সমকালের প্রধান শিরোনাম, ‘রাষ্ট্র পুনর্নির্মাণে সংস্কারের পথরেখা ঘোষণা’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, রাষ্ট্র সংস্কারের রূপরেখা তৈরির জন্য একটি পথরেখা ঘোষণা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস।
বুধবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে তিনি ছয়টি কমিশন গঠনের কথা জানান। সেগুলো হলো: নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন, দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন এবং সংবিধান সংস্কার কমিশন।
এসব কমিশনের মাধ্যমে রাষ্ট্র সংস্কারের রূপরেখা চূড়ান্ত করার ঘোষণা দেন তিনি।
তিনি সবাইকে নিজ নিজ জগতে সংস্কারের আহ্বান জানান। বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য পুলিশ প্রশাসন, জনপ্রশাসন, বিচার প্রশাসন ও দুর্নীতি দমন কমিশন এই চারটি প্রতিষ্ঠানের সংস্কার অপরিহার্য।
এদিকে ছয়টি কমিশনের কাজ পরিচালনার জন্য ছয় জন বিশিষ্ট নাগরিককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আগামী পয়লা অক্টোবর থেকে কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।
দেশের প্রায় প্রতিটি দৈনিক এই খবরটি প্রধান শিরোনাম করেছে। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খবরে নজর দেয়া যাক।
প্রথম আলোর প্রথম পাতার খবর, ‘আশুলিয়া ও গাজীপুরে ১৮৩ কারখানা বন্ধ’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সাভার-আশুলিয়া ও গাজীপুর শিল্পাঞ্চলে শ্রমিকদের বিক্ষোভে বুধবার ১৮৩টি তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ ছিল।
এর মধ্যে সাভার-আশুলিয়া-জিরানী এলাকার ৫৪টি ও গাজীপুরের ১২টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে মালিকপক্ষ। বাকি ১১৭ কারখানায় শ্রমিকেরা কাজ না করায় ছুটি দেওয়া হয়।
বিক্ষোভের এক পর্যায়ে গতকাল গাজীপুরের কাশিমপুর এলাকায় বিগবস করপোরেশন নামে একটি কারখানার গুদামে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
শ্রম অসন্তোষের পরিপ্রেক্ষিতে পোশাক খাতের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সাধারণত পাঁচ বছর পর মজুরি সমন্বয় করা হলেও এবার তা আগেই করার কথা জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
হাজিরা বোনাস ও টিফিন বিল বাড়ানো, শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধসহ বিভিন্ন দাবি-দাওয়া আদায়ে ৩১শে অগাস্ট থেকে গাজীপুর ও সাভার-আশুলিয়ায় শ্রমিক বিক্ষোভের ঘটনা ঘটছে। এ ছাড়া কারখানায় নিয়োগে নারী ও পুরুষের সম অধিকার নিশ্চিতের দাবিতেও বিক্ষোভ করেন চাকরিপ্রত্যাশীরা।
পরে পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ নেতারা আশুলিয়ার শ্রমিকদের হাজিরা বোনাস বৃদ্ধিসহ কয়েকটি দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি।
দ্য ডেইলি স্টারের পেছনের পাতার খবর, ‘Power supply to improve in three weeks’ অর্থাৎ, ‘তিন সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের উন্নতি হবে’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, চলমান বিদ্যুৎ বিভ্রাট পরিস্থিতি আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে সহজ হয়ে যাবে কারণ অন্তর্বর্তী সরকার সরবরাহ বাড়ানোর জন্য অনেক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফওজুল কবির খান বলেছেন, বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে, আর আদানি পাওয়ারকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়াতে বলা হয়েছে।
এছাড়া সরকার এলএনজি আমদানি শুরু করেছে বলে ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন।
পরবর্তীতে, চলমান বিদ্যুৎ বিভ্রাট পরিস্থিতি আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে কমবে বলে জানান তিনি।
এদিকে, সামিট গ্রুপ বুধবার ঘোষণা করেছে যে তাদের ভাসমান স্টোরেজ রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসআরইউ) এখন জাহাজ থেকে জাহাজে স্থানান্তর এবং তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) রিগ্যাসিফিকেশনের জন্য প্রস্তুত। ফলে প্রতিদিন ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফডি) গ্যাস তারা জাতীয় গ্রিডে পাঠাতে পারবে।
গত ২৭শে মে ঘূর্ণিঝড় রেমাল উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানলে টার্মিনালটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তারপর থেকে এটি পরিষেবার বাইরে রয়েছে।
