নিজস্ব প্রতিনিধি: সরকারের নমনীয়তাকে দুর্বলতা ভাববেন না বলে সতর্ক করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যারা এখন বিশৃঙ্খলা করছে তারা ২০১৩ ও ২০১৪ সালেও বিশৃঙ্খলা করেছিল। তারা একই গোষ্ঠী এবং তাদের সাথে ছিল বিএনপি। আমরা জানি আপনারা কারা? বাইতুল মোকাররমে, পবিত্র কুরআনে আগুন জ্বালিয়েছিলেন। এই সময় পশু-পাখিও আপনাদের হাতে রেহাই পায়নি।সেই বিশৃঙ্খলা আমরা মোকাবিলা করেছি, আমাদের অভিজ্ঞতা আছে। সুতরাং আবার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাবেন না।’ আবার এমন করার চেষ্টা করলে, আমরা কঠোর হস্তে তা দমন করতে বদ্ধ-পরিকর।’
আজ শনিবার (২৭ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশের’ সহ-সভাপতি ও ভারতের সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটির আচার্য সত্যম রায় চৌধুরীর সম্পাদনায় ‘বঙ্গবন্ধু ফর ইউ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আগমণের সঙ্গে রেলস্টেশন জ্বালিয়ে দেওয়ার কি সম্পর্ক? ভূমি অফিস জ্বালিয়ে দেওয়া হলো কেন? এরা সবাই দুঃস্কৃতিকারী, শান্তি ও সম্প্রীতির শত্রু। এদের যদি খোঁজ খবর নেই, তবে দেখা যাবে এদের বাবা-দাদারা সব রাজাকার ছিল। মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েছিল। তাদের বাবা-দাদারা নারী নির্যাতন ও গণহত্যার সঙ্গে যুক্ত ছিল।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিনে তারা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আগমণ নিয়ে বিশৃঙ্খলার অপচেষ্টা চালিয়েছে। তিনি কোনো দলের নেতা হিসেবে বাংলাদেশে আসেননি। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমাদের সুবর্ণজয়ন্তীতে এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা জানাতে বাংলাদেশে এসেছেন।
তিনি বলেন, যে ভারত ১৯৭১ সালে এক কোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে, মুক্তিযুদ্ধে রক্ত ঝরিয়েছে সেই দেশের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মানা যায় না। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সমগ্র পৃথিবীতে চষে বেড়িয়েছেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুর মুক্তির জন্য। সেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি দেশে এসেছেন। অথচ তার আগমন নিয়ে ঢাকা, চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালানো হয়েছে।
ভিনিউজের সম্পাদক জয়ন্ত আচার্যের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ‘ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশের’ প্রধান সমন্বয়কারী মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক সাব-সেক্টর কমান্ডার মেজর (অব:) এ এস এম সামছুল আরেফিনের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশের সহ-সভাপতি ভারতের সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটির আচার্য ও ‘বঙ্গবন্ধু ফর ইউ’ বই এর সস্পাদক সত্যম রায়চৌধুরী, দ্বীপ প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী শংকর মন্ডল, ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশের সদস্য এবং আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ও সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল, সংসদ সদস্য পংকজ নাথ, দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, সুভাষ সিংহ রায়, ড. রাধা তমাল গোস্বামী প্রমূখ।
এছাড়া অনুষ্ঠানে আরো উপস্তিত ছিলেন এ্যাপেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান হারুনার রশিদ, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন কবির, আ:লীগের উপ-কমিটির সদস্য ফয়েজ উল্লাহ, সেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম লিটন, আ:লীগের উপ-কমিটির সদস্য ফাহাদ ইউসুফ হোসেন প্রমিত, মেজর সামছুল আরেফিনের (অব:) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মোহাম্মদ জিহাদুল ইসলাম, তুষার কান্তি উপাধ্যায়সহ অনেকে।