মোদি-সুলিভান বৈঠক, যা আলোচনা হলো

জো বাইডেন প্রশাসনের বিদায়ের আগে ভারতে দুই দিনের সফর করলেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান। গতকাল সোমবার সফরের শেষ দিন তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দেখা করেন। এ ছাড়া বৈঠক করেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গেও।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক খবরে বলা হয়েছে, সুলিভানের এই সফরের উল্লেখযোগ্য দিক হলো ক্রিটিক্যাল ও ইমার্জিং প্রযুক্তি বা আইসেট ক্ষেত্র। দিল্লি আইআইটিতে এ সংক্রান্ত এক অনুষ্ঠানে গতকাল বক্তব্য দেন তিনি।

ওই বক্তব্যে সুলিভান বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের শান্তি-স্থিতিশীলতার জন্য যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে বেসামরিক পারমাণবিক সহযোগিতা বাস্তবায়নের জন্য বিধিগত বাধা দূর করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে। এর ফলে মার্কিন কোম্পানিগু ভারতের বেসামরিক পারমাণবিক সেক্টরে কাজ করার অনুমতি পাবে।

সুলিভান বলেন, গত চার বছরে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত একটি মহামারি থামাতে বিশ্বে ভ্যাকসিন আনার জন্য একসঙ্গে কাজ করেছে। আমরা জেট ইঞ্জিন, সেমিকন্ডাক্টর এবং ক্লিন এনার্জি নিয়ে উদ্যোগ নিয়েছি এবং কয়েক মাসের মধ্যে আমরা একজন ভারতীয় মহাকাশচারীকে মহাকাশে পাঠাব।

এ ছাড়ার সুলিভানের সঙ্গে বৈঠকের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। পোস্টে তিনি লিখেছেন, সুলিভানের সঙ্গে দেখা হওয়া সত্যিই আনন্দায়ক ব্যাপার। বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা, মহাকাশ, জৈবপ্রযুক্তি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত অংশীদারত্ব নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। আমাদের জনগণের স্বার্থে এবং বৈশ্বিক কল্যাণের জন্য দুই গণতান্ত্রিক দেশের মধ্যে সম্পর্কের এই গতিকে তরান্বিত করার জন্য আমি উন্মুখ।

এর আগে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দিল্লিতে বৈঠক করেন সুলিভান। বৈঠকের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জয়শঙ্কর বলেন, দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতা আরও বাড়াতে যা যা করা দরকার, সেই আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। চার বছর ধরে চলমান এই আলোচনার খোলামেলা মনোভাব দুই দেশের কাছেই মূল্যবান। ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক দৃঢ় করতে জ্যাক সুলিভানের ব্যক্তিগত অবদান উল্লেখযোগ্য।

সুলিভান ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গেও বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে তারা মহাকাশ, প্রতিরক্ষা, কৌশলগত প্রযুক্তি সহযোগিতার পাশাপাশি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের অভিন্ন নিরাপত্তা অগ্রাধিকারের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন।

পূর্বের খবরA four-day science-backed guide to forging better friendships that will improve your life
পরবর্তি খবর‘চিকিৎসা শেষে খালেদা জিয়ার দেশে ফিরতে আইনগত কোনো বাধা নেই’