‘রাশিয়া কি আওয়ামী লীগের বৃত্ত থেকে বের হতে পারবে’

বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম, ‘রাশিয়া কি আওয়ামী লীগের বৃত্ত থেকে বের হতে পারবে’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, আশির দশকে বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার কূটনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হলেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তা পুরোপুরি বদলে যায়।

১৯৮৩ সালে সোভিয়েত গোয়েন্দা সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে ১৮ কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছিল বাংলাদেশ। এর আগে জিয়াউর রহমানের সময়ও চার সোভিয়েত কূটনীতিককে বহিষ্কার করা হয়েছিল।

তবে সম্পর্কের এ অবনত অবস্থার বরফ গলতে থাকে মূলত ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর। গত দেড় দশকে শেখ হাসিনা সরকার রাশিয়ার সঙ্গে সে সম্পর্ক কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যায়।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগের সেই বৃত্ত থেকে এখন রাশিয়া বের হয়ে আসতে পারবে কিনা সে প্রশ্নই উঠেছে।

কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়া-বাংলাদেশের সম্পর্ক সবসময় নির্ভর করেছে রাজনৈতিক দলগুলোর ক্ষমতা গ্রহণের ওপর।

স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশে দেশটির যে পরিমাণ বিনিয়োগ এসেছে, তার বৃহৎ অংশই এসেছে শেখ হাসিনা সরকারের সময়।

দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বিশ্লেষণেও দেখা গিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন বাংলাদেশে রাশিয়ার বিনিয়োগের অনন্য নিদর্শন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন হয়েছে।

এ নিয়ে বিশ্লেষকদের মত, রাশিয়ার সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক হবে বলে মনে হচ্ছে না। তবে অনেক প্রশ্ন তো তৈরি হচ্ছে। প্রশ্নগুলো উভয় দেশ কীভাবে মোকাবেলা করবে, সেটা বিবেচ্য বিষয়।

দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম, ‘Malaysia may consider entry of 18,000 workers’ অর্থাৎ, ‘মালয়েশিয়া ১৮০০০ কর্মী প্রবেশের কথা বিবেচনা করতে পারে’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম মে মাসে তাদের দেশে প্রবেশে ব্যর্থ হওয়া ১৮ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিকের প্রবেশের বিষয়টি বিবেচনা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

মালয়েশিয়ায় কর্মী দরকার, শুক্রবার ঢাকা সফরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করার পর ইব্রাহিম এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন।

প্রফেসর ইউনূস তাকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুটি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সংগঠন আসিয়ান-এ উত্থাপন করার জন্য অনুরোধ করেন, যার একটি সদস্য মিয়ানমার।

দুই দেশের মধ্যে কৃষি, জ্বালানি, শিক্ষা, সেমিকন্ডাক্টর শিল্প, সমুদ্র অর্থনীতি, উদ্ভাবন, প্রতিরক্ষা এবং যুব উন্নয়ন বিষয়ে নতুন চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

এক যৌথ প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রফেসর ইউনূস বলেন, তিনি এবং ইব্রাহিম কীভাবে মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসার মাধ্যমে মালয়েশিয়া বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি কর্মী ও পেশাজীবী নিতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করেছেন।

মি. ইব্রাহিম, ৫৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে ঢাকায় আসেন।

অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পর সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিনের সঙ্গে দেখা করে তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় আজ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসতে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

শনিবার বেলা আড়াইটায় দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপিকে দিয়ে সংলাপ শুরু হবে।

সংলাপে রাজনৈতিক দলের আমন্ত্রিত নেতারা বলেন, প্রথমত তারা প্রধান উপদেষ্টার কথা শুনবেন।

পরে তারা রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ বিষয়ে সরকারের মনোভাব জানতে চাইবেন।

বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সংলাপে সংস্কারসহ নানা বিষয়ে এ সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতার কথা জানাবেন।

