার শ্রী লক্ষ্মী এন্টারপ্রাইজ। আমদানিকারকের পক্ষে ডিমের চালানটি খালাসের জন্য বুধবার কাস্টম হাউসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করেছেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রাতুল এন্টারপ্রাইজ।

বুধবারই ডিম খালাস করে ঢাকা নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানান সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট প্রতিনিধি জিয়া উদ্দিন।

বাজারে প্রভাব নেই

এদিকে ভারত থেকে আমদানি করে আনা ও বিভিন্ন পোলট্রি ফার্মের ডিম বাজারে পর্যাপ্ত থাকলেও তার কোনো প্রভাব পড়েনি যশোরের বাজারে।

১১ টাকা ৮৬ পয়সা খুচরা বাজারে সরকার দাম নির্ধারণ করে দিলেও বুধবার বেনাপোলসহ আশপাশের বাজারে বাদামি রঙের ডিম ১৪ টাকা, দেশি ডিম ২২ টাকা করে প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে। সাদা ডিমের কোনো সরবরাহ নেই বলে জানান ডিম বিক্রিতেরা।

তারা জানান, যেভাবে ডিম কিনছেন সেভাবেই বিক্রি করছেন। ডিম কিনছেন ১২ টাকা ৮০ পয়সা দরে আর বিক্রি করছেন ১৪ টাকায় বিক্রি করছেন।

এস/ভি নিউজ

পূর্বের খবরChief Adviser invited to attend D-8 Summit in Cairo
পরবর্তি খবরমনিকা-ঋতুপর্ণার গোলে নেপালকে হারিয়ে আবার চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