ভারতের বিপক্ষে অন্য দুই সংস্করণে জয় পেলেও টেস্টে তা অধরাই আছে। এবারের সফরে সেই অপেক্ষা ফুরাতে চায় বাংলাদেশ। ভারতকে হারানোর আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে পাকিস্তানকে ধবলধোলাই করার সাফল্য।
তবে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ মানেই যেন নাজমুল হোসেন শান্ত-মুশফিকুর রহিমদের প্রবল চাপ।
শিষ্যদের ওপর থাকা এই চাপকেই অবশ্য এবার দলের জন্য সুবিধা বলে মনে করছেন কোচ চন্ডিকা হাতুরাসিংহে। আজ চেন্নাইয়ে সংবাদ সম্মেলনে শ্রীলঙ্কান কোচ বলেছেন, ‘চাপের সুবিধাও আছে। এটা আমাদের অনেক বেশি বিশ্বাস জোগাবে। সঙ্গে আরো বেশি সামনে তাকানোর সুযোগ বলে মনে করি।
এর পরেই সত্যিকার অর্থে বুঝতে পারি আমরা দল হিসেবে কোথায় দাঁড়িয়ে । আর আমাদের শক্তি ও সীমাবদ্ধতার জায়গা কোথায়।’
বাংলাদেশ ছাড়ার আগে সিরিজটিকে চ্যালেঞ্জিং বলে জানিয়েছেন বেশ কজন ক্রিকেটার। শিষ্যদের মতো নিজেও ভারতের চ্যালেঞ্জ নিতে মুখিয়ে আছেন বলে জানিয়েছেন হাতুরাসিংহে।
তিনি বলেছেন, ‘বিশ্বের সেরা দলের বিপক্ষে খেলতে পারাটা উৎসাহের। যেমন ভারতের বিপক্ষে ভারতের মাটিতে খেলা। বর্তমান সময়ের ক্রিকেটে এটাই সেরা চ্যালেঞ্জ। তাই সেরা দলের বিপক্ষে খেলতে পারলে সব সময় বুঝতে পারবেন একজন ক্রীড়াবিদ হিসেবে আপনি কোথায় দাঁড়িয়ে। আমরা চ্যালেঞ্জ নিতে মুখিয়ে আছি।
বর্তমান টেস্ট দলকে তার সময়ের সেরা দল বলে মনে করেন হাতুরাসিংহে। তিনি বলেছেন, ‘সম্ভবত আমার এই মেয়াদে এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে ভারসাম্যপূর্ণ দল। আপনি ঠিকই বলেছেন, আমরা অনেক পেসার নিয়ে এসেছি এবং তারা খুবই ভালো মানের পেসার। আমাদের স্পিন বিভাগও অনেক অভিজ্ঞ। তারপর ব্যাটিং নিয়ে বললে, আমাদের ব্যাটিং বিভাগে অনেক গভীরতা আছে দুটি কারণে। প্রথমত, আমাদের দুই স্পিনার জেনুইন ব্যাটারও, দুজনেরই টেস্ট সেঞ্চুরি আছে। দ্বিতীয়ত, দুই উইকেটকিপারই আমাদের প্রধান ব্যাটার। এই সিরিজে আমাদের দলের ভারসাম্য সত্যিই দারুণ। এটি আসলে এই সিরিজে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ব্যাপারে আমাদের অনেক আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে।’
মেহেদী হাসান মিরাজকে ভবিষ্যতের সাকিব আল হাসান বলেও মনে করছেন হাতুরাসিংহে। বাংলাদেশের কোচ বলেছেন, ‘সর্বশেষ ৫-৬ বছরে সবচেয়ে উন্নতি করা খেলোয়াড় হচ্ছেন মিরাজ। সে সাকিবের ভূমিকা পালনে তৈরি। সে ব্যাটিংয়ে উন্নতি করেছে। আর অবশ্যই তার এক নম্বর শক্তির জায়গা বোলিং। সে অবিশ্বাস্য একজন ফিল্ডারও।’
আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর চেন্নাইয়ে প্রথম টেস্ট শুরু হবে। চেন্নাইয়ের উইকেট নিয়ে হাতুরাসিংহে বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে উইকেট খুবই ভালো। স্পোর্টিং উইকেট মনে হচ্ছে। কিন্তু উপমহাদেশের কন্ডিশন হিসেবে বলতে পারি, এটি এখন থেকে প্রথম দিন পর্যন্ত পরিবর্তন হতে পারে।’
এস/ভি নিউজ