তবে নির্বাচন ব্যবস্থা, প্রশাসন ও বিচার বিভাগ-এ তিনটি ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কারের বিষয়ে তারা নির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাব দিতে পারেন।

এরপরই দ্রুত নির্বাচনের বিষয়ে যুক্তি দিয়ে দলের অবস্থান তুলে ধরার কথা রয়েছে।

পাশাপাশি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলা ও সাজা প্রত্যাহার, আইনশৃঙ্খলাসহ দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলবেন দলটির নেতারা।

দায়িত্ব গ্রহণের পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার এটি হবে তৃতীয় দফা সংলাপ।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকার পতনের আজ দুই মাস পূর্ণ হচ্ছে। গত ৫ই অগাস্ট তিনি দেশ ছাড়েন।

এরপর গত ৮ই অগাস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

এরপর থেকেই একের পর এক বিভিন্ন সংগঠনের দাবি-আন্দোলন প্রশমন, পুলিশ প্রশাসনকে কাজে ফেরানোসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয় এ সরকারকে।

তবে বিশেষজ্ঞদের মতে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের প্রত্যাশা অনুসারে সম্ভাবনাময় যাত্রার মধ্যেও রাষ্ট্র সংস্কারই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মূল চ্যালেঞ্জ।

গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী ‘মব জাস্টিস’ নিয়ন্ত্রণে আনা, বন্যাপরিস্থিতি মোকাবেলা—এসবও ছিল এ সরকারের জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ।

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছেন, এই দুই মাসে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করার জন্য আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে যেভাবে সাড়া মিলিছে, তা আগে কখনো হয়নি।

হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে গেছে। সেগুলো ফেরত আনার চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।

প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, ‘সড়কে দুর্নীতি, নেপথ্যে কাদেরসহ প্রভাবশালীরা’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সড়কের ঠিকাদারি কাজ তিনটি পক্ষ নিয়ন্ত্রণ করত: ১. আওয়ামী লীগের কিছু প্রভাবশালী নেতা–সংসদ সদস্য। ২. সাবেক সড়কমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের স্বজন ও ঘনিষ্ঠ কয়েকজন এবং ৩. সওজের কয়েকজন প্রকৌশলী।

সড়ক ও জনপথের বরাতে এই খবর প্রকাশ করেছে প্রথম আলো। বলা হচ্ছে, ২০১১ সালে ওবায়দুল কাদের সড়কমন্ত্রী হওয়ার পর তার স্ত্রী, ভাই সেইসাথে ফেনীর সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী এবং নোয়াখালীর সাবেক সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীকে নিয়ে একটি চক্র গড়ে ওঠে।

সড়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান প্রথম আলোকে বলেন, আসলে বিগত সরকারের আমলে কাকে কাজ দেওয়া হবে, তা আগে ঠিক করা হতো। এরপর দরপত্র ডাকার আনুষ্ঠানিকতা করা হতো।

গত ছয় বছরে সড়কের মোট ঠিকাদারি কাজের ১০ শতাংশ করেছে ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স (এনডিই) নামে একটি প্রতিষ্ঠান।

২০১৭ সালের শেষ দিকে প্রতিষ্ঠানটি সড়কে কাজ শুরু করে। মাত্র ছয় বছরে তারা সড়কে একক ও যৌথভাবে সাড়ে আট হাজার কোটি টাকার ঠিকাদারি পায়।

প্রতিষ্ঠানটির পেছনে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক সামরিক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক। এনডিই ঠিকাদারি কাজ পেতে ওবায়দুল কাদেরের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করত বলে জানা যায়।

এনডিইর মতো ১৫টি প্রতিষ্ঠান ব্যয়ের দিক দিয়ে মোট কাজের ৯০ শতাংশ পেয়েছে। এক যুগে সড়ক ও সেতু নির্মাণ এবং রক্ষণাবেক্ষণে ৮৩ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয় করেছে সরকার। যার মধ্যে প্রায় ৭৫ হাজার কোটি টাকার কাজ একক ও যৌথভাবে পেয়েছে ওই ১৫টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