যুগান্তরের প্রথম পাতার খবর, ‘নতুন ডিসিদের বেশির ভাগ বিদায়ি সরকারের ঘনিষ্ঠ’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, নতুন নিয়োগ পাওয়া ৫৯ জন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
তাদের বেশির ভাগই সদ্য বিদায়ি আওয়ামী লীগ সরকারের অতি ঘনিষ্ঠজন ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এর মধ্যে অনেকে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, মেয়র এবং তৎকালীন সরকারের আস্থাভাজন দলবাজ সচিবদের পিএস (একান্ত সচিব) হিসাবে কাজ করেছেন।
এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সরকারের কাছে সরবরাহ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ সময় তারা ডিসি নিয়োগের প্রজ্ঞাপন বাতির করে বঞ্চিতদের মধ্য থেকে অপেক্ষাকৃত দক্ষ, মেধাবী ও সৎ কর্মকর্তাদের ডিসি পদে নিয়োগ দেওয়া দাবি জানান।
এদিকে জেলা প্রশাসক নিয়োগে অনিয়মের বিষয় স্বীকার করে গত দুই দিনে নয়জনের নিয়োগ বাতিল করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
পাশাপাশি চারজন ডিসির জেলা পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে।
এত সব যাচাই-বাছাইয়ের পরও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা কি পদোন্নতি কিংবা ডিসি হিসাবে নিয়োগ পায়- এমন প্রশ্নে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান বলেন, মানুষ হিসাবে ভুল হতেই পারে। কোথাও কোনো অনিয়ম থাকলে ধরিয়ে দেবেন, ব্যবস্থা নেব।
আজকের পত্রিকার প্রথম পাতার খবর, ‘পদোন্নতি-পদায়ন নিয়ে পুলিশ ও প্রশাসনে বিশৃঙ্খলা’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর দেশজুড়ে যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে, তার প্রভাব পড়েছে পুলিশ ও জনপ্রশাসনেও।
নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতায় আসার এক মাস পেরিয়ে গেলেও শৃঙ্খলা ফেরানো যায়নি এ দুই জায়গায়। পদ নিয়ে সচিবালয়ে লেগেই আছে গন্ডগোল।
পুলিশ বাহিনীতে পদোন্নতি, বদলি ও পদায়নের তৎপরতা চলছে বেশি। গুরুত্বপূর্ণ পদে ও স্থানে পদায়নের জন্য দৌড়ঝাঁপ করছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
সব মিলিয়ে লেজেগোবরে অবস্থা চলছে প্রশাসনে।
সংস্কারে জোর দেওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পুলিশ সদর দপ্তরের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি-অপারেশনস) মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘সংস্কারের বিষয়টি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। একটু ধৈর্য ধরতে হবে, সময় দিতে হবে।’
দেশ রূপান্তরের প্রথম পাতার খবর, ‘নতুন নড়াচড়া আন্ডারওয়ার্ল্ডে’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সুইডেন আসলাম। এক সময় ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ড কাঁপাতেন। তার ভয়ে ব্যবসায়ীসহ নানা পেশার লোকজন ছিল তটস্থ। একটি মাত্র মামলার জামিন নেওয়া বাকি থাকলেও ইচ্ছা করে তাও নেননি।
রাজনৈতিক পটপরির্বতন হওয়ার পর এ মাসের শুরুর দিকে তিনি জামিন নিয়ে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন। প্রায় ২৮ বছর পর কারাগারের বাইরে পা দিলেন সুইডেন আসলাম।
ঠিক একইভাবে কারাগার থেকে বের হয়ে এসেছেন আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী কিলার আব্বাস। এই দুই সন্ত্রাসীর মতো বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী মুক্ত হওয়ার পর আন্ডারওয়ার্ল্ড নড়েচড়ে উঠেছে।
উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে পুরো আন্ডারওয়ার্ল্ডে। ইতোমধ্যে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে খুনাখুনির ঘটনা আগের চেয়ে বেড়ে গেছে। পাড়া-মহল্লায় সন্ত্রাসীদের আনাগোনা বেড়েছে।
সন্ত্রাসীরা কারাগার থেকে বের হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যেও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এই নিয়ে পুলিশ ও র্যাবের শীর্ষ কর্তারা কয়েক দফা বৈঠক করে মাঠ পর্যায়ের কর্তাদের দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
নয়া দিগন্তের প্রথম পাতার খবর, ‘দুর্গাপূজায় ইলিশ চেয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভারতের চিঠি’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষে ইলিশ পাঠাতে বাংলাদেশের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে ভারত।
