ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, প্রয়োজনীয় সব সংস্কার শেষে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি এক সপ্তাহের মধ্যে সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
আজ সোমবার তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের অফিসকক্ষে নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হাকোন অ্যারাল্ড গুলব্রান্ডসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকার উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে নরওয়ের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন এবং তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ ও গণমাধ্যমের উন্নয়নে বিনিয়োগ প্রত্যাশা করে বলে বৈঠকে উল্লেখ করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা। এর জবাবে নরওয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পাশে থেকে নতুন বাংলাদেশ পুনর্গঠনে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বলে জানান রাষ্ট্রদূত।
বৈঠকে নরওয়ের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের সাইবার নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে জানতে চান। জবাবে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এক সপ্তাহের মধ্যে আইনটি বাতিল হবে এবং এই আইনের অধীন যত মামলা হয়েছে, সব মামলাও বাতিল হবে। শুধু এই আইন নয়, মতপ্রকাশে বাধা সৃষ্টি করে এমন সব আইন পর্যালোচনা করা হচ্ছে। সংস্কারের ক্ষেত্রে অংশীজনদের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
সংখ্যালঘুরা নিরাপদে আছে
বৈঠকে নরওয়ের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়েও জানতে চান। নাহিদ ইসলাম তাঁকে বলেন, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা নিরাপদে আছে। সর্বশেষ দুর্গাপূজায় তাঁদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল, ছুটি বাড়ানো হয়েছে। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার সংখ্যালঘুদের নিয়ে রাজনৈতিক খেলায় মেতে উঠেছিল। তারা সংখ্যালঘুদের ভোটব্যাংক হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তাদের আমলেই সংখ্যালঘু নির্যাতনের বড় বড় ঘটনা ঘটলেও তারা বিচার করেনি।
জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে বহির্বিশ্বে নানা রকম নেতিবাচক প্রচারণা করা হচ্ছে উল্লেখ করে এ বিষয়ে সত্য ঘটনা প্রচার করতে নরওয়ের সহযোগিতা কামনা করেন নাহিদ ইসলাম। সাক্ষাৎকালে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হয়।
এ সময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. মুশফিকুর রহমান, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, নরওয়ের ডেপুটি হেড অব মিশন মারিয়ান রাবে ন্যাভেলসউরড প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।