সমকালের প্রথম পাতার খবর, ‘শেরপুরের দুই উপজেলা প্লাবিত মৃত্যু ২

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, টানা ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের মহারশি, ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর দুই কূল উপচে দুই উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।

তলিয়ে গেছে উপজেলা দুটির গ্রামীণ অধিকাংশ সড়ক ও ফসলের মাঠ। অনেক বাড়িঘর হাঁটুপানিতে নিমজ্জিত। ভেসে গেছে অসংখ্য পুকুরের মাছ। এমন আকস্মিক বন্যায় মহাদুর্ভোগে পড়েছেন অন্তত ৫০ গ্রামের মানুষ।

মৃত দুজনের মধ্যে একজন নলিতাবাড়ি উপজেলার বাঘবেড় ইউনিয়নের বাসিন্দা। অপরজন নয়াবিল ইউনিয়নের বাসিন্দা।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়। রাতভর বৃষ্টিতে ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশি নদীর পানি বেড়ে উপজেলার সদর বাজার, উপজেলা পরিষদ চত্বরসহ চারটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে।

স্থানীয়রা বলছেন, গভীর রাতে নদীর কয়েকটি স্থানে বাঁধ ভেঙে ও বাঁধ উপচে প্রবল বেগে ঢলের পানি লোকালয়ে ঢুকছে। ভেঙে গেছে বাড়িঘর। জিনিসপত্র নিয়ে নিরাপদ স্থানে ছুটছে মানুষ।

দুর্গত এলাকাগুলোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আটকে পড়াদের উদ্ধারে স্পিডবোট ও নৌকা পেতে সংশ্লিষ্টদের সহায়তা চাওয়া হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা পানিবন্দিদের উদ্ধার করার জন্য কাজ করছেন।

ক্ষতিগ্রস্তদের আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানোর পাশাপাশি তাৎক্ষণিকভাবে তাদের শুকনো খাবার ও পানি বিতরণ করা হচ্ছে।

বন্যার্তদের তালিকা ও ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ তৈরির জন্য দায়িত্বশীলদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের মেরামত কাজ দ্রুত শুরু করা হবে।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, নিত্যপণ্যের বাজারে বেড়েছে ডিম-মুরগি, ইলিশ-কাঁচামরিচসহ প্রায় সব সবজির দাম।

চাল-ডাল-তেল-চিনি, আলু-পেঁয়াজ-রসুনসহ বাকি প্রায় সব পণ্য আগের বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে আসা ক্রেতা প্রশ্ন তুলছেন, ‘সিন্ডিকেট’ ভাঙবে কে? খুচরা ব্যবসায়ীও প্রশ্ন রেখে বলছেন, পণ্যের ‘আগুন’ দাম। লেখালেখি করে লাভটা কী? কোনো লাভ হইছে? বরং দাম আরও বাড়ছে’।

গত দুইদিন রাজধানীর কয়েকটি বাজার ও স্থান ঘুরে এবং ক্রেতা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্যই পাওয়া যায়।

সপ্তাহের ব্যবধানে আরও বেড়েছে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম। ডজনে ১০ টাকা বেড়ে বাজার ও স্থান ভেদে লাল রংয়ের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়। হালি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। এক পিস ১৫ টাকা।

দাম বৃদ্ধিতে পিছিয়ে নেই ব্রয়লার ও সোনালি মুরগি। সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগি ও সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে।

আগুন লেগেছে সবজিতেও। এ সপ্তাহে কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত। আর অধিকাংশ সবজি ১০০ টাকা ওপরে বিক্রি হচ্ছে।

ভরা মৌসুমেও আরও এক দফা বেড়েছে ইলিশের দাম। কেজিতে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা।

মানবজমিনের প্রথম পাতার খবর, ‘ডেঙ্গুতে বেশি মারা যাচ্ছে তরুণরা’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সারা দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ও মৃত্যু কমছে না। মৃতদের মধ্যে তরুণদের সংখ্যা বেশি। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ১৭৭ জন মারা গেছেন ডেঙ্গুতে।