দেশটির ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন ইলিশ আমদানির আবেদন জানিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, ১৯৯৬ সাল থেকে আমরা বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আমদানি করে আসছি।
প্রতি বছর পশ্চিমবঙ্গের পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমরা পাঁচ হাজার টন ইলিশ আমদানি করে আসছিলাম।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে ২০১২ সালের জুলাইয়ে তৎকালীন সরকার ভারতে ইলিশ রফতানি বন্ধ করে দেয়, যার কারণ তারাই ভালো বলতে পারবে। তারপর থেকে আমরা ওই নিষেধাজ্ঞা শিথিলের আবেদন জানিয়ে আসছি, কিন্তু সাড়া পাইনি।
গত পাঁচ বছর (২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার কেবল দুর্গাপূজার সময় শুভেচ্ছা স্বরূপ নির্দিষ্ট পরিমাণ ইলিশ রফতানির সুযোগ দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৩রা সেপ্টেম্বর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ভারতে কোনো ইলিশ যাবে না। দেশের মানুষের চাহিদা মিটিয়ে তারপর ইলিশ মাছ বিদেশে রফতানি করা হবে।
এবার দুর্গাপূজায়ও ভারতে যাতে কোনো ইলিশ না যায় তার জন্য আমি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে বলেছি।
কালের কণ্ঠের প্রথম পাতার খবর, ‘সড়কের অব্যবস্থাপনায় তীব্র যানজট রাজধানীতে’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গত কয়েক দিন ধরেই ঢাকায় যানজটের কারণে সীমাহীন জনদুর্ভোগ চলছে।
আগে অফিস শুরু ও ছুটির সময় কেন্দ্র করে যানজট হতো, কিন্তু এখন রাত ১১টায়ও মূল সড়কে গাড়ির চাপ লক্ষ করা যায়।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে ৩০০ ফিটের কুড়িলমুখী সড়কেও তীব্র যানজট দেখা যায়। সাধারণত এই সড়কে যানজট হয় না।
ঢাকার মূল সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার দৌরাত্ম্য, উল্টোপথে গাড়ি চলাচল বেড়ে যাওয়া, ঢাকা জেলার নিবন্ধিত অটোরিকশা মহানগরের ভেতর চলাচল, দিনের বেলায় পণ্যবাহী যান চলাচল, অপরিকল্পিতভাবে নানা দাবিতে বিভিন্ন সড়ক অবরোধ, সড়ক ব্যবহারকারীদের আইন না মানা, পুলিশের গুরুত্ব কমে যাওয়া এবং বদলিতে আসা নতুন কর্মকর্তাদের সব কিছু বুঝে উঠতে সময় লাগায় সড়কের বিশৃঙ্খলা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগরের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক বলেন, ‘আমাদের চেষ্টার কমতি নেই। কিন্তু যাঁরা সড়ক ব্যবহার করেন, তাদের সহযোগিতা পাওয়া জরুরি। এখন ৭০ শতাংশ মানুষ আইন মানছে না। এতে পুলিশ সদস্যরাও বাধার মুখে পড়ছে।’
এদিকে যানজটের কবলে পড়ে গাড়িচালকদের আয় নেমে এসেছে অর্ধেকে। এক অটোরিকশাচালক জানান, ছয় ঘণ্টায় তিনি মাত্র তিন ট্রিপ দিতে পেরেছেন। যানজটের কারণে বাসের ট্রিপও কমে এসেছে।
ইত্তেফাকের প্রথম পাতার খবর, ‘ইউক্রেন, গাজা থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত আক্রমণে কমলা ট্রাম্প’
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিতর্কের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের দুই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিস এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প একে অপরের সঙ্গে হাত মিলালেও বিতর্কের সময় পরস্পরকে নাস্তানাবুদ করেন।
এই টিভি বিতর্ককে বলা হয়েছে ফায়ারি ডিবেট বা অগ্নিঝরা বিতর্ক। ফিলাডেলফিয়ায় ট্রাম্প এবং কমলা এবিসি টিভি চ্যানেল আয়োজিত বিতর্কের মুখোমুখি হয়।
এ সময় তারা একে অপরকে মিথ্যাবাদী বলেন এবং একে অপরের বিরুদ্ধে আমেরিকাকে বিভক্ত করার অভিযোগ তোলেন।
ইসরায়েল ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে কমলা বলেছেন, ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে তবে তিনি যুদ্ধ বিরতির প্রয়োজনীয়তার কথাও জানান। অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট থাকলে এ লড়াই হতোই না।
এই দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মুখোমুখি বিতর্কে অর্থনীতি, যুক্তরাষ্ট্রের গর্ভপাত নীতি, রাশিয়া-ইউক্রেন, যুদ্ধসহ গুরুত্বপূর্ণ সব ইস্যু প্রাধান্য পেয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বিতর্কে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস বনাম রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম টিভি বিতর্ক ছিল রীতিমতো উত্তেজনাপূর্ণ।
যদিও তাৎক্ষণিক জরিপে কমলা ট্রাম্পকে ছাড়িয়ে গেছেন বলে জানা গিয়েছে। আগামী পাঁচই নভেম্বর দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে।
এস/ভি নিউজ