শ্রীকান্ত্ জিচকারের পড়াশোনার কেরিয়ারটা একবার চোখ বুলিয়ে নিন। তাহলেই বুঝতে পারবেন ভদ্রলোক কি কাণ্ডটাই না করেছেন।
১. জীবন শুরু MBBS, M.D দিয়ে।
২. এরপর L.L.B করেন। সাথে ইন্টারন্যাশানাল ল-এর ওপর স্নাতকোত্তর।
৩. এরপর বিজনেস ম্যানেজমেন্ট এর ওপর ডিপ্লোমা, সাথে M.B.A
৪. এরপর জার্নালিজম নিয়ে স্নাতক।
শ্রীকান্ত্ জিচকারের শুধু স্নাতকোত্তর ডিগ্রীই আছে দশটা বিষয়ের ওপর। স্নাতকোত্তরের বিষয়ের তালিকাটা দেখুন-
১. পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন
২. সমাজবিজ্ঞান
৩. অর্থনীতি
৪. সংস্কৃত (ডি.লিট)
৫. ইতিহাস
৬. ইংরেজি
৭. দর্শন
৮. পলিটিক্যাল সায়েন্স
৯. এনসিয়েন্ট ইন্ডিয়ান হিস্ট্রী, কালচার,এন্ড আর্কেওলজি
১০. সাইকোলজি
ওপরের সবগুলো বিষয়েই প্রথম শ্রেণীর সঙ্গে স্নাতকোত্তর, এবং ২৮টি স্বর্ণপদক বিজয়ী। সব মিলিয়ে ১৯৭৩ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত প্রতি গ্রীষ্মে ও প্রতি শীতেই উনি কোনও না কোন স্নাতকোত্তরের বিষয়ের পরীক্ষা দিয়েছেন। শ্রীকান্ত্ জিচকার ১৯৭৮ সাল আই.পি.এস (IPS) পরীক্ষায় বসেন এবং পাশ করেন। কিন্তু চাকরীটা ছেড়ে দিয়ে বসলেন আই.এ.এস (IAS) পরীক্ষায়। ১৯৮০ তে আই.এ.এস(IAS) হন।
তবে চারমাসের মধ্যে আই.এ.এস (IAS) এর চাকরীটাও ছেড়ে দিলেন মহারাষ্ট্রের বিধান সভা ভোটে লড়বেন বলে। ১৯৮০ সালে মাত্র ২৫ বছরে উনি বিধায়ক নির্বাচিত হন। উনি হলেন ভারতের সবচেয়ে কমবয়সী বিধায়ক। মন্ত্রী হলেন এবং একটা দুটো দপ্তরের নয়, একেবারে ১৪ টা দপ্তরের। ১৯৯২ সাল নাগাদ রাজ্যসভার সদস্য নির্বাচিত হলেন।
উনি ছিলেন একাধারে অসাধারণ চিত্রশিল্পী, পেশাদার ফটোগ্রাফার, মঞ্চাভিনেতা, সখের বেতার চালক ও জ্যোতিষশাস্ত্রেও বিশেষ পারদর্শী ছিলেন।সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ ও ইউনেস্কোতে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তাঁর ব্যক্তিগত সংগ্রহে ৫২০০০ বই রয়েছে। ‘লিমকা বুক অফ রেকর্ডস’ ওনাকে “ভারতবর্ষের সবথেকে শিক্ষিত ব্যক্তি”র শিরোপা দিয়েছে। ১৯৮৩ তে উনি ‘বিশ্বের অসামান্য দশজন তরুণ’ হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০০৪ সালের ২ জুন মাত্র ৪৯ বছরে পথ দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়।