এরমধ্যে ঢাকার দক্ষিণ সিটিতে সর্বাধিক ৯৫ জন। ডেঙ্গু আক্রান্তে পুরুষরা বেশি হলেও মৃত্যুতে নারীরা বেশি।

কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, ডেঙ্গুতে নারীরা আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হলে হাসপাতালে দেরিতে যান।

এক্ষেত্রে ডেঙ্গুর হটস্পট নির্ধারণ করে সঠিক ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ দেন কীটতত্ত্ববিদরা।

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে যারা এখন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন তাদের বেশির ভাগই ঢাকার বাসিন্দা। তবে ২০-২৫ শতাংশ রোগী ঢাকার বাইরে থেকেও আসছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, মশার প্রজনন ধ্বংস কার্যক্রম ভাটা পড়ায় পরিস্থিতি আবারও ভয়াল রূপ ধারণ করেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবও সে কথাই বলছে।

এখনি এডিসের জীবাণুবাহী মশার প্রজননস্থল ধ্বংস না করতে পারলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।

নয়া দিগন্তের প্রথম পাতার খবর, ‘মিরসরাইয়ে তৈরি হবে ড্রোন বিনিয়োগ ৫৫০ কোটি টাকা‘।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে দুই একর জায়গায় কারখানা স্থাপন করবে স্কাই বিজ লিমিটেড নামে বাংলাদেশী কোম্পানি।

সেই কারখানায় তৈরি হবে ড্রোন। এ জন্য তারা বিনিয়োগ করছে প্রায় সাড়ে ৫০০ কোটি টাকা। ‘ড্রোন’ শব্দটি সাধারণ ভাষায় পাইলটবিহীন বিমানকে (ইউএভি) বোঝায়।

বৃহস্পতিবার ঢাকার বেপজা নির্বাহী দফতরে স্কাই বিজ লিমিটেডের সাথে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা)।

স্কাই বিজ বছরে মোট ১০টি মডেলের ৭ হাজার ৩১৪ পিস বিভিন্ন ধরনের ড্রোন তৈরি করতে পারবে, যা কৃষিকাজে কীটনাশক ছিটানো, অগ্নিনির্বাপণ, জরুরি উদ্ধারকাজ, পণ্য সরবরাহ, সিনেমাটোগ্রাফি, ম্যাপিং প্রভৃতি কাজে ব্যবহৃত হবে বলে জানা গেছে।

দেশে বাণিজ্যিক ও রফতানির উদ্দেশে এ ধরনের ড্রোন তৈরির উদ্যোগ এটাই প্রথম।

সামরিক কাজ থেকে শুরু করে প্যাকেজ বিতরণসহ, আধুনিক যোগাযোগব্যবস্থায় ড্রোনের ব্যবহার দিন দিন বিস্তার লাভ করছে। চলছে উদ্ভাবনী গবেষণা। একইসাথে বাড়ছে এ শিল্পের বাজারদর।

মূলত সামরিক ও মহাকাশ শিল্পের জন্য ড্রোন ব্যবহার শুরু হলেও পরে মানুষ, রক্ত ও পণ্য পরিবহন, কৃষিকাজ, পাহাড়ধসের আগাম সতর্কতা প্রাপ্তি, সেতু ও ভবনের ফাটল শনাক্তকরণ এবং মেরামত, যানবাহন শনাক্তকরণ ও গণনা, সিসিটিভি ক্যামেরার উচ্চতা নির্ধারণ, জমি পরিমাপ, চিত্রধারণ, যন্ত্রপাতিতে তাপবিষয়ক ত্রুটি ও নদীতে পানির গুণগতমান নির্ধারণ করা ইত্যাদি কাজে ড্রোনের ব্যবহার বিস্তার লাভ করেছে।

পূর্বের খবরশেরপুরে বন্যায় তিনজনের মৃত্যু
পরবর্তি খবরবৃষ্টি থাকতে পারে আরও ৭ দিন